ঈশ্বরগঞ্জে একই স্থানে দুপক্ষের বৈশাখী মেলা, সংঘাতের শঙ্কায় বন্ধের আবেদন 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০: ০১
Thumbnail image

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একই স্থানে দুপক্ষের বৈশাখী মেলার আয়োজনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে মেলা বন্ধে লিখিত আবেদন করেছেন তারুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

২ এপ্রিল তারুন্দিয়া বাজারসংলগ্ন স্কুল মাঠে দুই দিনব্যাপী (১৫ এবং ১৬ এপ্রিল) বৈশাখী মেলা আয়োজন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর আবেদন করেন বৈশাখী মেলা উদ্‌যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মঞ্জুরুল হক। একই স্থানে মেলা আয়োজন করার জন্য ইউএনও বরাবর আবেদন করেন তারুন্দিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফরিদ খান।

উত্তেজনার মধ্যে মেলা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। তবে নির্দেশনা অমান্য করে স্কুল মাঠে মঞ্চ তৈরি ও মাইকিং করছেন ফরিদ খান। তিনি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান সুমনের অনুসারী। আর মঞ্জুরুল হক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুছ ছাত্তার এবং সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফারজানা ছাত্তারের অনুসারী।

বৈশাখী মেলা উদ্‌যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘আমি বৈশাখী মেলা করার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে আবেদন করেছি ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে। এরই মধ্যে একই স্থানে মেলা করার জন্য ফরিদ খান আবেদন করলে ইউএনও আমাদের ডেকে মেলা বন্ধের নির্দেশনা দেন। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই সকলকে দাওয়াত করেও মেলার আয়োজন থেকে পিছিয়ে পড়েছি। কিন্তু ফরিদ খান মেলা করার পাঁয়তারা করছেন। সে মেলা করলে আমিও করব; এতে যা হওয়ার হবে।’ 

এ বিষয়ে তারুন্দিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফরিদ খান বলেন, ‘১৫ থেকে ২০ দিন ধরে মেলার আয়োজন করছি। প্রধান অতিথি করা হয়েছে সংসদ সদস্যকে। ২০০ জন অতিথির উপস্থিতিতে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে। এরপর দুই দিন (১৫ ও ১৬ এপ্রিল) মেলা চলবে। আমার বিপক্ষের লোকজনের কথায় ইউএনও মেলা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি না জেনে এমন নির্দেশনা দেওয়ায় মেলার আয়োজন বন্ধ হবে না।’ 

তারুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রানা বলেন, ‘একই মাঠে দুপক্ষের মেলা আয়োজনকে ঘিরে উত্তেজনা দেখে তা বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। প্রশাসন মেলা বন্ধে নির্দেশনা দিলেও স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফরিদ খান মেলা ও র‍্যাফল ড্র করার পাঁয়তারা করছেন। চালাচ্ছেন মাইকিং। এতে মারামারি সংঘটিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, ‘তারুন্দিয়া স্কুল মাঠে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান হবে; কিন্তু কোনো পক্ষই মেলার আয়োজন করতে পারবে না। সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, ‘কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না হয়, সেই লক্ষ্যে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেখানে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান ছাড়া কোনো মেলা করার সুযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত