Ajker Patrika

অভাবের কারণে সন্তান বিক্রি করা সেই দম্পতির বাড়িতে ইউএনও

ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
অভাবের কারণে সন্তান বিক্রি করা সেই দম্পতির বাড়িতে ইউএনও

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কাহালগাঁও গ্রামের এক দম্পতি অভাবের কারণে তাঁদের ৭ দিন বয়সী নবজাতককে বিক্রি করে দেন। নোয়ালীর এক নিঃসন্তান দম্পতি ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত মঙ্গলবার ওই শিশুকে কিনে নিয়ে যান। শিশু বিক্রির মধ্যস্থতা করেন দীপ্ত অর্কিড লিমিটেডের কর্মচারী জাকির হোসেন।

এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসে। এরপর আজ শুক্রবার ওই দম্পতির বাড়িতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদুল করিম। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিলরুবা ইসলাম, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল হোসেন।

ইউএনও নাহিদুল করিম জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অসহায় ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। তাঁদের কোনো থাকার ঘর না থাকায় জমিসহ একটি থাকার ঘর, এক প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা, প্রসূতি মায়ের জন্য প্রসূতি কার্ডের সুবিধার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দত্তক নেওয়া দম্পতির সঙ্গে কথা বলে ৭ দিনের শিশুটি ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

নাহিদুল করিম বলেন, ‘শিশু দত্তক নেওয়া দম্পতির সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা শিশুটি ফেরত দেওয়ার কথা দিয়েছেন। এরই মধ্যে তাঁরা শিশুটি নিয়ে নোয়াখালী থেকে রওনা দিয়েছেন।’ 

উপজেলার কাহালগাও গ্রামের আব্দুল খালেক ও কল্পনা আকতার দম্পতির ৪ সন্তানের মধ্যে হজরত আলী নামের দেড় বছরের শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু সন্তান রয়েছে। সাত দিন আগে ওই দম্পতির ঘরে সোয়াত ইসলাম নামের এক পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। গত মঙ্গলবার সকালে দীপ্ত অর্কিড লিমিটেডের কর্মচারী জাকির হোসেনের মধ্যস্থতায় ৫০ হাজার টাকায় সাত দিনের শিশুটিকে নোয়াখালীর এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে অভাবের কারণে বিক্রি করে দেন। মঙ্গলবার সকালে সাত দিনের শিশু নিয়ে নোয়ালী চলে যান ওই দম্পতি। 

বিষয়টি স্বীকার করে শিশুটির বাবা আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি দরিদ্র অসুস্থ মানুষ। সন্তান ভরণপোষণ করতে পারি না। তাই বিক্রি করে দিয়েছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত