বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
পরিবারের লোকজন গল্প করছেন মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। আড়াল থেকে সেসব কথা শুনে ফেলে বারহাট্টা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়া শিক্ষার্থী মাফিয়া। কিন্তু সে যে বিষয়টি জানে তা কাউকেই বুঝতে দেয়নি। পরে সহপাঠীদের কাছে বিষয়টি বলে সে। এরপর মাফিয়ার সব কথা শুনে তার সহপাঠীরা বিয়ে বন্ধের উদ্যোগ নেয়।
সহপাঠীরা মাফিয়ার বিয়ে বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে বারহাট্টা উপজেলার তথ্য আপার কাছে একটি অভিযোগ করে। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা তথ্য আপা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার মাফিয়ার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তার পরিবারকে বুঝিয়ে বিয়েটি বন্ধ করতে সক্ষম হন তাঁরা। মেয়ে যতটুকু পড়তে পারে ততটুকুই পড়াবেন বলে তথ্য আপা ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে নিশ্চয়তা দিয়েছে কিশোরীর পরিবার।
মাফিয়ার বাড়ি বারহাট্টা উপজেলার স্বল্পদশাল গ্রামে। তার বাবার নাম শাহজাহান মিয়া, যিনি এক বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছেন। বাবার মৃত্যুর পরই পরিবারটি আর্থিক সংকটে পড়ে, যার কারণে পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় মাফিয়ার পড়াশোনা বন্ধ করে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার। অবশেষে বারহাট্টা উপজেলার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ও উপজেলা তথ্য আপা মাফিয়ার পরিবারকে বুঝিয়ে এখনই যাতে বিয়ে না দেওয়া হয় সেটি নিশ্চিত করেছেন।
মাফিয়ার বান্ধবী স্মৃতি আক্তার ও নাজমা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘মাফিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রাইভেটে আসছিল না। তাই আমরা তার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করি। তখন হঠাৎ মাফিয়া আমাদের ফোন দিয়ে জানায় যে তার পরিবার থাকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছে। বাবা মারা যাওয়ায় তার পরিবার এখন আর তাকে পড়াশোনা করাতে চায় না। বিষয়টি আমরা দ্রুত বারহাট্টা উপজেলার তথ্য কর্মকর্তাকে অভিযোগের মাধ্যমে অবগত করি। তখন তাঁরা মাফিয়ার মা ও ভাইকে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হন। এখন আমরা বান্ধবীরা অনেক খুশি।’
এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা কাপিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে এসেই প্রথমে অভিযোগ জানায়। সে পড়াশোনা করতে চায়। এখনই বিয়েতে রাজি না। তার বিয়েটা বন্ধের জন্য তার মা-ভাইকে যেন বোঝানোর চেষ্টা করি। তাদের আর্থিক অবস্থা দুর্বল, যার কারণে তাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি দ্রুত ইউএনও স্যারকে জানাই। তখন ইউএনও স্যার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে কাউনসেলিং করার জন্য বলেন। কাউনসেলিং করার পর মেয়েটির মা জানান, তাঁরা এখন আর বিয়ে দেবেন না। মাফিয়া তার নিজের ইচ্ছেমতো যতটুকু সম্ভব পড়াশোনা করতে পারবে। যেহেতু মেয়েটি পড়াশোনা করতে আগ্রহী, তাই আমাদের পক্ষ থেকে পড়াশোনার বিষয়ে সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা উপজেলা প্রশাসন সব সময়ই বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছি। বাল্যবিবাহ রোধে যা যা করণীয় সবই আমরা করছি। কাউন্সেলিংয়ের ফলে এখন পরিবারটি বাল্যবিবাহের কুফল বুঝতে পেরেছে। মেয়েটির স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে তার বেতন মওকুফ করার ব্যবস্থা করা হবে। আর মেয়েটিকে উপজেলা থেকে আইজিএ প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে, যাতে সে স্বাবলম্বী হতে পারে।
পরিবারের লোকজন গল্প করছেন মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। আড়াল থেকে সেসব কথা শুনে ফেলে বারহাট্টা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়া শিক্ষার্থী মাফিয়া। কিন্তু সে যে বিষয়টি জানে তা কাউকেই বুঝতে দেয়নি। পরে সহপাঠীদের কাছে বিষয়টি বলে সে। এরপর মাফিয়ার সব কথা শুনে তার সহপাঠীরা বিয়ে বন্ধের উদ্যোগ নেয়।
সহপাঠীরা মাফিয়ার বিয়ে বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে বারহাট্টা উপজেলার তথ্য আপার কাছে একটি অভিযোগ করে। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা তথ্য আপা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার মাফিয়ার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তার পরিবারকে বুঝিয়ে বিয়েটি বন্ধ করতে সক্ষম হন তাঁরা। মেয়ে যতটুকু পড়তে পারে ততটুকুই পড়াবেন বলে তথ্য আপা ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে নিশ্চয়তা দিয়েছে কিশোরীর পরিবার।
মাফিয়ার বাড়ি বারহাট্টা উপজেলার স্বল্পদশাল গ্রামে। তার বাবার নাম শাহজাহান মিয়া, যিনি এক বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছেন। বাবার মৃত্যুর পরই পরিবারটি আর্থিক সংকটে পড়ে, যার কারণে পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় মাফিয়ার পড়াশোনা বন্ধ করে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার। অবশেষে বারহাট্টা উপজেলার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ও উপজেলা তথ্য আপা মাফিয়ার পরিবারকে বুঝিয়ে এখনই যাতে বিয়ে না দেওয়া হয় সেটি নিশ্চিত করেছেন।
মাফিয়ার বান্ধবী স্মৃতি আক্তার ও নাজমা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘মাফিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রাইভেটে আসছিল না। তাই আমরা তার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করি। তখন হঠাৎ মাফিয়া আমাদের ফোন দিয়ে জানায় যে তার পরিবার থাকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছে। বাবা মারা যাওয়ায় তার পরিবার এখন আর তাকে পড়াশোনা করাতে চায় না। বিষয়টি আমরা দ্রুত বারহাট্টা উপজেলার তথ্য কর্মকর্তাকে অভিযোগের মাধ্যমে অবগত করি। তখন তাঁরা মাফিয়ার মা ও ভাইকে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হন। এখন আমরা বান্ধবীরা অনেক খুশি।’
এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা কাপিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে এসেই প্রথমে অভিযোগ জানায়। সে পড়াশোনা করতে চায়। এখনই বিয়েতে রাজি না। তার বিয়েটা বন্ধের জন্য তার মা-ভাইকে যেন বোঝানোর চেষ্টা করি। তাদের আর্থিক অবস্থা দুর্বল, যার কারণে তাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি দ্রুত ইউএনও স্যারকে জানাই। তখন ইউএনও স্যার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে কাউনসেলিং করার জন্য বলেন। কাউনসেলিং করার পর মেয়েটির মা জানান, তাঁরা এখন আর বিয়ে দেবেন না। মাফিয়া তার নিজের ইচ্ছেমতো যতটুকু সম্ভব পড়াশোনা করতে পারবে। যেহেতু মেয়েটি পড়াশোনা করতে আগ্রহী, তাই আমাদের পক্ষ থেকে পড়াশোনার বিষয়ে সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা উপজেলা প্রশাসন সব সময়ই বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছি। বাল্যবিবাহ রোধে যা যা করণীয় সবই আমরা করছি। কাউন্সেলিংয়ের ফলে এখন পরিবারটি বাল্যবিবাহের কুফল বুঝতে পেরেছে। মেয়েটির স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে তার বেতন মওকুফ করার ব্যবস্থা করা হবে। আর মেয়েটিকে উপজেলা থেকে আইজিএ প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে, যাতে সে স্বাবলম্বী হতে পারে।
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
১ ঘণ্টা আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে