Ajker Patrika

ইসলামপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মুখোমুখি বিএনপির দুই পক্ষ, এলাকায় উত্তেজনা

এম. কে. দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ৫১
ইসলামপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মুখোমুখি বিএনপির দুই পক্ষ, এলাকায় উত্তেজনা

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারে বিএনপিতে শুরু হয়েছে ‘দোষারোপের রাজনীতি’। নেতা–কর্মীরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়েছেন। একপক্ষ আরেক পক্ষকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়ে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করছে। স্বদলীয় প্রতিপক্ষের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলাসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। 

বর্তমান পরিস্থিতিতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব বনাম সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলের সমর্থকদের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটছে। উভয় পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে থানা-পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। 

jamalpur-2আজ শুক্রবার সকালে পৌর শহরের বটতলা চত্বরে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকেরা পৌর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। দুপুরে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিলে শেষে একই স্থানে সমাবেশ করেন নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলের নেতৃত্বে তাঁর সমর্থকেরা।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকেরা ইসলামপুর রেলস্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবস্থান নেন ইসলামপুর-জামালপুর মহাসড়কের ডেফলা ঘাট এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা যায়, জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনে নির্বাচন করার লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সুলতান মাহমুদ বাবু কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর রাজনৈতিক কার্যক্রম পালন করে আসছেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব।

অপর দিকে, একই আসনে প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ এস এম আব্দুল হালিমকে উপস্থাপন করে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল রাজনৈতিক কার্যক্রম পালন করে আসছেন।

বিএনপির এক অংশের নেতা–কর্মী নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলকে সমর্থন দিচ্ছেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবুর হাতে রয়েছে দলটির উপজেলা শাখার অঙ্গসংগঠনের কমিটি।

jamalpur-৩ভবিষ্যতে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ভাগিয়ে নিতে দলের মধ্যে অবস্থান মজবুত করতে চলছে আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা। দিন যতই যাচ্ছে, ততই মাথা চাড়া দিচ্ছে দলীয় আধিপত্যের আধিক্য। দোষারোপ করছে একপক্ষ অন্যপক্ষে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইসলামপুর এম এ সামাদ পারভেজ মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা কমিটিকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকদের সঙ্গে সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান বিপুলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ও চড়থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সন্ধ্যার আগমুহূর্তে নবাবের সমর্থক পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলামের মালিকানাধীন রেলস্টেশন রোডের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। 

পরদিন বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ওই কলেজ পরিচালনা কমিটিকে কেন্দ্র করে লাঞ্ছনা ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকেরা ধর্মকুড়ার উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে জড় হতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুরাতন মার্কাজ মসজিদ মোড় এলাকায় নেতা–কর্মীরা পৌঁছা মাত্রই তাঁদের ওপর হামলা চালায় চালানো হয়।

এতে গুরুতর আহত হন উপজেলার চরগোয়ালিনী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ বালা, চরপুটিমারী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. পলাশ। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নেন। 

একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাবকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলের নেতৃত্বে একটি মিছিল বিক্ষোভ বের হয়। মিছিলটি থানা গেটসংলগ্ন সড়ক থেকে বের করে ইসলামপুর বাজারসহ প্রদক্ষিণ শেষে থানা মোড় বটতলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন নেতা–কর্মীরা। 

পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মাহবুবুল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক হাতেম আলী সাদা, নবী নেওয়াজ খান লোহানীর সমর্থক জাকিউল ইসলাম তিব্বত, মনির খান লোহানী এবং সাকাওয়াত হোসেন সুজন। 

গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলন দমাতে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানোসহ মারধরের অভিযোগে ৬ সেপ্টেম্বর রাতে আওয়ামী লীগের ৩১ নেতা-কর্মীর নামে ইসলামপুর থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় সোনা মিয়া ফারাজি এবং পিয়াস মিয়া নামে দুই ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। ওই দুজনকে বিএনপির কর্মী দাবি করে ৯ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন ডাকেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী। 

jamalpur-৪অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনের ব্যানারে লেখা হয়, তথাকথিত ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবুর নির্দেশে এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব এবং তথাকথিত ইসলামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম ঢালীর পরামর্শে পাথর্শী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোনা ফারাজী ও পাথর্শী ইউনিয়ন যুবদল কর্মী মো. পিয়াসকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী পক্ষের দুই কর্মী হলেন সোনা ফারাজী ও মো. পিয়াস। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল এবং পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন।

এর দুই দিন পর সংবাদ সম্মেলন ডেকে ওই দুই ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করেন বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম নবাব।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মনোনয়ন বড় বিষয় না। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা তাঁকে মেনে নেব। তবে দলের নাম ভাঙিয়ে কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। একটি পক্ষ দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করে যাচ্ছে।’

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব বলেন, ‘রাজনৈতিক ফায়দা নিতে আমাদের বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। হীন উদ্দেশ্যে কতিপয় নেতা–কর্মী দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে।’ 
 
উপজেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল ওয়াহাব মাস্টার বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে দ্রুত রাজনৈতিক বিরোধ সুরাহা না করা হলে, যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা জরুরি।’ 

ইসলামপুর থানার (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ বলেন, যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে থানা-পুলিশসহ সেনাবাহিনীর টহল দল মাঠে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাবিতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে: ডিনদের পদত্যাগ ইস্যুতে ছাত্রদল

রাবি প্রতিনিধি 
রাবিতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে: ডিনদের পদত্যাগ ইস্যুতে ছাত্রদল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগের ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে শাখা ছাত্রদল। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে তাঁরা জানান ক্যাম্পাসে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে।

বিবৃতিতে ছাত্রদল নেতারা বলেন, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের দেওয়া হুমকিমূলক বক্তব্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি অশোভন এবং অছাত্রসুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ। একজন ছাত্রনেতার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ জ্ঞানচর্চার পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে বারবার মারমুখী ও অশালীন আচরণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে তথাকথিত “তালা ঝোলানো” সংস্কৃতি ফ্যাসিবাদী মানসিকতারই প্রতিফলন। এর আগেও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যসহ একজন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল, যা সারা দেশের শিক্ষক সমাজের কাছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।’

ডিনদের পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্র করে তারা বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মব-সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সালাহউদ্দিন আম্মারের মতো কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা চালালে ছাত্রদলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’

এ ছাড়া ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকলে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা। তবে তথ্য-উপাত্ত ছাড়া অহেতুক ট্যাগিং ও অপপ্রচারের মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।

এদিকে ছাত্রদলের বিবৃতি প্রসঙ্গে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউট ছাত্রদল যেহেতু আমাকে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সেহেতু আমি সঠিক পথেই আছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের নেতা-কর্মী নাকি আমাকে শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘মনোনয়নপত্র নেওয়ার দিন মনে আছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের না, রাজশাহীর সর্বস্তরের কর্মী নিয়েও লাভ হয় নাই। সালাহউদ্দিন আম্মার একা দাঁড়াইয়া ছিল, ওই দিনও সব নেতা-কর্মীর স্লোগান, হুমকি-ধমকি দিয়ে একটা চুলও ছিঁড়তে পারে নাই। ডিনদের পদত্যাগ করাইলাম বাকি কাজও করে যাব।’

একই দিন রাতে জিএস আম্মারের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘একজন নির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধি হিসেবে রাকসুর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বশীলতা, সংযম ও প্রাতিষ্ঠানিক আচরণ প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বক্তব্যে তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র ফুটে উঠেছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

তাঁরা আরও বলেন, ‘অনুষদ অধিকর্তাদের নির্বাচিত মেয়াদ সমাপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য তাঁদের দায়িত্ব অব্যাহত রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কারও ভিন্নমত বা আপত্তি থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ভেতরে আলোচনা, আবেদন কিংবা প্রতিবাদের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সেই পথ অনুসরণ না করে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য, কুরুচিপূর্ণ ভাষা প্রয়োগ এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি প্রদান আইনশৃঙ্খলা, শিষ্টাচার ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিপন্থী।’

উল্লেখ্য, গতকাল সকাল থেকে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ দাবিতে আম্মারের নেতৃত্বে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। এতে ডিনদের চেম্বারে তালা ঝোলানোর পাশাপাশি প্রশাসনের সকল দপ্তরে তালা দেন তাঁরা। পরে এদিন রাতে এক সভায় ছয় ডিন তাঁদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রিমান্ডে নেওয়ার সময় কাশিমপুর কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

গাজীপুর প্রতিনিধি
ওয়াসিকুর রহমান বাবু। ছবি: সংগৃহীত
ওয়াসিকুর রহমান বাবু। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রিমান্ডে নেওয়ার সময় হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। কারাগারের অফিস কক্ষে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মারা যাওয়া নেতার নাম ওয়াসিকুর রহমান বাবু (৪৩)। তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এনায়েতুর রহমানের ছেলে। বাবু রাজধানীর বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সুপার আল মামুন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় ঝটিকা মিছিল করার সময় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হন ওয়াসিকুর রহমান বাবু। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ স্থানান্তর করা হয়। ওই মামলায় আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশের একটি দল তাকে হেফাজতে নিতে কারাগারে আসে। কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলাকালে তাকে অফিস কক্ষের (ভর্তি শাখা) একটি চেয়ারে বসানো হয়। এ সময় তিনি হঠাৎ চেয়ার থেকে ঢলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনার ৩৬ আসন: বেশি ঝুঁকিতে ৮৪২ কেন্দ্র

  • সন্ত্রাসকবলিত এলাকা বিবেচনায় তিন ক্যাটাগরিভুক্ত করা হয়েছে।
  • বিভাগে মোট ৫ হাজার ১৩৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
  • মহানগরীর ৭৯টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত।
কাজী শামিম আহমেদ, খুলনা
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৯
ভোট
ভোট

খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৫ হাজার ১৩৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪২টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলার ৩৪টি আসনে ৭৬৩টি এবং খুলনা মহানগরীর দুটি আসনে ৭৯টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) রয়েছে ১ হাজার ৮৫১টি ভোটকেন্দ্র।

প্রতিটি থানা থেকে সন্ত্রাসকবলিত এলাকা চিহ্নিত করে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিভাগের ১০ জেলায় ৩৪টি আসনে ৪ হাজার ৮২৪টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ৭৬৩টি। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ১ হাজার ৭২৩টি কেন্দ্র এবং সাধারণ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার ৩৩৮টি।

সূত্র আরও জানায়, খুলনা জেলায় ১৩৫টি ভোটকেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। যশোরে ১৮৬টি, বাগেরহাটে ১৮৬টি, সাতক্ষীরায় ৫৯টি, যশোরে ৭১টি, ঝিনাইদহে ৩৩টি, মাগুরায় ৫৫টি, নড়াইলে ৪২টি, কুষ্টিয়ায় ৯৯টি, চুয়াডাঙ্গায় ৫৭টি এবং মেহেরপুরে ২৭টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে।

জানতে চাইলে খুলনার অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি (অপারেশনস) শেখ জয়নুদ্দিন বলেন, তিন ক্যাটাগরিতে ভোটকেন্দ্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় থানা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ ক্যাটাগরিতে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিতকল্পে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে পুলিশ কাজ করবে। এ লক্ষ্যে পুলিশের ২৮টি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০টি প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে, বাকি ৮টি প্রশিক্ষণ হবে।

খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে দুটি আসন। খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) এবং খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসন। আসন দুটিতে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৩০৯টি। এর মধ্যে ৭৯টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ এ দুটি আসনে ৬৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছে পুলিশ।

এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবার আগেভাগেই মহানগরীর ভোটকেন্দ্রগুলো যাচাই করেছে পুলিশ। এতে ৩০৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৯টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, খুলনা জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ৮৪০টি। এর মধ্যে মহানগরীর ভেতরে রয়েছে ৩০৯টি কেন্দ্র। খুলনা-২ ও খুলনা-৩ আসনের সব ভোটকেন্দ্রই মহানগরীর ভেতরে। এর বাইরে খুলনা-১ আসনের ১৫টি এবং খুলনা-৫ আসনের ২২ কেন্দ্র পড়েছে নগরীর সীমানায়। এসব এলাকার সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শুধু মহানগরীর কেন্দ্রগুলোর ঝুঁকি আগে পর্যালোচনা করা হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে মহানগরীর ভেতরের ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে ঝুঁকি বিবেচনার জন্য থানার ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়। মহানগর পুলিশের আটটি থানার ওসি গত মাসে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

খুলনা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) ত ম রোকনুজ্জামান জানান, আগে ওই কেন্দ্রে কখনো গোলযোগ হয়েছে কি না, কোনো কারণে অতীতে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়েছে কি না, কেন্দ্রটি কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির বাড়ির আশপাশে কি না, ভোটকেন্দ্রটি দুর্গম এলাকায় কি না, কেন্দ্রের চারপাশে সীমানাপ্রাচীর অথবা নির্বিঘ্নে যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে কি না, অপরাধ করে দ্রুত সটকে পড়ার আশঙ্কা কেমন–এসব বিবেচনায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অতি গুরুত্বপূর্ণ তালিকা করা হয়।

খুলনা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন এবং উৎসবমুখর করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সেভাবেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বলেন, ভোটকেন্দ্র ও ভোটের পরিবেশ নিয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। এবার ভোটকেন্দ্রে যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, কয়েক মাস আগে থেকেই তাঁদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এখনো প্রশিক্ষণ চলছে। ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ যেন না হয়, সে জন্য করণীয়, গোলযোগ হলে কী করতে হবে—এসব বিষয়ে বিশদভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগে এ ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। তিনি বলেন, খুলনার ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ১৪১টিতে নিজস্ব সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। নির্বাচনের আগে বাকিগুলোতে ক্যামেরা সংযোজন করা হবে। এ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের কাছেও ক্যামেরা থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১ বছর ধরে নষ্ট ২৫০ সিসিটিভি ক্যামেরা

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪০
১ বছর ধরে নষ্ট ২৫০ সিসিটিভি ক্যামেরা

মাদারীপুর শহরে চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ কমাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে প্রায় এক বছরের মধ্যে এসব ক্যামেরার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কোথাও ক্যামেরার বক্স থাকলেও ক্যামেরা নেই; কোথাও ক্যামেরা আছে, বক্স নেই; আবার কোথাও শুধু ঝুলে আছে তার। নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে বসানো এসব ক্যামেরা কার্যত কোনো কাজে আসছে না। দ্রুত ক্যামেরাগুলো মেরামতের দাবি শহরবাসীর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের মে মাসে তৎকালীন পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের উদ্যোগে এবং মাদারীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬০টি আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এসব ক্যামেরা মাদারীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছিল। তবে স্থাপনের কিছুদিন পর থেকে ধীরে ধীরে ক্যামেরাগুলো নষ্ট হতে শুরু করে। বর্তমানে প্রায় এক বছর ধরে অধিকাংশ ক্যামেরা অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে, কিন্তু এখনো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে শহরে দিনদুপুরে চুরি, ছিনতাই, ইভ টিজিংসহ নানা অপরাধ বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদারীপুর নতুন শহর, কালীবাড়ি, সুমন হোটেল মোড়, কলেজ রোড, বটতলা, বাদামতলা, পুরান বাজার, শকুনি লেকপাড়, ডিসি ব্রিজ, ইটেরপুল, পুরাতন ও নতুন বাসস্ট্যান্ড, রেন্ডিতলা, মিলন সিনেমা হল এলাকা, কাজীর মোড়, থানার সামনে, কলেজের সামনে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জজকোর্ট এলাকাসহ পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে বসানো ক্যামেরাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অচল। অধিকাংশ ক্যামেরায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ নেই। অনেক স্থানে ক্যামেরা ও সংযোগের তার চুরি হয়ে গেছে, আবার কোথাও ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে কোথাও শুধু বক্স, কোথাও শুধু ক্যামেরা, আবার কোথাও ঝুলে আছে তার। এতে করে শহরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে।

মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ডিসি ব্রিজ এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো প্রায় এক বছর ধরে নষ্ট। এই এলাকা শহরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্ধ্যার পর চায়ের দোকানগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের আড্ডা বসে এবং প্রায়ই মারামারির ঘটনা ঘটে। ক্যামেরাগুলো সচল থাকলে অনেক অপরাধ আগেভাগেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।’

শকুনি লেকপাড় এলাকার খেলনা বিক্রেতা পারভীন বেগম বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেলের দিকে এখানে কয়েক শ মানুষ আসে। নানা বয়সের মানুষ ঘোরাফেরা করে। অনেক সময় নারীরা ইভ টিজিংয়ের শিকার হন। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো দ্রুত মেরামত করা হলে সাধারণ মানুষ অনেকটা নিরাপদে চলাচল করতে পারবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগির ক্যামেরাগুলো মেরামত করে আবার চালু করা সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত