মাদ্রাসার নিয়োগ-বাণিজ্যের টাকা ভাগের অডিও ফাঁস

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১: ৩৫

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া ডি এস দাখিল মাদ্রাসায় তিনটি পদে নিয়োগ-বাণিজ্য নিয়ে ভাগ-বাঁটোয়ারা দ্বন্দ্বের অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। তিন দিন ধরে এই অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়াচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডি এস দাখিল মাদ্রাসায় একজন নিরাপত্তাকর্মী, একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং একজন আয়া পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তিনটি পদে নিয়োগে ১৩ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। এই টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে যে তিনজনের কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তাঁরা হলেন মাদ্রাসার সুপার তাজুল ইসলাম, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদির ও মাদ্রাসার বিদ্যোৎসাহী সদস্য এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহ আলম।

কথোপকথনে জানা যায়, মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল কাদির নিয়োগ সম্পন্ন করার পর ৩ লাখ টাকা ম্যানেজিং কমিটির অন্য সদস্যের দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এতে সদস্যরা রাজি হননি। কথোপকথনের একপর্যায়ে মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। একপর্যায়ে সভাপতি আব্দুল কাদির জানান, এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কথোপকথনে সভাপতি এ-ও স্বীকার করেন, নিয়োগের জন্য ১৩ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা শাহ আলম বলেন, ‘অডিও রেকর্ডে যা আছে, সবই সত্য। ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষর ছাড়াই সুপার ও সভাপতি মিলে নিয়োগ দিয়ে টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছে।’

আব্দুল কাদির মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে, তা শুনেছি। তিনটি পদে আমি সুপার ও ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন মিলে নিয়োগ দিয়েছি। তবে টাকাপয়সা নিইনি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’

তবে এ নিয়ে কথা বলতে মাদ্রাসার সুপারকে একাধিকার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এই নিয়োগ-বাণিজ্যের বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। টাকাপয়সা লেনদেনের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত