ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে শিক্ষক রাসেল আহমেদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রস্তাব ও হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জামা দিতে বলা হয়েছে।

গতকাল বুধবার প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি সভা করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

জানা গেছে, উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের চরজিথর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভৌত বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক রাসেল আহমেদ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদান করেন। পরে গত ১৯ অক্টোবর দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের কাছে শিক্ষক রাসেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে ওই ছাত্রী উল্লেখ করে বলে, শিক্ষক রাসেলের কাছে প্রাইভেট পড়ার সময় প্রায়ই তাকে বিরক্ত করতেন। একপর্যায়ে বান্ধবীদের দিয়ে নানা ধরনের কু-প্রস্তাবও দেন। এতে প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দিলে বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। এতেও রাজি না হলে শ্রেণিকক্ষে গালিগালাজ ও অপমান করেন শিক্ষক রাসেল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৩ অক্টোবর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান থেকে বিরত রাখা হয়। 

শুধু এক শিক্ষার্থীই নয়, আরও কয়েক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক রাসেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি সভা করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক রাসেলকে কেন বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনা হবে না সেই মর্মে শোকজ করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তাঁকেও জবাব দিতে হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ মিথ্যা। ছাত্রীটিকে ভালো লাগায় বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম।’ 

চরজিথর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. সেলিম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ও জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।