ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ শহরের একটি মাদ্রাসার চারতলার ছাদ থেকে পড়ে এক ছাত্রের মৃত্যু। স্বজনদের দাবি, ওই ছাত্রকে হত্যা করে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ওই ছাত্রের সহপাঠী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছে, পাশের ভবনের আলো দেখতে গিয়ে অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ বলছে, তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরীর জিলা স্কুল রোড মসজিদ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. মাহদীন হাসান মৃধা (১০)। সে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি গ্রামের মানিক মৃধার ছেলে। মাহদীন নগরীর জিলা স্কুল রোড মসজিদ হাফিজিয়া মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।
ওই মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা জানান, গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে মাহদীন তার সহপাঠী মাহমুদুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ছাদে ওয়াশরুমে যায়। সেখান থেকে অন্য একটি ভবনের লাইট দেখার জন্য ছাদের কার্নিশের দেয়ালে উঠতে চায়। এ সময় মাহমুদুল হাসান তাকে সাহায্য করে। পরে অসাবধানতাবশত মাহদীন সেখান থেকে নিচে পড়ে যায়। পড়ে যাওয়ার শব্দে অন্য শিক্ষার্থীরা ছুটে গিয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহদীনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মো. তাসিন জাওয়াদ নামে মাদ্রাসার এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলে, ‘রাত ১০টার দিকে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। ফজরের নামাজের আগে ঘুম থেকে উঠে শুনি মাহদীন মারা গেছে। সে ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য মাহমুদুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে গেছিল।’
মাদ্রাসার শিক্ষক নিশাদ আদনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাদ্রাসায় ৩৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী রয়েছে। মাহদীন অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তার এমন মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না।’
জিলা স্কুল রোড মসজিদ হাফিজিয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম (অধ্যক্ষ) আব্দুস সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাহদীন হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান ছাদের ওপর ওয়াশরুমে যায়। পরে মাহদীন অন্য একটি ভবনে লাইট দেখতে গেলে মাহমুদুল হাসান তাকে সহযোগিতা করে। এ সময় দেয়ালে উঠে মাহদীন পায়ের নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পেরে নিচে পড়ে যায়। পরে মাদ্রাসা থেকে বিষয়টি রাতে আমাকে জানানো হলে, আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।’
তবে মাহদীন হাসান মৃধার মামা মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বোনের একমাত্র ছেলে মাহদীন। সে ছাত্র হিসেবে খুবই ভালো ছিল। দেড় বছর আগে তাকে জিলা স্কুল রোড মসজিদ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। আবাসিকে থেকে সে পড়াশোনা করত। আমাদের ধারণা, হত্যার পর তাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
এ ঘটনার বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাদ থেকে পড়ে নিহত মাহদীন হাসান মৃধার ঘটনাটি তদন্তের জন্য তার সহপাঠী মাহমুদুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, লাইটের আলো দেখতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপরই প্রকৃত ঘটনার রহস্য পেরিয়ে আসবে।’
ময়মনসিংহ শহরের একটি মাদ্রাসার চারতলার ছাদ থেকে পড়ে এক ছাত্রের মৃত্যু। স্বজনদের দাবি, ওই ছাত্রকে হত্যা করে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ওই ছাত্রের সহপাঠী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছে, পাশের ভবনের আলো দেখতে গিয়ে অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ বলছে, তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরীর জিলা স্কুল রোড মসজিদ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. মাহদীন হাসান মৃধা (১০)। সে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি গ্রামের মানিক মৃধার ছেলে। মাহদীন নগরীর জিলা স্কুল রোড মসজিদ হাফিজিয়া মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।
ওই মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা জানান, গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে মাহদীন তার সহপাঠী মাহমুদুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ছাদে ওয়াশরুমে যায়। সেখান থেকে অন্য একটি ভবনের লাইট দেখার জন্য ছাদের কার্নিশের দেয়ালে উঠতে চায়। এ সময় মাহমুদুল হাসান তাকে সাহায্য করে। পরে অসাবধানতাবশত মাহদীন সেখান থেকে নিচে পড়ে যায়। পড়ে যাওয়ার শব্দে অন্য শিক্ষার্থীরা ছুটে গিয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহদীনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মো. তাসিন জাওয়াদ নামে মাদ্রাসার এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলে, ‘রাত ১০টার দিকে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। ফজরের নামাজের আগে ঘুম থেকে উঠে শুনি মাহদীন মারা গেছে। সে ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য মাহমুদুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে গেছিল।’
মাদ্রাসার শিক্ষক নিশাদ আদনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাদ্রাসায় ৩৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী রয়েছে। মাহদীন অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তার এমন মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না।’
জিলা স্কুল রোড মসজিদ হাফিজিয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম (অধ্যক্ষ) আব্দুস সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাহদীন হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান ছাদের ওপর ওয়াশরুমে যায়। পরে মাহদীন অন্য একটি ভবনে লাইট দেখতে গেলে মাহমুদুল হাসান তাকে সহযোগিতা করে। এ সময় দেয়ালে উঠে মাহদীন পায়ের নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পেরে নিচে পড়ে যায়। পরে মাদ্রাসা থেকে বিষয়টি রাতে আমাকে জানানো হলে, আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।’
তবে মাহদীন হাসান মৃধার মামা মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বোনের একমাত্র ছেলে মাহদীন। সে ছাত্র হিসেবে খুবই ভালো ছিল। দেড় বছর আগে তাকে জিলা স্কুল রোড মসজিদ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। আবাসিকে থেকে সে পড়াশোনা করত। আমাদের ধারণা, হত্যার পর তাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
এ ঘটনার বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাদ থেকে পড়ে নিহত মাহদীন হাসান মৃধার ঘটনাটি তদন্তের জন্য তার সহপাঠী মাহমুদুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, লাইটের আলো দেখতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপরই প্রকৃত ঘটনার রহস্য পেরিয়ে আসবে।’
অহিংস গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি টিম
২ ঘণ্টা আগেজামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হক। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং এরপরই জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন
৩ ঘণ্টা আগেঅবশেষে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএর ঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দাবাদ নামক একটি জাহাজ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন যাবে
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক ইমন খান জীবনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়
৩ ঘণ্টা আগে