নবজাতকের ওজন সোয়া ৬ কেজি, চিকিৎসক অবাক!

প্রতিনিধি, শেরপুর
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০: ১৯

নবজাতকের সচরাচর ওজন আড়াই থেকে সাড়ে তিন কেজি। তবে গতকাল বিকেলে শেরপুরে ৬ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের এক নবজাতকের জন্ম হয়েছে। প্রসূতির নাম মোছা. শেফালি বেগম (২৮)। 

গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে শহরের জেনি জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই শিশুর জন্ম হয়। এখন পর্যন্ত নবজাতকের নাম রাখা হয়নি। শেফালি শ্রীবরদী উপজেলার দহেরপাড় এলাকার সজল মিয়ার স্ত্রী। তিনি গাজীপুরের একটি তৈরি পোশাক কারখানার কর্মী, স্বামী সজল গাজীপুরে অটো ভ্যান চালায়। 

হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জায়েদুর রশীদ শ্যামল জানান, বুধবার বিকেল ৩টার দিকে শেফালিকে হাসপাতালের ২০৩ নম্বর কক্ষে ভর্তি করা হয়। পরে ৫টা ১০ মিনিটে সিনিয়র গাইনি বিশেষজ্ঞ মো. লুৎফর রহমানের সিজারিয়ান অপারেশনে একটি কন্যাশিশু ভূমিষ্ঠ হয়। পরে শিশুটির ওজন মেপে ৬ কেজি ২শ গ্রাম ওজন পাওয়া যায়।

অস্বাভাবিক ওজনের শিশুর জন্মের খবর পেয়ে নার্স, চিকিৎসকসহ অনেকে হাসপাতালে ভিড় করেন। স্বাভাবিকের চেয়ে এত বেশি ওজনের শিশুর জন্ম বিরল ঘটনা। 

নবজাতকের বাবা মো. সজল মিয়া মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি গাজীপুর থেকে বাসে শেরপুরে আসছেন। এই সন্তানের আগে স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের দুই ছেলের জন্ম হয়েছে। ওই শিশুদের স্বাস্থ্যও অনেক ভালো ছিল। তবে এই মেয়ে বাচ্চাটি আরও বড় হয়েছে। নিরাপদে মেয়ে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ায় খুব খুশি বলেও জানান তিনি। 

শিশুটির মামা মো. সঞ্জু মিয়া জানান, তাঁর বোন ও ভাগনি দুজনেই সুস্থ আছে। তাদের জন্য সবার দোয়া কামনা করেন তিনি। অস্ত্রোপচারের অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ডা. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, তিনি কখনো এত বেশি ওজনের নবজাতক দেখেননি। শিশুটির ওজন হয়েছে ৬ কেজি ২শ গ্রাম। একটি নবজাতকের স্বাভাবিক ওজন হয়ে থাকে আড়াই কেজি থেকে চার কেজি পর্যন্ত।

কিন্তু এই শিশুটির ওজন ৬ কেজি ২০০ গ্রাম। এটি প্রায় বিরল। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওই নারী পর্যাপ্ত সুষম খাবার খেয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে গাইনি বিশেষজ্ঞ মো. লুৎফর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নবজাতক সুস্থ আছে। তবে তাঁর মায়ের অবস্থা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। প্রসূতিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত