নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমের ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে গত ৭ নভেম্বর। উপজেলার চারটি খাদ্যগুদামের মাধ্যমে এই অভিযান শুরু করে খাদ্য অধিদপ্তর। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১৫ দিনে এক মুঠো ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি তারা। তবে এই সময়ের মধ্যে শতভাগ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। গত তিন বছরেও ধান-চাল সংগ্রহের চিত্র ছিল একই।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার আমন মৌসুমে সরকারিভাবে উপজেলার চারটি খাদ্যগুদামে ৮১০ মেট্রিকটন ধান ও ৮০৮ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কৃষকের কাছ থেকে প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা ও চাল ৪৪ টাকা কেজি দরে কেনার সিদ্ধান্ত হয়। কৃষকেরা কৃষি অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি খাদ্যগুদামে ধান দিতে পারবেন।
সূত্রমতে, এরই মধ্যে শতভাগ চাল সংগ্রহ হলেও ধান সংগ্রহ হয়নি এক মুঠোও। গত ৭ নভেম্বর এই সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি তা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়ানো হয়েছে আরও ১০ দিন, যা আগামী ১০ মার্চ শেষ হবে। আজ পর্যন্ত ১১৫ দিনে কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। সময় বাড়ানোয় সংগ্রহ অভিযান শেষ হওয়ার মাত্র ১০ দিন বাকি রয়েছে। এই অবস্থায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ প্রায় অসম্ভব। তবে ইতিমধ্যে শতভাগ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চার বছর ধরেই নালিতাবাড়ীর খাদ্যগুদাম ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। কোনো কোনো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার ৫ ভাগ ধানও সংগ্রহ করা যায়নি।
গত ২০২৩ সালে আমন মৌসুমে ১ হাজার ৩৩৪ মেট্রিকটন চাল ও ৯২৩ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এতে শতভাগ চাল সংগ্রহ করা হলেও ধান সংগ্রহ হয়নি এক মুঠোও।
২০২১ সালে আমন মৌসুমে ১ হাজার ৪৬৭ মেট্রিকটনের শতভাগ চাল সংগ্রহ হলেও ধান সংগ্রহ হয়েছিল মাত্র ১২ মেট্রিকটন। এ ছাড়া ২০২২ সালে আমনের মৌসুমে ৯৭৭ মেট্রিকটন চাল ও ৭৮০ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এর মধ্যে চাল শতভাগ সংগ্রহ করা হলেও ধান সংগ্রহ করা হয়েছিল মাত্র ৪৮ মেট্রিকটন।
উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশি ধান উৎপাদিত হলেও খাদ্যগুদাম লক্ষ্যমাত্রার সিকিভাগও ধান সংগ্রহ করতে না পারার ক্ষেত্রে কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা সরকার নির্ধারিত মূল্য, ঘুষ ও হয়রানিকে দায়ী করছেন।
তবে ধান-চাল সংগ্রহের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি সংগ্রহমূল্যের তুলনায় বাজারদর বেশি হওয়ায় কৃষকেরা সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই।
এদিকে খাদ্যগুদামের পক্ষ থেকে ধান-চাল সংগ্রহ শুরুর পর মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। তবে এতে কৃষকদের সাড়া পাওয়া যায়নি বলেও জানান কর্মকর্তারা।
কৃষকদের অভিযোগ, ১৪ শতাংশ আর্দ্রতা না হলে খাদ্যগুদাম ধান নিতে চায় না। অনেক সময় এ কারণে খাদ্যগুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষকদের ফিরে আসতে হয়। এ ছাড়া রয়েছে প্রতি টন ধানে কর্মকর্তাদের ২০০-৩০০ টাকা ঘুষ, শ্রমিকদের চাঁদা ও পরিবহন খরচ। এ জন্য কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে চান না।
পৌর শহরের কালিনগর এলাকার কৃষক মোক্তার হোসাইন বলেন, ধান সংগ্রহের সময় আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের নিচে থাকলে সরকারি লোকজন তা ফেরত দিয়া দেয়। আমাদের বাসায় তো আর আর্দ্রতা মাপার মেশিন নাই। তাই এর আগে ধান নিয়া ফিরা আসছি। গুদামে ধানের যে দাম দেয়, এর চেয়ে বাড়ি থেকেই বেশি দামে বিক্রি করতে পারি।’
রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘খাদ্যগুদামে ধান দিতে গেলে লেবার খরচ আছে। আবার গুদামের লোকদের খুশি করতে হয়। ধানও পরিষ্কার করে নিয়ে যেতে হয়। এ ছাড়া টাকা নিতে ব্যাংকে দৌড়াদৌড়ি তো আছেই। প্রয়োজনের সময় টাকা পাওয়া যায় না। তাই খাদ্যগুদামে ধান না দিয়ে বাজারে বিক্রি করছি।’
উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ধান-চাল গুদামে দিতে কৃষকদের আগ্রহী করতে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হয়েছে ৷ তবে কৃষকদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। বাজারে সরকারনির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ধানের দাম বেশি। কৃষকেরা ধান মাড়াইয়ের পরই পাইকারের কাছে বিক্রি করতে পারছেন। এতে আর্দ্রতা পরিমাপের কোনো প্রয়োজন হয় না। তাই তাঁরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন। তবে সংগ্রহের শেষ দিন ২৯ ফেব্রুয়ারিতে আরও ১০ দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আতিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে ধানের ভালো দাম থাকায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে আসেন না। খাদ্যগুদামে ধান দিতে কৃষকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমের ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে গত ৭ নভেম্বর। উপজেলার চারটি খাদ্যগুদামের মাধ্যমে এই অভিযান শুরু করে খাদ্য অধিদপ্তর। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১৫ দিনে এক মুঠো ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি তারা। তবে এই সময়ের মধ্যে শতভাগ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। গত তিন বছরেও ধান-চাল সংগ্রহের চিত্র ছিল একই।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার আমন মৌসুমে সরকারিভাবে উপজেলার চারটি খাদ্যগুদামে ৮১০ মেট্রিকটন ধান ও ৮০৮ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কৃষকের কাছ থেকে প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা ও চাল ৪৪ টাকা কেজি দরে কেনার সিদ্ধান্ত হয়। কৃষকেরা কৃষি অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি খাদ্যগুদামে ধান দিতে পারবেন।
সূত্রমতে, এরই মধ্যে শতভাগ চাল সংগ্রহ হলেও ধান সংগ্রহ হয়নি এক মুঠোও। গত ৭ নভেম্বর এই সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি তা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়ানো হয়েছে আরও ১০ দিন, যা আগামী ১০ মার্চ শেষ হবে। আজ পর্যন্ত ১১৫ দিনে কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। সময় বাড়ানোয় সংগ্রহ অভিযান শেষ হওয়ার মাত্র ১০ দিন বাকি রয়েছে। এই অবস্থায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ প্রায় অসম্ভব। তবে ইতিমধ্যে শতভাগ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চার বছর ধরেই নালিতাবাড়ীর খাদ্যগুদাম ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। কোনো কোনো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার ৫ ভাগ ধানও সংগ্রহ করা যায়নি।
গত ২০২৩ সালে আমন মৌসুমে ১ হাজার ৩৩৪ মেট্রিকটন চাল ও ৯২৩ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এতে শতভাগ চাল সংগ্রহ করা হলেও ধান সংগ্রহ হয়নি এক মুঠোও।
২০২১ সালে আমন মৌসুমে ১ হাজার ৪৬৭ মেট্রিকটনের শতভাগ চাল সংগ্রহ হলেও ধান সংগ্রহ হয়েছিল মাত্র ১২ মেট্রিকটন। এ ছাড়া ২০২২ সালে আমনের মৌসুমে ৯৭৭ মেট্রিকটন চাল ও ৭৮০ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এর মধ্যে চাল শতভাগ সংগ্রহ করা হলেও ধান সংগ্রহ করা হয়েছিল মাত্র ৪৮ মেট্রিকটন।
উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশি ধান উৎপাদিত হলেও খাদ্যগুদাম লক্ষ্যমাত্রার সিকিভাগও ধান সংগ্রহ করতে না পারার ক্ষেত্রে কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা সরকার নির্ধারিত মূল্য, ঘুষ ও হয়রানিকে দায়ী করছেন।
তবে ধান-চাল সংগ্রহের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি সংগ্রহমূল্যের তুলনায় বাজারদর বেশি হওয়ায় কৃষকেরা সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই।
এদিকে খাদ্যগুদামের পক্ষ থেকে ধান-চাল সংগ্রহ শুরুর পর মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। তবে এতে কৃষকদের সাড়া পাওয়া যায়নি বলেও জানান কর্মকর্তারা।
কৃষকদের অভিযোগ, ১৪ শতাংশ আর্দ্রতা না হলে খাদ্যগুদাম ধান নিতে চায় না। অনেক সময় এ কারণে খাদ্যগুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষকদের ফিরে আসতে হয়। এ ছাড়া রয়েছে প্রতি টন ধানে কর্মকর্তাদের ২০০-৩০০ টাকা ঘুষ, শ্রমিকদের চাঁদা ও পরিবহন খরচ। এ জন্য কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে চান না।
পৌর শহরের কালিনগর এলাকার কৃষক মোক্তার হোসাইন বলেন, ধান সংগ্রহের সময় আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের নিচে থাকলে সরকারি লোকজন তা ফেরত দিয়া দেয়। আমাদের বাসায় তো আর আর্দ্রতা মাপার মেশিন নাই। তাই এর আগে ধান নিয়া ফিরা আসছি। গুদামে ধানের যে দাম দেয়, এর চেয়ে বাড়ি থেকেই বেশি দামে বিক্রি করতে পারি।’
রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘খাদ্যগুদামে ধান দিতে গেলে লেবার খরচ আছে। আবার গুদামের লোকদের খুশি করতে হয়। ধানও পরিষ্কার করে নিয়ে যেতে হয়। এ ছাড়া টাকা নিতে ব্যাংকে দৌড়াদৌড়ি তো আছেই। প্রয়োজনের সময় টাকা পাওয়া যায় না। তাই খাদ্যগুদামে ধান না দিয়ে বাজারে বিক্রি করছি।’
উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ধান-চাল গুদামে দিতে কৃষকদের আগ্রহী করতে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হয়েছে ৷ তবে কৃষকদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। বাজারে সরকারনির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ধানের দাম বেশি। কৃষকেরা ধান মাড়াইয়ের পরই পাইকারের কাছে বিক্রি করতে পারছেন। এতে আর্দ্রতা পরিমাপের কোনো প্রয়োজন হয় না। তাই তাঁরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন। তবে সংগ্রহের শেষ দিন ২৯ ফেব্রুয়ারিতে আরও ১০ দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আতিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে ধানের ভালো দাম থাকায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে আসেন না। খাদ্যগুদামে ধান দিতে কৃষকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকার ধামরাইয়ে তিন দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুর এলাকার গ্রাফিক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় অবরোধস্থলের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
৮ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে খালের পানিতে ডুবে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৮ ঘণ্টা আগেযশোরের অভয়নগরে পুকুরে ডুবে এক দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার অভয়নগর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৯ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারকালে সেলিম হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির দর্শনা বিওপির একটি টহলদল তাকে আটক করে।
৯ ঘণ্টা আগে