ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ঊর্ধ্বমুখী বাজারে আরেক দফা সারের দাম বাড়ানোয় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ময়মনসিংহের কৃষকেরা। তাঁরা বলছেন, এই সময়ে সারের মূল্যবৃদ্ধি কৃষকের জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
কৃষক ও ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়েছে। দাম বাড়ায় এখন থেকে কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপি ২২ টাকা থেকে বেড়ে ২৭ টাকা, ডিএপি ১৬ থেকে বেড়ে ২১ টাকা, এমওপি সারের দাম ১৫ থেকে বেড়ে ২০ টাকা হয়েছে। ডিলার পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপির দাম বেড়ে হয়েছে ২৫ টাকা, যা আগে ছিল ২০ টাকা ৷ ডিএপির দাম ১৪ টাকা থেকে ১৯ টাকা এবং প্রতি কেজি এমওপির দাম ১৩ টাকা থেকে বেড়ে ১৮ টাকা হয়েছে।
ময়মনসিংহের কৃষকেরা বলছেন, সারের দাম বাড়ার কারণে কৃষি খাতে উৎপাদন খরচ বাড়বে। ফলে কঠোর পরিশ্রম করেও কৃষিতে লাভ করা কঠিন হবে। কৃষিতে দাম সহনীয় পর্যায়ে না রাখলে সবকিছুতেই অস্থিরতা বাড়বে বলে মনে করেন তাঁরা।
সদর উপজেলার মজমপুর গ্রামের কৃষক মো. মঞ্জুরুল হক ধান চাষের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের আশায় সবজি চাষ করেন। গত বুধবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, তিনি নিজের ৩০ শতক জমির বেগুনখেতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করছেন। সারের দাম নিয়ে জানতে চাইলে মঞ্জুরুল হক বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে ইউরিয়া ও ডিওপি সার কেজিতে পাঁচ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।
মঞ্জুরুল হক আরও বলেন, ‘প্রতিনিয়ত জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে চলা মুশকিল হয়ে গেছে। সারের পাশাপাশি বাজারে বীজ ও কীটনাশকের দাম বেশি। ৭০০ টাকার নিচে কোনো শ্রমিক পাওয়া যায় না। বিদ্যুৎ ও তেলের দাম বাড়ায় খেতে সেচ দিতে টাকা বেশি লাগে। ঊর্ধ্বমুখী বাজারে আমাদের কৃষিকাজ করা একেবারেই কঠিন হয়ে পড়েছে।’
উপজেলার বোররচর গ্রামের কৃষক হাতেম আলী বলেন, বস্তাপ্রতি সারের দাম ২৫০ টাকা বেড়েছে। নতুন করে সারের দাম বাড়ায় এক একর জমি আবাদ করতে খরচ বাড়বে ৫০০ টাকা। আমরা কীভাবে কী করব বুঝতে পারছি না।’
ফুলবাড়িয়া উপজেলার কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন কৃষিকাজ করে লাভ করা সম্ভব নয়। বাপ-দাদার কিছু সম্পত্তি আছে, চাষাবাদ না করেও পারছি না। কৃষকের কথা কেউ চিন্তা করে না। শ্রমিকের মজুরি, সার, বিদ্যুৎ ও ডিজেলের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী আমাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়ছে না। আমরা কৃষকেরাও সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি।’
সারের মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জানিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অর্থনীতি অনুষদের অধ্যাপক গোলাম হাফিজ বলেন, সরকারের উচিত অন্যান্য কম গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যয় কমিয়ে কৃষি খাতে ভর্তুকি বাড়ানো। কৃষকেরা খরচ বাঁচাতে জমিতে সার প্রয়োগের মাত্রা যদি কমিয়ে দেন, তাহলে উৎপাদন কমে যাবে। তা ছাড়া কৃষক কষ্ট করে ফসল ফলিয়ে যদি লাভবান না হন, তাহলে কৃষিকাজে তাঁদের আগ্রহ কমবে। এই খাত টিকিয়ে রাখতে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
ঊর্ধ্বমুখী বাজারে আরেক দফা সারের দাম বাড়ানোয় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ময়মনসিংহের কৃষকেরা। তাঁরা বলছেন, এই সময়ে সারের মূল্যবৃদ্ধি কৃষকের জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
কৃষক ও ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়েছে। দাম বাড়ায় এখন থেকে কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপি ২২ টাকা থেকে বেড়ে ২৭ টাকা, ডিএপি ১৬ থেকে বেড়ে ২১ টাকা, এমওপি সারের দাম ১৫ থেকে বেড়ে ২০ টাকা হয়েছে। ডিলার পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপির দাম বেড়ে হয়েছে ২৫ টাকা, যা আগে ছিল ২০ টাকা ৷ ডিএপির দাম ১৪ টাকা থেকে ১৯ টাকা এবং প্রতি কেজি এমওপির দাম ১৩ টাকা থেকে বেড়ে ১৮ টাকা হয়েছে।
ময়মনসিংহের কৃষকেরা বলছেন, সারের দাম বাড়ার কারণে কৃষি খাতে উৎপাদন খরচ বাড়বে। ফলে কঠোর পরিশ্রম করেও কৃষিতে লাভ করা কঠিন হবে। কৃষিতে দাম সহনীয় পর্যায়ে না রাখলে সবকিছুতেই অস্থিরতা বাড়বে বলে মনে করেন তাঁরা।
সদর উপজেলার মজমপুর গ্রামের কৃষক মো. মঞ্জুরুল হক ধান চাষের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের আশায় সবজি চাষ করেন। গত বুধবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, তিনি নিজের ৩০ শতক জমির বেগুনখেতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করছেন। সারের দাম নিয়ে জানতে চাইলে মঞ্জুরুল হক বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে ইউরিয়া ও ডিওপি সার কেজিতে পাঁচ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।
মঞ্জুরুল হক আরও বলেন, ‘প্রতিনিয়ত জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে চলা মুশকিল হয়ে গেছে। সারের পাশাপাশি বাজারে বীজ ও কীটনাশকের দাম বেশি। ৭০০ টাকার নিচে কোনো শ্রমিক পাওয়া যায় না। বিদ্যুৎ ও তেলের দাম বাড়ায় খেতে সেচ দিতে টাকা বেশি লাগে। ঊর্ধ্বমুখী বাজারে আমাদের কৃষিকাজ করা একেবারেই কঠিন হয়ে পড়েছে।’
উপজেলার বোররচর গ্রামের কৃষক হাতেম আলী বলেন, বস্তাপ্রতি সারের দাম ২৫০ টাকা বেড়েছে। নতুন করে সারের দাম বাড়ায় এক একর জমি আবাদ করতে খরচ বাড়বে ৫০০ টাকা। আমরা কীভাবে কী করব বুঝতে পারছি না।’
ফুলবাড়িয়া উপজেলার কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন কৃষিকাজ করে লাভ করা সম্ভব নয়। বাপ-দাদার কিছু সম্পত্তি আছে, চাষাবাদ না করেও পারছি না। কৃষকের কথা কেউ চিন্তা করে না। শ্রমিকের মজুরি, সার, বিদ্যুৎ ও ডিজেলের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী আমাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়ছে না। আমরা কৃষকেরাও সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি।’
সারের মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জানিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অর্থনীতি অনুষদের অধ্যাপক গোলাম হাফিজ বলেন, সরকারের উচিত অন্যান্য কম গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যয় কমিয়ে কৃষি খাতে ভর্তুকি বাড়ানো। কৃষকেরা খরচ বাঁচাতে জমিতে সার প্রয়োগের মাত্রা যদি কমিয়ে দেন, তাহলে উৎপাদন কমে যাবে। তা ছাড়া কৃষক কষ্ট করে ফসল ফলিয়ে যদি লাভবান না হন, তাহলে কৃষিকাজে তাঁদের আগ্রহ কমবে। এই খাত টিকিয়ে রাখতে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
সুন্দরবনে ফের বেড়েছে বনদস্যুদের উৎপাত। জেলে ও বাওয়ালিদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে তারা। আতঙ্কে অনেকে পেশা ত্যাগ করছেন। অনেকে আবার কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ দাবি করেছেন।
২ মিনিট আগেবড় কড়াইয়ে টগবগ করে ফুটছে তেল। তাতে ছেড়ে দেওয়া হলো বেসনে চুবানো বেগুন। হয়ে গেল বেগুনি। গরম তেলে ভেজে ওঠানো হয়েছে ডিম চপ, পেঁয়াজু, পাকোড়া। পাশেই তৈরি হচ্ছে কাবাব। তেল, মসলা আর মাংসের ঘ্রাণে পূর্ণ চকবাজার শাহি জামে মসজিদের সামনের গলি।
৬ মিনিট আগেখাগড়াছড়ির পানছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক দুই সশস্ত্র সংগঠনের গোলাগুলিতে রূপসী চাকমা নামে এক গৃহবধূ নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আজ সোমবার উপজেলার দুর্গম মাচ্ছাছড়া এলাকায় আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ এবং জেএসএস (সন্তু) গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির সময় ওই গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
১২ মিনিট আগেসম্প্রতি রাজধানীর কাওরানবাজার ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল ও সমাজবিরোধী কিছু ব্যক্তির অসৌজন্যমূলক ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনা পুলিশ বাহিনীর জন্য ‘মর্মান্তিক, চরম উদ্বেগজনক
১৬ মিনিট আগে