Ajker Patrika

বাকৃবি ছাত্রলীগ: দেড় বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি, পদপ্রত্যাশীদের ক্ষোভ

বাকৃবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৮: ০৭
বাকৃবি ছাত্রলীগ: দেড় বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি, পদপ্রত্যাশীদের ক্ষোভ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখার আংশিক কমিটির দেড় বছর পার হলেও গঠন হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এই সময়ে হলগুলোতে কমিটি দেওয়া না হলেও অনুষদ ও একটি ইনস্টিটিউটে কমিটি হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগঠনের পদপ্রত্যাশী নেতা–কর্মীরা। 

সর্বশেষ গত বছরের ২৯ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে খন্দকার তায়েফুর রহমানকে সভাপতি এবং মো. মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্যের আংশিক কমিটির করা হয়। 
 
তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস পার হলেও শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন বা কোনো কমিটি দেওয়া হয়নি। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলন না হলে কমিটি বিলুপ্ত করার কথা উল্লেখ রয়েছে। 

গঠনতন্ত্রে ধারা ৯ উপজেলা শাখা ও ধারা ১০ জেলা শাখা থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জেলা শাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো উপজেলা শাখার সমমর্যাদা পাবে। ধারা ১০ অনুযায়ী জেলা শাখার মেয়াদকাল হবে এক বছর। জেলা শাখাকে এক বছরের মধ্যে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে। বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুমোদনক্রমে ৯০ দিন সময় বৃদ্ধি করা যাবে। এই সময়ের মধ্যে সম্মেলন না হলে জেলা কমিটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে। 

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং হল কমিটির ব্যাপারে বর্তমান কমিটি যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেই আমরা জানি। অনুষদের শাখা ছাত্রলীগ কমিটি গঠন অন্যায়ের কিছুই নয়। সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তৃতির লক্ষ্যে যেকোনো সংগঠনেরই শাখা কমিটি গঠনের এখতিয়ার আছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সংগঠনে সব সময় আমন্ত্রণ জানাই। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে হল ভাগাভাগির বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত নই। সভাপতি ও সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের কোনো ঘটনা আমাদের কাছে আসলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সেটি সমাধানের চেষ্টা করব।’ 

ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হলগুলো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিয়ন্ত্রণ অনুযায়ী বিভক্ত। সভাপতি নিয়ন্ত্রণ করেন বঙ্গবন্ধু, ঈশা খাঁ হল, ফজলুল হক হল, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল এবং শহীদ নাজমুল আহসান হল। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক নিয়ন্ত্রণ করেন শহীদ শামসুল হক হল, শহীদ জামাল হোসেন, আশরাফুল এবং শাহজালাল হল। 

ছাত্রী হলগুলোর মধ্যে রোজী জামাল হল, তাপসী রাবেয়া হল এবং সুলতানা রাজিয়া হল নিয়ন্ত্রণ করেন সভাপতি। এ ছাড়া বেগম রোকেয়া হল ও ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল নিয়ন্ত্রণ করেন সাধারণ সম্পাদক। 

আরও জানা যায়, সভাপতি মতাদর্শের কর্মীরা সম্পাদকের হলগুলোতে এবং সম্পাদকের মতাদর্শের কর্মীরা সভাপতি নিয়ন্ত্রিত হলগুলোতে থাকতে পারে না। এর আগে গত বছরের ৩০ মে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের পরপরই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়। গত ৫ নভেম্বর তাদের নিয়ন্ত্রিত দুটি হলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবার মারামারি হয়। এ ছাড়া কমিটিতে বিশেষ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী বলেন, ‘হল কমিটি দেওয়ার আগেই অনুষদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে এর আগে কখনো ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়নি। আবার অনুষদের ছাত্র সমিতিতে যারা আছেন, তারা সবাই ছাত্রলীগ কর্মী। অনুষদের ছাত্র সমিতি থাকা সত্ত্বেও আলাদা করে ছাত্রলীগ কমিটি দেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। আবার অনেকেই মনে করেন বাস্তবিক অর্থে অনুষদের ছাত্রলীগের কমিটির কোনো ভূমিকা নেই। অনুষদের ছাত্র সমিতির পদবঞ্চিত নেতাদের খুশি রাখতে অনুষদের ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হয়েছে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের পদপ্রত্যাশী এক নেতা বলেন, ‘কমিটির বয়স দেড় বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি পাইনি এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে বিলম্ব হলে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, পূর্ণাঙ্গ করার দুই এক মাসের মধ্যেই আবার নতুন সম্মেলনের ঘোষণা চলে আসে। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ–পরিচয় যারা পেল তারা এক দেড় মাসের মধ্যেই আবার সাবেক হয়ে যাবে। এতে করে কর্মীরা সাময়িক সময়ের জন্য একটি পরিচয় পেলেও নেতৃত্ব প্রয়োগ করার সময় বা সুযোগ পায় না, অধিকার বঞ্চিত হয়।’ 

এ বিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রলীগের কর্মী এ জেড এম বর্নী বলেন, ‘ছাত্রলীগ দেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন হওয়ায় এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা সব সময়ই বেশি। তাই যে পর্যায়ের কমিটিই হোক না কেন, কমিটি জট আমাদের রাজনীতির সঠিক ধারাকে ব্যাহত করে, কর্মীদের হতাশ করে এবং নেতৃত্বে সংকটের সৃষ্টি করে। তাই জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও হল কমিটিগুলো সম্পন্ন করা উচিত।’ 

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্দেশ দিলেই আমরা কমিটি ঘোষণা দিয়ে দেব। আমাদের সবকিছু গোছানো আছে। ছাত্র সমিতিতে ছাত্রলীগের প্যানেল দিই আমরা। ওটা ছাত্রলীগের কমিটি না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থী অনেক। সে কারণে রাজনীতিতেও উত্তরবঙ্গের ছেলে–মেয়ে বেশি অংশগ্রহণ করে, যারা রাজনীতির মাঠে থাকে আমরা তাদেরই মূল্যায়ন করি। কার বাসা কোথায় এগুলো দেখে আমরা কমিটি করি না। আমরা সংগঠনের ক্ষেত্রে সবাই ছাত্রলীগের কর্মী, আমাদের মাঝে কোনো বিভাজন নেই।’ 

সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান বলেন, ‘রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবেই। তবে আমরা কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নই। এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয় নাই, সেখানে রংপুর ভিত্তিক রাজনীতির প্রসঙ্গটা আসার কথা না। আমার পদপ্রাপ্ত কর্মীদের বেশির ভাগই ময়মনসিংহ অঞ্চলের। আমরা অনুষদের শাখা ছাত্রলীগ কমিটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অনুমতি নিয়েই করেছি। নির্বাচনের আগে অন্য রাজনৈতিক দলের অনুসারী ছাত্ররা ওই সব দলের অনুসারী শিক্ষকদের সঙ্গে মিলে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে না পারে, সে কারণেই আলাদা করে অনুষদের কমিটি দেওয়া হয়েছে। মূলত সাংগঠনিক অবস্থা শক্তিশালী করার জন্যই এই কাজটি করা হয়েছে।’ 

পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দেওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা নিয়েছি। মূলত রাজনীতির প্রতি মন থেকে আগ্রহী এবং যোগ্য কর্মী বাছাই করার জন্যই এ বিষয়ে একটু সময় নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়েও কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে। তবে আমাদের কাছে কমিটি দেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।

আজ ফয়জুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই মো. ওমর ফারুক। শুনানি শেষে আদালত বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকালে এই মামলায় সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের জন্য তিনি এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্ররোচনা এবং অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন বলে প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করতে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ এলাকায় আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শামীম গুরুতর আহত হন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ‎গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৬
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর

নানুয়ার দীঘিসংলগ্ন নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, তিনি শুরু থেকেই কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মনোনয়ন কেনার বিষয়টি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। এ কারণে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না। তবে ভবিষ্যতে যদি এ আসনে দলীয় মনোনয়নে পরিবর্তন আসে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের ব্যাপারে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, অতীতের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইয়াছিন তাঁর শ্যালককে প্রার্থী করেছিলেন। এতে ভোট বিভাজনের কারণে তিনি অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। একই ব্যক্তি পরবর্তী উপনির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন। এসব ঘটনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কাউকে দোষারোপ করেননি। এ বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা প্রকাশ্যে আনার আহ্বান জানান তিনি।

মনিরুল হক সাক্কু আরও বলেন, চূড়ান্ত মনোনয়নে দলের মনোনয়ন পরিবর্তন হয়ে যদি হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন পান তাহলে তিনি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে সাক্কু অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। পরে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে উভয়কেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনায় যশোর সীমান্তে কড়া নজরদারি

­যশোর প্রতিনিধি
যশোর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি কার্যক্রম। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি কার্যক্রম। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনায় এনসিপি কেন্দ্রীয় নেতা মোতালেব শিকদারের গুলিবিদ্ধের ঘটনার পর যশোর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি। এই হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা যেন বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যেই বেনাপোলসহ সীমান্ত এলাকাগুলোয় ব্যাপক নজরদারি ও তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

জানা গেছে, ৪৯ বিজিবির ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ মেইন পিলার ১৮/১ এস থেকে ৪৭/৩ এস পর্যন্ত প্রায় ৭০ দশমিক ২৭৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কড়া তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি। সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেসব সীমান্ত সিলগালা করা হয়েছে। বেনাপোল আইসিপি, আমড়াখালি, সাদীপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, শিকারপুর, শালকোনা, কাশিপুর, মাসিলা, আন্দুলিয়া ও পাঁচপিসতলা এলাকাসহ সীমান্তসংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এনসিপি নেতার গুলিবিদ্ধের ঘটনা গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এসব এলাকায় যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী আজ সোমবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘মোতালেব শিকদাদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত আসামিরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পালাতে না পারে, সে জন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় কমিটির প্রতিনিধি মো. মোতালেব শিকদারকে (৪০) দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা বেসরকারি গাজী মেডিকেলের সামনে তাঁকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ মোতালেবকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলি তাঁর মাথায় বিদ্ধ হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দেশীয় পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৫
উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা বৈরাগী টিলা এলাকা থেকে একটি দেশীয় তৈরি পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব)-৯ সদস্যরা। রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে র‍্যাব-৯ সিলেট সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনারুঘাট উপজেলার ১০ নম্বর মিরাশি ইউনিয়নের বৈরাগী টিলা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় নীল রঙের পলিথিন দিয়ে মোড়ানো পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরি লোহার পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত আলামত পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে র‍্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব-৯ জানায়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তাদের নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত