বাকৃবির প্রধান প্রকৌশলীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, নথিপত্র চেয়ে দুদকের চিঠি

বাকৃবি প্রতিনিধি
Thumbnail image

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রধান প্রকৌশলীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে উপাচার্যের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে হওয়া সংস্কার কাজের কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকা বলেন, ‘দুদক থেকে তদন্তের স্বার্থে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। আমি প্রধান প্রকৌশলীকে কাগজপত্রগুলো দেওয়ার জন্যে বলেছি। কেউ একজন হইতো অভিযোগ দিয়েছে, সেটির স্বচ্ছতা এবং প্রাথমিক তদন্তের জন্যে তারা কাগজপত্র চেয়েছে, কিন্তু এখনো কোনো কিছু প্রমাণিত হয়নি।’

দুদকের চিঠিতে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই ইস্যুকৃত শহীদ শামসুল হক হল, শহীদ নাজমূল আহসান হল ও আশরাফুল হক হলের মেরামত ও সংস্কার কাজ, ২০১৯ সালের ১ আগস্টে মূলে বরাদ্দকৃত বাকৃবির মূল গেটের নির্মাণের কাজ, ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর ইস্যুকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুলতানা রাজিয়া হলের বর্ধিত ও আইসোলেশন ভবনের আংশিক নির্মাণ ও বিভিন্ন মেরামত কাজ, ২০২৩ সালের ১ মার্চ ইস্যুকৃত বাকৃবি কমিউনিটি সেন্টার মেরামত ও সংস্কার (সিভিল ও ইলেকট্রিক্যাল) কাজ, ২০২০ সালের ১৫ জুলাই ইস্যুকৃত ঈশা খাঁ হল ও শাহজালাল হলের মেরামত ও সংস্কার কাজ, ২০১৯ সালের ১ আগস্ট ইস্যুকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুলতানা রাজিয়া হলের বর্ধিত ও বিভিন্ন মেরামত কাজ, ২০২২ সালের ১৯ মে ইস্যুকৃত সুলতানা রাজিয়া হলের বর্ধিত ও আইসোলেশন ভবনের আংশিক নির্মাণ ও বিভিন্ন মেরামত ও সম্প্রসারণ এবং ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর ইস্যুকৃত ছাত্রী হলের বিভিন্ন মেরামত ও সংস্কার কাজের রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়।

আবেদন পত্রে উল্লেখিত এসব কাজের অনুমোদিত প্রাক্কলন, নকশা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), দরপত্র বিজ্ঞপ্তি, দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটির প্রতিবেদন, দরপত্র বাছাই ও মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন, কার্য সম্পাদন জামানতের প্রমাণপত্র, কার্য সম্পাদনের প্রত্যয়নপত্র, নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড, চুক্তিপত্র, জামানত, বিল ভাউচার, চেকের মুড়ি, প্রজেক্ট সমাপ্তের সনদ, সম্পাদনের জামানত অবমুক্তির নথিপত্রসহ তদন্তসংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্র আগামী ১০ মার্চের মধ্যে দুদক কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন ইসলাম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের দিক থেকে স্বচ্ছ। বেনামে কেউ একজন অভিযোগ করেছে দুদক বরাবর। যার স্বচ্ছতা যাচাইয়ের জন্যে দুদক থেকে ওই সব বিষয় সংশ্লিষ্ট কাগজ চাওয়া হয়েছে। উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা কাগজপত্র প্রায় প্রস্তুত করে ফেলেছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দুদকের কাছে কাগজগুলো দিতে পারব বলে মনে করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত