পূর্বধলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, আটক ১৩

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২: ১৮

নেত্রকোনার পূর্বধলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীর সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশের চার সদস্য ও বিএনপির এক নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চারটি তাজা ককটেল ও একটি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই আলাল উদ্দিন, কনস্টেবল জাকারিয়া, রুহুল আমিন, শহিদুল ইসলাম। 

এ ছাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইসতিয়াক আহমেদ বাবু আহত হয়েছেন। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা শেষে র‍্যালি নিয়ে খাদ্যগুদাম এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এতে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে চার পুলিশ ও এক বিএনপির নেতা আহত হন। এ সময় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সরকারসহ ১৩ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। 

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল আলম তালুকদার জানান, বাংলাদেশ বিএনপি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয় থেকে শান্তিপূর্ণ র‍্যালিতে পুলিশ বাধা দেয়। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক করে। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। 

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শান্তিপূর্ণ প্রোগ্রামে পুলিশ এক তরফভাবে হামলা চালায়। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইসতিয়াক আহমেদ বাবুকে গুরুতর আহত করে। পরে ১৩ নেতা-কর্মীকে আটক করে। এটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। ককটেল উদ্ধার পুলিশের একটি সাজানো নাটক। শুধু মামলা দেওয়ার জন্য কিছু জর্দার কৌটা সংগ্রহ করে সেগুলোকে ককটেল হিসেবে দেখায় পুলিশ।’

বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর কোনো হামলা চালায়নি দাবি করে তিনি বলেন, ‘ওই চার পুলিশ সদস্য হয়তো দৌড়াতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আহত হয়ে থাকতে পারেন। নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলা ও আটকের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই।’

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলীয় কার্যালয়ে বিকেল ৪টায় প্রোগ্রাম করার কথা থাকলেও ৩টার দিকেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে মিছিল শুরু করে। এতে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর বিএনপির নেতা-কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৪টি তাজা ককটেল ও একটি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের (বিএনপি) হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত