এম. কে. দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও মানবেতর জীবন যাপন করছে বানভাসি মানুষ। গত তিন সপ্তাহ ধরে এই উপজেলার যমুনা নদীতীরবর্তী পাঁচটি ইউনিয়ন, ব্রহ্মপুত্র নদতীরবর্তী চারটি ইউনিয়ন এবং দশআনী নদীসংলগ্ন একটি ইউনিয়নের ৩৮টি গ্রামের কমপক্ষে ৪২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে।
কোথাও ডুবে গেছে ঘরবাড়ি, কোথাও ভাসমান অবস্থায় বসবাস করছেন মানুষ। নদীভাঙনেও বিলীন হয়ে গেছে অনেকের ঘরবাড়ি। জীবন-জীবিকা নির্বাহ করা ওই সব মানুষের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
ইসলামপুর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখার তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার ৪৭টি গ্রামের ৭ হাজার ৬৬২টি পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে নদীভাঙনে এরই মধ্যে কুলকান্দী ইউনিয়নের পূর্ব জিগাতলা গ্রামের ১১০টি বাড়ি, গোয়ালেরচরের মোহাম্মদপুর গ্রামের ৮০টি পরিবার, চরপুঁটিমারীর চারনংচর গ্রামের ৮৩টি পরিবার, চরগোয়ালিনীর লক্ষ্মীপুর গ্রামের ১০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি বন্যাকবলিত হয়েছে যমুনার মধ্যবর্তী ইউনিয়ন সাপধরী। এই ইউনিয়নের শতাধিক বসতভিটা পানিতে টইটুম্বুর। যমুনাতীরবর্তী বেলগাছা ইউনিয়নের অর্ধেক অঞ্চল বন্যাকবলিত। অনেকের ঘরের মেঝেতে সপ্তাহ ধরে পানি। বন্যায় ফসলাদি, আসবাবপত্র, গবাদিপশু, ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজসহ নানা জিনিসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আগে অতিবৃষ্টি আর কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অতিবৃষ্টি আর কালবৈশাখী ঝড়ের ধকল কাটিয়ে না উঠতেই তারা বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
বানভাসি মানুষের অভিযোগ, তারা দীর্ঘদিন বন্যায় পানিবন্দী হয়ে থাকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোনো দেখা নেই। তারা কী খাচ্ছে, কোথায় ঘুমাচ্ছে, কী করবে—এসব নিয়েও জনপ্রতিনিধিদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের ফজলু, তোতা ও কামাল বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। কিন্তু চেয়ারম্যান-মেম্বারেরা একদিনও খোঁজ নেয়নি।’
চরগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ সরকার বলেন, ‘সরকার বরাদ্দ না দিলে আমরা কী করব?’
বেলগাছার কাছিমা পশ্চিমা গ্রামের ছালেহা বেওয়া বলেন, ‘ঘরবাড়িতে পানি আর পানি। আয়-রোজগার করার কেউ নেই। এর কাছে, ওর কাছে চেয়ে খাইতাম। বানের পানি আইয়া তাও বন্ধ হয়েছে। চেয়ারম্যান-মেম্বারও খোঁজ নেয় না।’
এ ব্যাপারে জানতে বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কুলকান্দীর পূর্ব জিগাতলা গ্রামের মতি শেখ বলেন, ‘বাড়ির চারদিকে পানি থইথই করছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছি। বিপদে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের খোঁজ নেই।’
কুলকান্দী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বাবু বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে ত্রাণ দিইনি। তবে সরকারি বরাদ্দের পাঁচ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছি।’
নোয়ারপাড়ার টগারচর গ্রামের বাসিন্দা দুদু, বেলাল ও আয়না বেগম বলেন, ‘বন্যায় অনেক কষ্টে দিন যাপন করছি। কিন্তু চেয়ারম্যান-মেম্বারদের এখন পর্যন্ত কোনো সাহায্য-সহযোগিতায় পাইনি।’
পাথর্শীর সুরেপাড় গ্রামের আকলিমা, খলিশাকুড়ির শাহাজল, বানিয়াবাড়ির মজিবর, দেলিরপাড়ের বোরহান, মোজাআঁটার শহিজল এবং হাড়িয়াবাড়ীর সহিদুর বলেন, ঘরবাড়িতে দুই সপ্তাহ থেকে পানি। কিন্তু চেয়ারম্যান-মেম্বারেরা কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করতে আসেননি।
পাথর্শী ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আলম বাবলু বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে এখনো বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করিনি। তবে সরকারি বরাদ্দের ৯ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছি।’
চিনাডুলীর দক্ষিণ গিলাবাড়ী গ্রামের গৃহিণী বেদেনা বেগম বলেন, ‘ঘরের ভেতরে এখনো বানের পানি। কিন্তু চেয়ারম্যানও খোঁজ নেয়নি, মেম্বারও খোঁজ নেয়নি।’
চিনাডুলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম বলেন, ‘নিয়মিতভাবেই পানিবন্দী মানুষের সেবা করে যাচ্ছি।’
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও মানবেতর জীবন যাপন করছে বানভাসি মানুষ। গত তিন সপ্তাহ ধরে এই উপজেলার যমুনা নদীতীরবর্তী পাঁচটি ইউনিয়ন, ব্রহ্মপুত্র নদতীরবর্তী চারটি ইউনিয়ন এবং দশআনী নদীসংলগ্ন একটি ইউনিয়নের ৩৮টি গ্রামের কমপক্ষে ৪২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে।
কোথাও ডুবে গেছে ঘরবাড়ি, কোথাও ভাসমান অবস্থায় বসবাস করছেন মানুষ। নদীভাঙনেও বিলীন হয়ে গেছে অনেকের ঘরবাড়ি। জীবন-জীবিকা নির্বাহ করা ওই সব মানুষের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
ইসলামপুর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখার তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার ৪৭টি গ্রামের ৭ হাজার ৬৬২টি পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে নদীভাঙনে এরই মধ্যে কুলকান্দী ইউনিয়নের পূর্ব জিগাতলা গ্রামের ১১০টি বাড়ি, গোয়ালেরচরের মোহাম্মদপুর গ্রামের ৮০টি পরিবার, চরপুঁটিমারীর চারনংচর গ্রামের ৮৩টি পরিবার, চরগোয়ালিনীর লক্ষ্মীপুর গ্রামের ১০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি বন্যাকবলিত হয়েছে যমুনার মধ্যবর্তী ইউনিয়ন সাপধরী। এই ইউনিয়নের শতাধিক বসতভিটা পানিতে টইটুম্বুর। যমুনাতীরবর্তী বেলগাছা ইউনিয়নের অর্ধেক অঞ্চল বন্যাকবলিত। অনেকের ঘরের মেঝেতে সপ্তাহ ধরে পানি। বন্যায় ফসলাদি, আসবাবপত্র, গবাদিপশু, ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজসহ নানা জিনিসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আগে অতিবৃষ্টি আর কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অতিবৃষ্টি আর কালবৈশাখী ঝড়ের ধকল কাটিয়ে না উঠতেই তারা বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
বানভাসি মানুষের অভিযোগ, তারা দীর্ঘদিন বন্যায় পানিবন্দী হয়ে থাকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোনো দেখা নেই। তারা কী খাচ্ছে, কোথায় ঘুমাচ্ছে, কী করবে—এসব নিয়েও জনপ্রতিনিধিদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের ফজলু, তোতা ও কামাল বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। কিন্তু চেয়ারম্যান-মেম্বারেরা একদিনও খোঁজ নেয়নি।’
চরগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ সরকার বলেন, ‘সরকার বরাদ্দ না দিলে আমরা কী করব?’
বেলগাছার কাছিমা পশ্চিমা গ্রামের ছালেহা বেওয়া বলেন, ‘ঘরবাড়িতে পানি আর পানি। আয়-রোজগার করার কেউ নেই। এর কাছে, ওর কাছে চেয়ে খাইতাম। বানের পানি আইয়া তাও বন্ধ হয়েছে। চেয়ারম্যান-মেম্বারও খোঁজ নেয় না।’
এ ব্যাপারে জানতে বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কুলকান্দীর পূর্ব জিগাতলা গ্রামের মতি শেখ বলেন, ‘বাড়ির চারদিকে পানি থইথই করছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছি। বিপদে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের খোঁজ নেই।’
কুলকান্দী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বাবু বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে ত্রাণ দিইনি। তবে সরকারি বরাদ্দের পাঁচ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছি।’
নোয়ারপাড়ার টগারচর গ্রামের বাসিন্দা দুদু, বেলাল ও আয়না বেগম বলেন, ‘বন্যায় অনেক কষ্টে দিন যাপন করছি। কিন্তু চেয়ারম্যান-মেম্বারদের এখন পর্যন্ত কোনো সাহায্য-সহযোগিতায় পাইনি।’
পাথর্শীর সুরেপাড় গ্রামের আকলিমা, খলিশাকুড়ির শাহাজল, বানিয়াবাড়ির মজিবর, দেলিরপাড়ের বোরহান, মোজাআঁটার শহিজল এবং হাড়িয়াবাড়ীর সহিদুর বলেন, ঘরবাড়িতে দুই সপ্তাহ থেকে পানি। কিন্তু চেয়ারম্যান-মেম্বারেরা কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করতে আসেননি।
পাথর্শী ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আলম বাবলু বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে এখনো বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করিনি। তবে সরকারি বরাদ্দের ৯ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছি।’
চিনাডুলীর দক্ষিণ গিলাবাড়ী গ্রামের গৃহিণী বেদেনা বেগম বলেন, ‘ঘরের ভেতরে এখনো বানের পানি। কিন্তু চেয়ারম্যানও খোঁজ নেয়নি, মেম্বারও খোঁজ নেয়নি।’
চিনাডুলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম বলেন, ‘নিয়মিতভাবেই পানিবন্দী মানুষের সেবা করে যাচ্ছি।’
মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক গৃহবধূসহ আহত হয়েছে ৩ জন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)...
১ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ১০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে আবাসিক গ্রাহকের বাসাবাড়িতে। কিন্তু অনেকের বাড়ি, এমনকি মূল লাইনেও বিদ্যুতের খুঁটি নেই। স্থায়ী খুঁটিতে সংযোগ টানার কথা বলে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সেটি হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনার পর চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঢাকার কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানান কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
২ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মোস্তাকিন মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের বসতঘর থেকে মোস্তাকিন মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে