‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ

রাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৪, ১৮: ২৫
Thumbnail image

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন বাজারসংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী রেললাইন অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। এতে সারা দেশের সঙ্গে রাজশাহীর রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। 

এর আগে আজ বিকেল ৪টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক ও বিভিন্ন আবাসিক হল ঘুরে ক্যাম্পাস সংলগ্ন স্টেশন বাজারের রেললাইন অবরোধ করেন। 

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, লড়াই হবে একসঙ্গে’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোথায় প্রথার কবর দে’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যর ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে,’ ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। 

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন ভৌমিক বলেন, ‘আমাদের ন্যায্য দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী ভাইদের ওপর যে বর্বরোচিত হামলা পুলিশ চালিয়েছে, আমরা তার প্রতিবাদে এই রেল অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি। আমরা এই বর্বর রচিত হামলার সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি।’

রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমেদ তপু বলেন, ‘গতকাল সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের শিক্ষার্থী ভাইদের ওপর যে ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে, আমরা অনতিবিলম্বে তার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’ 

ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন বলেন, ‘মিডিয়ায় যতই ছড়ানো হোক না কেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম হামলা হয়েছে, সেটি সঠিক নয়। আমরা কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, গত মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রথম এক শিক্ষার্থী হামলার শিকার হন।’ 

আজকের রেল অবরোধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এক দফা দাবিতে আজকের এই রেল অবরোধ কর্মসূচি পালন করতেছি। আমাদের দাবিটি হলো, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রেখে সংসদে আইন পাস করতে হবে। আমাদের এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

দেওয়ানি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে একগুচ্ছ সুপারিশ কমিশনের

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত