Ajker Patrika

টেন্ডার নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেলে যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
টেন্ডার নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেলে যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টেন্ডার নিয়ে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর দুই পক্ষ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের আশপাশ এলাকায় অবস্থান নিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানা গেছে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ক্রয়-বিক্রয় সিডিউল বিক্রির কার্যক্রম চলছিল। সিডিউল ক্রয় নিয়ে জেলা যুবলীগ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুটি পক্ষের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে জেলা যুবলীগের সদস্য আসাদুজ্জামান রুমেল সিডিউল কিনতে গেলে বাঁধা দেয় মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি নাসিম মন্ডল নিকু।

এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনার ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার পর হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জেলা যুবলীগের সদস্য আসাদুজ্জামান রুমেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেন্ডারের সিডিউল বিক্রি চলছে গত এক মাস ধরে। কিন্তু মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি নাসিম মন্ডল নিকু সিডিউল বিক্রি করতে দেবেন না। আজকে আমরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের সিডিউল কিনতে আসলে নাসিম মন্ডলের লোকজন বাধা দেয়। এসময় কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। তবে, আমরা সিডিউল কিনেছি।’

এ বিষয়ে জানতে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকের সহসভাপতি নাসিম মন্ডল নিকু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ভদ্রভাবেই সিডিউল কিনতে গিয়েছিলাম। সিডিউল কেনার জন্য হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় তারা এসে ঝামেলা শুরু করে দেয়।’

যুবলীগ নেতাদের অভিযোগ আপনারা তাদের সিডিউল কিনতে দিবেন না বলেই হাসপাতালে গিয়েছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা এখন অনেক কথাই বলতে পারে। তবে, আমরা কাউকে বাধা দিতে যাইনি।

যুবলীগের নেতা কর্মীরা অস্ত্র নিয়ে আসছে, হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা দেখলেই বুঝা যাবে। কারা কি করতে আসছে।’

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিডিউল বিক্রির নিয়মিত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ তারিখ।’ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তেমন কিছু ঘটেনি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘শুনেছি টেন্ডার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত