Ajker Patrika

মমেক হাসপাতালে ভর্তি ২৬ ডেঙ্গু রোগী, মশা নিধনে তোড়জোড় মসিকের

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২২, ১১: ২৪
মমেক হাসপাতালে ভর্তি ২৬ ডেঙ্গু রোগী, মশা নিধনে তোড়জোড় মসিকের

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৬ ইউনিটে ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর জন্য আলাদা ওয়ার্ড না থাকায় আতঙ্কে রয়েছে অন্য রোগীরা। তবে রোগীর সংখ্যা বাড়লে আলাদা ওয়ার্ড গঠনের কথা জানিয়েছেন পরিচালক। এদিকে মশা নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) কর্তৃপক্ষ। 

ভর্তি হওয়া রোগীদের অধিকাংশই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে তুলনামূলক কম হলেও স্থানীয় পর্যায়ে আক্রান্ত রোগীও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসে হাসপাতালটিতে প্রায় ২৫০ জন ডেঙ্গুর চিকিৎসাসেবা নিয়েছে। এসব রোগীর মধ্যে ময়মনসিংহে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ জন। অন্যরা ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে মমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি ২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মধ্যে দুজন শিশু, তিনজন নারী এবং বাকি সবাই পুরুষ। ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু দুজনকে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। 

 
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলছেন, আক্রান্তদের বর্তমান অবস্থা ভালো। মেডিসিন ওয়ার্ডে অন্যান্য রোগীর সঙ্গে ডেঙ্গু রোগী রাখায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। সার্বক্ষণিক মশারির ভেতরেও থাকছে না রোগীরা। রোগীর সংখ্যা আরও বাড়লে আলাদা ওয়ার্ড করার প্রস্তুতি রয়েছে। আরও দুই সপ্তাহ ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় থেকে লেখাপড়া করি। সম্প্রতি আমি জ্বর ও শরীরে ব্যথা অনুভব করি। সেখানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজের বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়িতে ফিরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলমাকান্দায় পরীক্ষা করালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই। দিনে দিনে আমার অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকলে তিন দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হই। তবে এখন অবস্থার অবনতি বা উন্নতি কিছুই বুঝতে পারছি না।’ 

একই ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ভালুকার কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকার একটি ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের কাজ করতাম। সম্প্রতি জ্বর ও শরীর ব্যথা অনুভব করলে বাড়িতে ফিরে আসি। পরে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে গত রোববার এখানে ভর্তি হই। এখানে ভালো চিকিৎসাসেবা পাচ্ছি।’ 

অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একই ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু রোগীরা বেশিক্ষণ মশারির ভেতরে না থেকে বাইরেই থাকছে। এতে অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চাই ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হোক।’ 

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘গত কয়েক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ছয়টি ইউনিটে অন্যান্য সাধারণ রোগীর সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। তবে রোগী আরও বাড়লে আলাদা ওয়ার্ড করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।’ 

হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, ‘মশারির ভেতরে একটা মানুষ সার্বক্ষণিক থাকতে পারে না। তাই মাঝেমধ্যে তারা একটু মশারির ভেতর থেকে বের হয়। তবে আমরা সবাইকে সাধ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি।’ 

মমেক হাসপাতালে অন্যান্য রোগীর সঙ্গে একই ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরাএদিকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ রোধে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডকে তিনটি জোনে ভাগ করে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। মশা নিধনে কাজ করছে ২২টি টিম। করপোরেশনের মশা নিধন কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকেরা এলাকার বাড়িগুলো পরিদর্শন করে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তা ধ্বংস করবেন এবং অধিবাসীদের লার্ভা ধ্বংস করার কৌশল শিখিয়ে দেবেন। প্রতিদিন ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা অব্যাহত রয়েছে। 

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘সম্প্রতি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিছুটা ডেঙ্গু রোগী বাড়ায় মশা নিধনে আমরা বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছি। সিটি করপোরেশনে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগ ঢাকার। আমাদের শহরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। মানুষকে নিয়মিত সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা অব্যাহত রেখেছেন। সাধারণ মানুষ একটু সতর্ক হলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকবে না।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।

আজ ফয়জুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই মো. ওমর ফারুক। শুনানি শেষে আদালত বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকালে এই মামলায় সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের জন্য তিনি এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্ররোচনা এবং অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন বলে প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করতে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ এলাকায় আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শামীম গুরুতর আহত হন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ‎গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৬
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর

নানুয়ার দীঘিসংলগ্ন নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, তিনি শুরু থেকেই কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মনোনয়ন কেনার বিষয়টি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। এ কারণে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না। তবে ভবিষ্যতে যদি এ আসনে দলীয় মনোনয়নে পরিবর্তন আসে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের ব্যাপারে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, অতীতের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইয়াছিন তাঁর শ্যালককে প্রার্থী করেছিলেন। এতে ভোট বিভাজনের কারণে তিনি অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। একই ব্যক্তি পরবর্তী উপনির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন। এসব ঘটনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কাউকে দোষারোপ করেননি। এ বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা প্রকাশ্যে আনার আহ্বান জানান তিনি।

মনিরুল হক সাক্কু আরও বলেন, চূড়ান্ত মনোনয়নে দলের মনোনয়ন পরিবর্তন হয়ে যদি হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন পান তাহলে তিনি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে সাক্কু অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। পরে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে উভয়কেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনায় যশোর সীমান্তে কড়া নজরদারি

­যশোর প্রতিনিধি
যশোর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি কার্যক্রম। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি কার্যক্রম। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনায় এনসিপি কেন্দ্রীয় নেতা মোতালেব শিকদারের গুলিবিদ্ধের ঘটনার পর যশোর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি। এই হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা যেন বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যেই বেনাপোলসহ সীমান্ত এলাকাগুলোয় ব্যাপক নজরদারি ও তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

জানা গেছে, ৪৯ বিজিবির ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ মেইন পিলার ১৮/১ এস থেকে ৪৭/৩ এস পর্যন্ত প্রায় ৭০ দশমিক ২৭৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কড়া তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি। সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেসব সীমান্ত সিলগালা করা হয়েছে। বেনাপোল আইসিপি, আমড়াখালি, সাদীপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, শিকারপুর, শালকোনা, কাশিপুর, মাসিলা, আন্দুলিয়া ও পাঁচপিসতলা এলাকাসহ সীমান্তসংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এনসিপি নেতার গুলিবিদ্ধের ঘটনা গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এসব এলাকায় যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী আজ সোমবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘মোতালেব শিকদাদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত আসামিরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পালাতে না পারে, সে জন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় কমিটির প্রতিনিধি মো. মোতালেব শিকদারকে (৪০) দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা বেসরকারি গাজী মেডিকেলের সামনে তাঁকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ মোতালেবকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলি তাঁর মাথায় বিদ্ধ হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দেশীয় পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৫
উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা বৈরাগী টিলা এলাকা থেকে একটি দেশীয় তৈরি পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব)-৯ সদস্যরা। রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে র‍্যাব-৯ সিলেট সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনারুঘাট উপজেলার ১০ নম্বর মিরাশি ইউনিয়নের বৈরাগী টিলা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় নীল রঙের পলিথিন দিয়ে মোড়ানো পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরি লোহার পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত আলামত পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে র‍্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব-৯ জানায়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তাদের নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত