হাবিবুর রনি, বাকৃবি
ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা আবাসন সংকটে ভুগছেন। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীরা মূল আবাসিক হলের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর ৫০ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী হলেও তাঁদের হলের সংখ্যা ছেলেদের তুলনায় কম।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলের সংখ্যা মোট ১৩টি। এর মধ্যে ছাত্রদের নয়টি আর ছাত্রীদের জন্য চারটি। বর্তমানে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও রোজী জামাল নামের তিনটি নতুন ছাত্রী হলের কাজ চলমান রয়েছে। তবে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা হলের কাজের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।
বর্তমানে ২ শতাধিক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য প্রতিষেধক শাখা ‘হেলথ কেয়ার সেন্টারে’ বাস করছেন। গত পাঁচ বছর যাবৎ মূল আবাসিক হলের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে হেলথ কেয়ারে রাখা হয়েছে তাঁদের। মূল আবাসিক হলগুলোর মতো আবাসন ব্যবস্থা ও সার্বিক পরিবেশ না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয় হেলথ কেয়ারে থাকা শিক্ষার্থীদের।
স্বাস্থ্য প্রতিষেধক শাখা হেলথ কেয়ারের তৃতীয় ও চতুর্থ তলাকে নামকরণ করা হয়েছে ‘নতুন ছাত্রী হল’। ২০১৯ সাল থেকে নবাগত ছাত্রীদের সেখানে অস্থায়ীভাবে রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে তৃতীয় তলায় আছেন ১৪০ জন আর চতুর্থ তলায় আছেন ৬০ জন শিক্ষার্থী।
প্রথম বর্ষ পুরোটাই হেলথ কেয়ারে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। পরবর্তীসময়ে ওই ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল হলগুলোর গনরুমে স্থানান্তর করা হয়। কার্যত নতুন ছাত্রী হল নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো হল নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হেলথ কেয়ারে থাকা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভর্তির সময় আমাদের হল অ্যাটাচমেন্ট দেওয়া হয় নতুন ছাত্রী হল। পরবর্তীতে জানতে পারলাম, যে নতুন হলের অস্থায়ী ঠিকানা হিসেবে আমাদের হেলথ কেয়ারে ওঠানো হয়েছে। নতুন হলের নির্মাণকাজ মাত্র পাইলিং পর্যায়ে। যে হলের এখনো পর্যন্ত কোনো দেয়াল গাঁথা হয়নি সেই হলের অ্যাটাচমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কীভাবে দিতে পারে?’
হেলথ কেয়ারে বাস করা প্রথম বর্ষের আরেক ছাত্রী বলেন, ‘একটি সিঙ্গেল বেডে দুজন করে থাকতে হয়, যা আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর। জনপ্রতি কেবল একটি শেলফ রাখলেও হাঁটার পর্যন্ত জায়গা থাকে না। ঠিকমতো রাখার জায়গার অভাবে বইখাতা, কাপড়-চোপড়সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এমনকি হারিয়েও যাচ্ছে।’
আরেক ছাত্রী বলেন, ‘হেলথ কেয়ারে পড়াশোনা করার জন্য আমাদের কোনো রিডিং রুম নাই। যার কারণে আমাদের পড়াশোনা করতেও অনেক অসুবিধা হয়। গনরুমে হট্টগোলের মধ্যে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া অসম্ভব। ফলস্বরূপ বারান্দায় বসে পড়াশোনা করতে হয়। বৃষ্টির দিন বা প্রতিকূল আবহাওয়ায় বারান্দায় পড়ার মতো অবস্থা থাকে না। হলগুলোর মতো এখানে কোনো লাইব্রেরিও নেই।’
ছাত্রীরা আরও জানান, হেলথ কেয়ারে খাওয়ার জন্য কোনো ক্যানটিন বা কোনো ডাইনিং ব্যবস্থা নেই। প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারের হোটেলগুলো থেকে খাবার অর্ডার করে খেতে হয়। পাশাপাশি এখানে নামাজঘর নেই। রুমগুলো মূলত হেলথ কেয়ারের কমন কেবিন ও স্পেশাল কেবিনের আদলে তৈরি হওয়ায় বাথরুম ব্যবস্থাও অত্যন্ত খারাপ।
ভবনটির চার তলায় ৬০ জন শিক্ষার্থীর জন্য বাথরুম মাত্র তিনটি। হেলথ কেয়ারে সার্বক্ষণিক বাইরের মানুষের যাতায়াত করেন। এমতাবস্থায় তাঁরা নিরাপত্তা হীনতায়ও ভুগছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বর্তমানে রোজী জামাল হল নামক নতুন হলের কাজ শেষ না হওয়ায় এখনই হেলথ কেয়ারের ছাত্রীদের স্থানান্তর করা সম্ভব নয়। হলের একাংশের কাজ শেষ হলে বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী টিনশেডে রয়েছে তাদেরকে প্রথমে স্থানান্তর করা হবে। হলের প্রথমাংশের কাজ শেষ হতে আরও দুই মাস সময় লাগতে পারে। হলের দ্বিতীয় ভবনের কাজ শেষ হলে হেলথ কেয়ারের ছাত্রীদের পর্যায়ক্রমে স্থানান্তর করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, নতুন ছাত্রী হল আসলেই কোনো হল নয়। হেলথ কেয়ার বা নতুন ছাত্রী হল রোজী জামাল হলের একটি অংশ হিসেবে কাজ করছে। নতুন ছাত্রী যারা কিছুদিন আগে ভর্তি হয়েছে তারা ক্যাম্পাসে আসার আগ পর্যন্ত প্রথম বর্ষের ছাত্রীরা হেলথ কেয়ারে থাকবে। পরবর্তীতে রোজী জামাল হলের কাজ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে তাদেরকে রোজী জামাল হলে স্থানান্তর করা হবে। এ বছর ভর্তি হওয়া নতুন ছাত্রীদের স্থায়ী ছাত্রী হলে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা আবাসন সংকটে ভুগছেন। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীরা মূল আবাসিক হলের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর ৫০ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী হলেও তাঁদের হলের সংখ্যা ছেলেদের তুলনায় কম।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলের সংখ্যা মোট ১৩টি। এর মধ্যে ছাত্রদের নয়টি আর ছাত্রীদের জন্য চারটি। বর্তমানে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও রোজী জামাল নামের তিনটি নতুন ছাত্রী হলের কাজ চলমান রয়েছে। তবে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা হলের কাজের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।
বর্তমানে ২ শতাধিক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য প্রতিষেধক শাখা ‘হেলথ কেয়ার সেন্টারে’ বাস করছেন। গত পাঁচ বছর যাবৎ মূল আবাসিক হলের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে হেলথ কেয়ারে রাখা হয়েছে তাঁদের। মূল আবাসিক হলগুলোর মতো আবাসন ব্যবস্থা ও সার্বিক পরিবেশ না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয় হেলথ কেয়ারে থাকা শিক্ষার্থীদের।
স্বাস্থ্য প্রতিষেধক শাখা হেলথ কেয়ারের তৃতীয় ও চতুর্থ তলাকে নামকরণ করা হয়েছে ‘নতুন ছাত্রী হল’। ২০১৯ সাল থেকে নবাগত ছাত্রীদের সেখানে অস্থায়ীভাবে রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে তৃতীয় তলায় আছেন ১৪০ জন আর চতুর্থ তলায় আছেন ৬০ জন শিক্ষার্থী।
প্রথম বর্ষ পুরোটাই হেলথ কেয়ারে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। পরবর্তীসময়ে ওই ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল হলগুলোর গনরুমে স্থানান্তর করা হয়। কার্যত নতুন ছাত্রী হল নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো হল নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হেলথ কেয়ারে থাকা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভর্তির সময় আমাদের হল অ্যাটাচমেন্ট দেওয়া হয় নতুন ছাত্রী হল। পরবর্তীতে জানতে পারলাম, যে নতুন হলের অস্থায়ী ঠিকানা হিসেবে আমাদের হেলথ কেয়ারে ওঠানো হয়েছে। নতুন হলের নির্মাণকাজ মাত্র পাইলিং পর্যায়ে। যে হলের এখনো পর্যন্ত কোনো দেয়াল গাঁথা হয়নি সেই হলের অ্যাটাচমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কীভাবে দিতে পারে?’
হেলথ কেয়ারে বাস করা প্রথম বর্ষের আরেক ছাত্রী বলেন, ‘একটি সিঙ্গেল বেডে দুজন করে থাকতে হয়, যা আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর। জনপ্রতি কেবল একটি শেলফ রাখলেও হাঁটার পর্যন্ত জায়গা থাকে না। ঠিকমতো রাখার জায়গার অভাবে বইখাতা, কাপড়-চোপড়সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এমনকি হারিয়েও যাচ্ছে।’
আরেক ছাত্রী বলেন, ‘হেলথ কেয়ারে পড়াশোনা করার জন্য আমাদের কোনো রিডিং রুম নাই। যার কারণে আমাদের পড়াশোনা করতেও অনেক অসুবিধা হয়। গনরুমে হট্টগোলের মধ্যে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া অসম্ভব। ফলস্বরূপ বারান্দায় বসে পড়াশোনা করতে হয়। বৃষ্টির দিন বা প্রতিকূল আবহাওয়ায় বারান্দায় পড়ার মতো অবস্থা থাকে না। হলগুলোর মতো এখানে কোনো লাইব্রেরিও নেই।’
ছাত্রীরা আরও জানান, হেলথ কেয়ারে খাওয়ার জন্য কোনো ক্যানটিন বা কোনো ডাইনিং ব্যবস্থা নেই। প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারের হোটেলগুলো থেকে খাবার অর্ডার করে খেতে হয়। পাশাপাশি এখানে নামাজঘর নেই। রুমগুলো মূলত হেলথ কেয়ারের কমন কেবিন ও স্পেশাল কেবিনের আদলে তৈরি হওয়ায় বাথরুম ব্যবস্থাও অত্যন্ত খারাপ।
ভবনটির চার তলায় ৬০ জন শিক্ষার্থীর জন্য বাথরুম মাত্র তিনটি। হেলথ কেয়ারে সার্বক্ষণিক বাইরের মানুষের যাতায়াত করেন। এমতাবস্থায় তাঁরা নিরাপত্তা হীনতায়ও ভুগছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বর্তমানে রোজী জামাল হল নামক নতুন হলের কাজ শেষ না হওয়ায় এখনই হেলথ কেয়ারের ছাত্রীদের স্থানান্তর করা সম্ভব নয়। হলের একাংশের কাজ শেষ হলে বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী টিনশেডে রয়েছে তাদেরকে প্রথমে স্থানান্তর করা হবে। হলের প্রথমাংশের কাজ শেষ হতে আরও দুই মাস সময় লাগতে পারে। হলের দ্বিতীয় ভবনের কাজ শেষ হলে হেলথ কেয়ারের ছাত্রীদের পর্যায়ক্রমে স্থানান্তর করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, নতুন ছাত্রী হল আসলেই কোনো হল নয়। হেলথ কেয়ার বা নতুন ছাত্রী হল রোজী জামাল হলের একটি অংশ হিসেবে কাজ করছে। নতুন ছাত্রী যারা কিছুদিন আগে ভর্তি হয়েছে তারা ক্যাম্পাসে আসার আগ পর্যন্ত প্রথম বর্ষের ছাত্রীরা হেলথ কেয়ারে থাকবে। পরবর্তীতে রোজী জামাল হলের কাজ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে তাদেরকে রোজী জামাল হলে স্থানান্তর করা হবে। এ বছর ভর্তি হওয়া নতুন ছাত্রীদের স্থায়ী ছাত্রী হলে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের চার দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চার দিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়স্বজন। তাঁর বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কি না, সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে...
২২ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া চুক্তি করা অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে টাকা দেননি।
৩৯ মিনিট আগেপাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার...
৪৪ মিনিট আগেবিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটা জোরের জায়গা। আমরা আগামী সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০টি প্রকল্পের জন্য টেন্ডার আহ্বান করবো। আমাদের বিদ্যুতের যে সমস্যা এটি বিদ্যুতের সমস্যা না...
১ ঘণ্টা আগে