ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
পিতামাতা ও পরিচয়হীন পথশিশুদের জন্য সহজ উপায়ে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার প্রক্রিয়া চালু না থাকায় ময়মনসিংহসহ সারা দেশের কয়েক হাজার শিশু জন্মসনদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জন্ম সনদ না থাকায় এসব শিশুদের স্কুলে ভর্তি হতে না পারাসহ সরকারের নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই সহজ প্রক্রিয়ায় এসব পথশিশুকে জন্ম নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ জুন) বিকেলে কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চল কর্তৃক আয়োজিত ‘জন্ম নিবন্ধনকরণে পথশিশুদের সমস্যা/চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’ শীর্ষক এক মিডিয়া ক্যাম্পেইনে এসব শিশুরা এ দাবি জানায়। ক্যাম্পেইনটি কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
মিডিয়া ক্যাম্পেইনে পরিচয়হীন পথশিশুরা বলে, ‘জন্মনিবন্ধন না থাকায় আমাদের কয়েক হাজার শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। অন্যান্য শিশুর মতো আমরাও স্কুলে পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু শুধু জন্মনিবন্ধন না থাকার কারণে স্কুলেও ভর্তি হতে পারছি না আবার সরকারের কোনো উপবৃত্তিও আমরা পাই না। সরকারের কাছে আমাদের একান্ত দাবি, যাতে আমাদের সহজ উপায়ে জন্মসনদ দেওয়া হয়।’
অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ সমাজসেবা কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘এসব শিশুরা জন্ম নিবন্ধন না দিতে পেরে আমরা নিজেরাই কষ্টে আছি। অতি দ্রুত বিষয়টি সমাধান করা দরকার। এজন্য আমাদের সবাইকেই এগিয়ে আসা উচিত। এই শিশুদের যদি আমরা সনদ না দিতে পারি তাহলে ভবিষ্যৎ এ আমাদের জন্য আরও খারাপ খবর অপেক্ষা করছে। এরা আমাদের সমাজের অংশ তাদের অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব শিশুদের পিতামাতার পরিচয় নেই অনলাইনে তাদের জন্ম নিবন্ধনের অবেদন করার জন্য এখনো কোনো প্রক্রিয়া নেই। আমরা আবেদনের সময় তথ্য অপ্রাপ্তি লিখেও তাদের জন্ম সনদ প্রদান করতে পারছি না। আমর আমাদের জায়গা থেকে সরকারের উচ্চমহলে বিষয়টি জানাব যাতে সহজ উপায়ে কোনো ভোগান্তি ছাড়া এসব শিশুরা জন্ম সনদ পায়। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে আলোচনার হচ্ছে আশা করি, এর মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান হবে।’
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায় বলেন, ‘সমাজসেবা কার্যালয়ও বলছে পিতামাতার পরিচয়হীন শিশুদের জন্মসনদ প্রদান করতে গিয়ে তারাও সমস্যায় পড়ছেন। তাহলে আমরা যাব কোথায়? দায়িত্ব তো আমাদের সবার। সমস্যা আছে সমাধান নেই। এ বিষয়ে আমাদের সবার এগিয়ে আসা জরুরি।’
কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈন উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের দেশের শিশু আমাদের ভবিষ্যৎ। আমরা সব সময় আছি আপনাদের সঙ্গে। তাদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রসহ আমাদের সকলের।’
সভাপতির বক্তব্যে কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক অপূর্ব ম্রং বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন না থাকায় ছিন্নমূল শিশুরা এক প্রকার অস্তিত্ব সংকটে আছেন। উন্নত দেশেও এক সময় পথশিশু ছিল তবে তারা বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের এই সমস্যা সমাধান করেছে। আমরাও একসময় যেন এখানে কোনো পথশিশু না থাকে সে জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সবার সমন্বয়েই কেবল এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।’ তিনি সিটি করপোরেশনকে শিশুদের জন্য আলাদা বাজেট রাখার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কারিতাস শিশু সুরক্ষা কমিটির সভাপতি আইনজীবী লিটন দাস, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর হালিমা খাতুন হ্যাপি, ইউনিসেফের শিক্ষা কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, কারিতাস বাংলাদেশ এর মাঠ কর্মকর্তা বিপাশা মানখিন প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক দল, শিশুদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিল।
পিতামাতা ও পরিচয়হীন পথশিশুদের জন্য সহজ উপায়ে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার প্রক্রিয়া চালু না থাকায় ময়মনসিংহসহ সারা দেশের কয়েক হাজার শিশু জন্মসনদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জন্ম সনদ না থাকায় এসব শিশুদের স্কুলে ভর্তি হতে না পারাসহ সরকারের নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই সহজ প্রক্রিয়ায় এসব পথশিশুকে জন্ম নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ জুন) বিকেলে কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চল কর্তৃক আয়োজিত ‘জন্ম নিবন্ধনকরণে পথশিশুদের সমস্যা/চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’ শীর্ষক এক মিডিয়া ক্যাম্পেইনে এসব শিশুরা এ দাবি জানায়। ক্যাম্পেইনটি কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
মিডিয়া ক্যাম্পেইনে পরিচয়হীন পথশিশুরা বলে, ‘জন্মনিবন্ধন না থাকায় আমাদের কয়েক হাজার শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। অন্যান্য শিশুর মতো আমরাও স্কুলে পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু শুধু জন্মনিবন্ধন না থাকার কারণে স্কুলেও ভর্তি হতে পারছি না আবার সরকারের কোনো উপবৃত্তিও আমরা পাই না। সরকারের কাছে আমাদের একান্ত দাবি, যাতে আমাদের সহজ উপায়ে জন্মসনদ দেওয়া হয়।’
অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ সমাজসেবা কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘এসব শিশুরা জন্ম নিবন্ধন না দিতে পেরে আমরা নিজেরাই কষ্টে আছি। অতি দ্রুত বিষয়টি সমাধান করা দরকার। এজন্য আমাদের সবাইকেই এগিয়ে আসা উচিত। এই শিশুদের যদি আমরা সনদ না দিতে পারি তাহলে ভবিষ্যৎ এ আমাদের জন্য আরও খারাপ খবর অপেক্ষা করছে। এরা আমাদের সমাজের অংশ তাদের অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব শিশুদের পিতামাতার পরিচয় নেই অনলাইনে তাদের জন্ম নিবন্ধনের অবেদন করার জন্য এখনো কোনো প্রক্রিয়া নেই। আমরা আবেদনের সময় তথ্য অপ্রাপ্তি লিখেও তাদের জন্ম সনদ প্রদান করতে পারছি না। আমর আমাদের জায়গা থেকে সরকারের উচ্চমহলে বিষয়টি জানাব যাতে সহজ উপায়ে কোনো ভোগান্তি ছাড়া এসব শিশুরা জন্ম সনদ পায়। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে আলোচনার হচ্ছে আশা করি, এর মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান হবে।’
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায় বলেন, ‘সমাজসেবা কার্যালয়ও বলছে পিতামাতার পরিচয়হীন শিশুদের জন্মসনদ প্রদান করতে গিয়ে তারাও সমস্যায় পড়ছেন। তাহলে আমরা যাব কোথায়? দায়িত্ব তো আমাদের সবার। সমস্যা আছে সমাধান নেই। এ বিষয়ে আমাদের সবার এগিয়ে আসা জরুরি।’
কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈন উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের দেশের শিশু আমাদের ভবিষ্যৎ। আমরা সব সময় আছি আপনাদের সঙ্গে। তাদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রসহ আমাদের সকলের।’
সভাপতির বক্তব্যে কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক অপূর্ব ম্রং বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন না থাকায় ছিন্নমূল শিশুরা এক প্রকার অস্তিত্ব সংকটে আছেন। উন্নত দেশেও এক সময় পথশিশু ছিল তবে তারা বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের এই সমস্যা সমাধান করেছে। আমরাও একসময় যেন এখানে কোনো পথশিশু না থাকে সে জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সবার সমন্বয়েই কেবল এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।’ তিনি সিটি করপোরেশনকে শিশুদের জন্য আলাদা বাজেট রাখার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কারিতাস শিশু সুরক্ষা কমিটির সভাপতি আইনজীবী লিটন দাস, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর হালিমা খাতুন হ্যাপি, ইউনিসেফের শিক্ষা কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, কারিতাস বাংলাদেশ এর মাঠ কর্মকর্তা বিপাশা মানখিন প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক দল, শিশুদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিল।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
১ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
১ ঘণ্টা আগে