গফরগাঁওয়ে বিষ প্রয়োগে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২১, ১০: ৩৪
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২১, ১১: ০৫

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। যৌতুকের কারণে প্রথমে শারীরিক নির্যাতন, পরে মুখে বিষ ঢেলে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। শনিবার সন্ধ্যায় গফরগাঁও থানায় হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের মা হেনা আক্তার।

নিহত গৃহবধূর নাম দিলরুবা খাতুন (৩০)। তাঁর স্বামী অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান মানিক উপজেলার রওনা ইউনিয়নের খারুয়া বড়াইল গ্রামের মোনায়েম মাস্টারের ছেলে। 

এর আগে গত বুধবার বড়াইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ মাস আগে রৌহা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের মেয়ে দিলরুবা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় মনিরুজ্জামানের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য দিলরুবার ওপর শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলেন তাঁর স্বামী। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দিলরুবার বাবা জামাইকে ব্যবসার জন্য এক লাখ টাকা দেন। কিছুদিন পর মনিরুজ্জামান আবারও দুই লাখ টাকার জন্য চাপ দেন দিলরুবাকে। বাবার বাড়ি থেকে আর টাকা দিতে পারবেন না জানালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর ওপর নির্যাতন শুরু করে।

দিলরুবার মা হেনা আক্তার জানান, এসব ঘটনা জানার পরও নিরুপায় ছিলেন তাঁরা। গত বুধবার দুপুরে মেয়ের দেবর রিয়াদ এসে জানায় দিলরুবা বিষ খেয়েছে। তাঁকে গফরগাঁও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তিনি। পরে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

দিলরুবার মা হেনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়েকে তাঁর স্বামী মানিক ও তাঁর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়।'

গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুকূল সরকার জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা অভিযোগ দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শনিবার মরদেহ ময়নাতদন্তের পর বাবার বাড়িতে দাফন করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত