Ajker Patrika

‘ভুল চিকিৎসা’: অপারেশন থিয়েটারে গর্ভের যমজ সন্তানসহ গৃহবধূর মৃত্যু

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮: ১৫
‘ভুল চিকিৎসা’: অপারেশন থিয়েটারে গর্ভের যমজ সন্তানসহ গৃহবধূর মৃত্যু

ময়মনসিংহ নগরীর চর ব্রাহ্মপল্লী এলাকার পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালে কিডনির পাথর অপসারণের সময় গর্ভে যমজ সন্তানসহ গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, রোগীকে অজ্ঞান না করে অপারেশন করায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। 

মৃত রেখা আক্তার (২৫) ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া এলাকার মাহবুবুল আলমের স্ত্রী। রেখা ১৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

গতকাল গভীর রাতের এই ঘটনায় মৃতের স্বামী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার অভিযোগে শুক্রবার মামলা করেছেন বলে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান। 

আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, মৃতের স্বামী মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালের পরিচালকসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেছে। এবিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেখার গর্ভে দুটি সন্তান ছিল। সম্প্রতি পরীক্ষায় তাঁর কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে। তাঁকে বৃহস্পতিবার রাতে পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত ৮টায় অপারেশন করার কথা ছিল। পরে রাত ১টার দিকে অপারেশন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘অপারেশনের শুরুতে ওটির ভেতর থেকে চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। কারণ জানতে চাইলে একজন নার্স বলেন, অজ্ঞান করার ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে, তাই চিৎকার করছেন। এরপরও বহুবার চিৎকার করার শব্দ শুনতে পেয়েছি। অপারেশন শেষে পোস্ট অপারেটিভ রুমে তাঁকে রেখে সবাই চলে যায়।’

মাহবুবুল বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে পোস্ট অপারেটিভ রুমে গিয়ে রেখার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে নার্সকে জানাই। নার্স দৌড়ে গিয়ে আরেকজনকে ডেকে আনেন। তিনি এসে দেখেই বলেন, রোগীকে মেরে ফেলছিস। পরে তারা রেখাকে চুরখাই সিবিএমসিবি হাসপাতালে পাঠায়। সেখান নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’

বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালের চারপাশে লোকজন জড়ো হলে ক্লিনিক মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্লিনিকে তালা লাগিয়ে চলে যান। পরে পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।

রেখার বড় ভাই আব্দুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অজ্ঞান করা ছাড়াই অপারেশন করেছে। পরে অবস্থা খারাপ হলে অন্য আরেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে নেওয়ার পথেই আমার বোন মারা গেছে। তার পেটের দুটি সন্তানও মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, ‘অপারেশন কোন ডাক্তার করেছেন, তা আমার জানা নেই। রোগীর লোকজন বিষয়টি বলতে পারবেন। আমি ঢাকায় আছি, ফিরে বিস্তারিত জানানো যাবে।’

১৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এ ধরনের অপারেশন করা যায় কিনা জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীর অবস্থা বিবেচনা করে অপারেশন করা যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত