নেত্রকোনা প্রতিনিধি
দলীয় নেতা-কর্মীদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে রামদা নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজিদুল ইসলাম ওরফে সঞ্জুর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বক্তব্যের সময় নিজের কোমরে থাকা একটি ছুরি বের করে সাজিদুল বলেন, ‘আমিও খালি হাতে যাই না কোথায়ও—এই দেখেন।’ তাঁর এই বক্তব্যর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
গত মঙ্গলবার রাতে গন্ডা বাজারে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় রামদা নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালানোর নির্দেশ দেন সাজিদুল। তিনি গন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান এবং নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের অনুসারী।
ভিডিওতে একটি ছুরি দেখিয়ে কীভাবে মোটরসাইকেল ও অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে হবে, তা খুলে বলেন আওয়ামী লীগ নেতা সাজিদুল। এ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় মানুষের মধ্যে সমালোচনা হচ্ছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, গন্ডা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বক্তব্য দিচ্ছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজিদুল ইসলাম। এ সময় নিজের কোমর থেকে ছোট একটি ছুরি বের করে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে সাজিদুলকে বলতে শোনা গেছে, ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়া আপনারা মোটরসাইকেল পারেন আর যা-ই পারেন, তাই নিয়ে আইবেন। উদাহরণ হিসেবে (কোমরের ছুরি দেখিয়ে) আজকে কিন্তু আমিও গেছি, খালি হাতে যাইনি। অন্যরা গেছে রামদা-টামদা লইয়া, আমিও একটা লইছি সভাপতি হিসেবে, নিজের প্রয়োজন যখন পড়ব তখন তো ছাড়ন যাইত না, ছাড়ন যাইব? এ কারণে আমিও একটা লইছি।’
সাজিদুল আরও বলেন, ‘কালকে থাইক্কা সকাল ৯টার সময়, ওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি যারা আছেন, দয়া করে আল্লাহর ওয়াস্তে একজন সভাপতি, একজন সেক্রেটারি দুইজন দুইটা গাড়ি (মোটরসাইকেল) নেবেন। একটা গাড়ির মধ্যে একজন করে লোক থাকব, একটা করে রামদা থাকব। এটা হইল আপনাদের জন্য বাধ্যকতা, আনতে হবে। আইসা বলবেন, আমার তো গাড়ি নেই। দরকার হলে গাড়ি একটা ভাড়া নিবেন। যাদের গাড়ি নাই, গাড়ি আপনি ভাড়া নিবেন, নাইলে কিনবেন, নাইলে পয়দা করবেন। আপনাদের ভাইঙ্গা ভাইঙ্গা বলতেছি, গাড়ি লইবেন, সাথে একজন লোক নেবেন, হেলমেট পরবেন, রামদা লইবেন...লইয়া আপনারা মুভ করবেন।’
ভিডিওতে বলতে শোনা গেছে, নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়ে সাজিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অনেকে আছেন বয়স্ক, তারপরও আমি বলব যদি পারেন, আসবেন। তবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অন্য যাঁরা আছেন, দয়া করে আপনারা কেউ খালি হাতে আসবেন না। প্রত্যেককে একটা গাড়িতে একজন লোক নিয়া কালকে সকালে আসবেন। আর যুবলীগ যাঁরা আছেন, ম্যাক্সিমাম লোকের গাড়ি আছে, ছাত্রলীগেরও গাড়ি আছে, তোমরা হেলমেট পইরা, মাথা বাইন্দা যা নেওয়ার, তা-ই নিবা। অর্থাৎ আগামীকাল থাইক্কা আমি যেহেতু কোমরে এইটা বানছি (কোমরের ছুরি দেখিয়ে), দরকার হলে আরও একটা বড় লইয়াম (নেব)। আগামী নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত, ইলেকশনের দিন আল্লাহ বাঁচাইলে বিজয় মিছিল করে আমরা ফিরবাম (ফিরব)। এইটা হলো আমাদের গন্ডা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের আদেশ এবং নির্দেশ।’
এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের অনেকেই হাততালি দেন। তবে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীসহ সচেতন মহলের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সাজিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
প্রচারণার বিষয়ে নৌকার প্রার্থী অসীম কুমার উকিলের মোবাইল ফোনে কল কো হয়, কিন্তু তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা এভাবেই ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন। আমাদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। কয়েকবার আমাদের প্রচারণা কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে, সমর্থকদের আহত করেছে। এতে আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা ভয়ে আছেন। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।’
জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, ‘ভিডিওটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তা ছাড়া আমাদের ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যরাও বিষয়টি দেখছেন।’
পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘প্রকাশ্যে ছুরি দেখিয়ে অন্যদের মোটরসাইকেলে রামদা নিয়ে বের হয়ে ভয়ভীতি দেখানোর নির্দেশ দেওয়া—এটি স্পষ্ট আচরণবিধির লঙ্ঘন। তা ছাড়া এটি আইনগতভাবে অপরাধের শামিল। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে রামদা নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজিদুল ইসলাম ওরফে সঞ্জুর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বক্তব্যের সময় নিজের কোমরে থাকা একটি ছুরি বের করে সাজিদুল বলেন, ‘আমিও খালি হাতে যাই না কোথায়ও—এই দেখেন।’ তাঁর এই বক্তব্যর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
গত মঙ্গলবার রাতে গন্ডা বাজারে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় রামদা নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালানোর নির্দেশ দেন সাজিদুল। তিনি গন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান এবং নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের অনুসারী।
ভিডিওতে একটি ছুরি দেখিয়ে কীভাবে মোটরসাইকেল ও অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে হবে, তা খুলে বলেন আওয়ামী লীগ নেতা সাজিদুল। এ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় মানুষের মধ্যে সমালোচনা হচ্ছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, গন্ডা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বক্তব্য দিচ্ছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজিদুল ইসলাম। এ সময় নিজের কোমর থেকে ছোট একটি ছুরি বের করে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে সাজিদুলকে বলতে শোনা গেছে, ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়া আপনারা মোটরসাইকেল পারেন আর যা-ই পারেন, তাই নিয়ে আইবেন। উদাহরণ হিসেবে (কোমরের ছুরি দেখিয়ে) আজকে কিন্তু আমিও গেছি, খালি হাতে যাইনি। অন্যরা গেছে রামদা-টামদা লইয়া, আমিও একটা লইছি সভাপতি হিসেবে, নিজের প্রয়োজন যখন পড়ব তখন তো ছাড়ন যাইত না, ছাড়ন যাইব? এ কারণে আমিও একটা লইছি।’
সাজিদুল আরও বলেন, ‘কালকে থাইক্কা সকাল ৯টার সময়, ওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি যারা আছেন, দয়া করে আল্লাহর ওয়াস্তে একজন সভাপতি, একজন সেক্রেটারি দুইজন দুইটা গাড়ি (মোটরসাইকেল) নেবেন। একটা গাড়ির মধ্যে একজন করে লোক থাকব, একটা করে রামদা থাকব। এটা হইল আপনাদের জন্য বাধ্যকতা, আনতে হবে। আইসা বলবেন, আমার তো গাড়ি নেই। দরকার হলে গাড়ি একটা ভাড়া নিবেন। যাদের গাড়ি নাই, গাড়ি আপনি ভাড়া নিবেন, নাইলে কিনবেন, নাইলে পয়দা করবেন। আপনাদের ভাইঙ্গা ভাইঙ্গা বলতেছি, গাড়ি লইবেন, সাথে একজন লোক নেবেন, হেলমেট পরবেন, রামদা লইবেন...লইয়া আপনারা মুভ করবেন।’
ভিডিওতে বলতে শোনা গেছে, নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়ে সাজিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অনেকে আছেন বয়স্ক, তারপরও আমি বলব যদি পারেন, আসবেন। তবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অন্য যাঁরা আছেন, দয়া করে আপনারা কেউ খালি হাতে আসবেন না। প্রত্যেককে একটা গাড়িতে একজন লোক নিয়া কালকে সকালে আসবেন। আর যুবলীগ যাঁরা আছেন, ম্যাক্সিমাম লোকের গাড়ি আছে, ছাত্রলীগেরও গাড়ি আছে, তোমরা হেলমেট পইরা, মাথা বাইন্দা যা নেওয়ার, তা-ই নিবা। অর্থাৎ আগামীকাল থাইক্কা আমি যেহেতু কোমরে এইটা বানছি (কোমরের ছুরি দেখিয়ে), দরকার হলে আরও একটা বড় লইয়াম (নেব)। আগামী নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত, ইলেকশনের দিন আল্লাহ বাঁচাইলে বিজয় মিছিল করে আমরা ফিরবাম (ফিরব)। এইটা হলো আমাদের গন্ডা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের আদেশ এবং নির্দেশ।’
এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের অনেকেই হাততালি দেন। তবে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীসহ সচেতন মহলের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সাজিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
প্রচারণার বিষয়ে নৌকার প্রার্থী অসীম কুমার উকিলের মোবাইল ফোনে কল কো হয়, কিন্তু তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা এভাবেই ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন। আমাদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। কয়েকবার আমাদের প্রচারণা কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে, সমর্থকদের আহত করেছে। এতে আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা ভয়ে আছেন। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।’
জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, ‘ভিডিওটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তা ছাড়া আমাদের ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যরাও বিষয়টি দেখছেন।’
পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘প্রকাশ্যে ছুরি দেখিয়ে অন্যদের মোটরসাইকেলে রামদা নিয়ে বের হয়ে ভয়ভীতি দেখানোর নির্দেশ দেওয়া—এটি স্পষ্ট আচরণবিধির লঙ্ঘন। তা ছাড়া এটি আইনগতভাবে অপরাধের শামিল। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
৪২ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
১ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর ‘বহিরাগত সন্ত্রাসীদের’ হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকের সামনে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
২ ঘণ্টা আগে