জামালপুরে তারেকের ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ২০: ৩৭
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ২১: ০৪

জামালপুরে দলীয় কর্মসূচিকে ঘিরে বিএনপির দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। 

আজ শনিবার বেলা ৩টায় জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়ায় সৈয়দ আলী মণ্ডল কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

বেলা ৩টায় আগের বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি তাঁর সমর্থক নেতা–কর্মী নিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনের কর্মী–সমর্থকেরা বাধা দেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। 

দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ভাঙচুর চলে। ইটপাটকেল নিক্ষেপে দুই পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রসহ নেতা–কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় পুরো দেওয়ানপাড়া এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এরপর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সিরাজুল হক নিলুফার চৌধুরী মনিকে অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। অনুরোধে মনি ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিলে তাঁর সমর্থক নেতা–কর্মীরা শান্ত হন। 

এরপর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কমিউনিটি সেন্টার এলাকা দখলে নেন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে ফৌজদারি চত্বরে একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেন। 

জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, ‘আজকের এই সভাটি মূলত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে জেলা বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা। এখানে সুনির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একজন কেন্দ্রীয় নেত্রীর নেতৃত্বে ৪০–৫০ জনের একটি দল আসে। তারা ক্রাইটেরিয়ার বাইরে ঢোকার চেষ্টা করে। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তারা উত্তেজিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে ভাঙচুর শুরু করে। প্রোগ্রামটা বানচাল করার চেষ্টা করে। আমরা যথারীতি ভেতরে বসেছিলাম। তারা বাইরে থেকে ভাঙচুর করেছে।’ 

এ বিষয়ে নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, ‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটা বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকে থাকার জন্য আমরা আসছি। এখানে জেলা বিএনপি অন্যায়ভাবে যে ক্রাইটেরিয়া করেছে তাতে ত্যাগী নেতা–কর্মীরা যেতে পারছে না, যারা ১৭ বছর জেল খেটেছে। জেলা বিএনপির সেক্রেটারি নিজে কোনো দিন জেল খাটেনি, কোনো মামলা নাই। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে দল চালিয়েছেন। আমাদের ছেলেদের ব্যবহার করে দল চালিয়েছেন, অথচ তাঁদের আজ ঢুকতে দেননি। এভাবে চলতে পারে না। বিএনপির অনেক নেতা–কর্মী তাঁর কাছে নির্যাতিত হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত