রিমন রহমান, রাজশাহী

টাকা দিলেই পর্যটন করপোরেশনের রাজশাহীর বারে মেলে মদ। চাইলে পার্সেলে বাইরেও মদ নিয়ে যাওয়া যায়। অথচ বৈধ বার থেকেও মদ বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যাঁরা মদপানে অভ্যস্ত, তাঁদের ভেতরে বসেই পান করতে হবে। আর এ জন্য থাকতে হবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পারমিট লাইসেন্স। লাইসেন্স ছাড়া বারে বসেও মদপানের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু একেবারে উল্টো চিত্র এই বারে।
রাজশাহী পর্যটন মোটেল সংলগ্ন এই বারটি পাঁচ বছর পর পর ইজারা দেওয়া হয়। পরিচালিত হয় ব্যক্তিমালিকানায়। ফলে ইজারা গ্রহণকারী সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছেমতো বার চালান। এই বার চলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্সে। কিন্তু নিয়ম না মানার কারণে অধিদপ্তরকেও এই বারের বিরুদ্ধে কখনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। ইজারার শর্ত রোজ লঙ্ঘন হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না পর্যটন করপোরেশন।
এদিকে থার্টিফার্স্ট নাইটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। এতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি (রোববার) পর্যন্ত বৈধও বারও বন্ধ রাখতে হবে। তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে দেখা গেল রাজশাহী পর্যটন বার খোলা। বারে তরুণদের হুমড়ি খাওয়া ভিড়। সাধারণত নিরিবিলি থাকা ওই এলাকায় রিকশা, অটোরিকশা আর মোটরসাইকেলের চাপে রীতিমতো যানজট লেগে ছিল। ভেতরে ঢুকতেই সিকিউরিটি ইনচার্জ বললেন, ‘পার্সেল নিলে ওপরে ওঠার দরকার নেই। পার্সেল দেওয়া হচ্ছে নিচতলা থেকেই।’
নিচ তলার গ্যারেজে ডিপ ফ্রিজ থেকে নানা নামের মদের বোতল বের করে বিক্রি করছিলেন নিরাপত্তা প্রহরী মো. আরিফ। তাঁর সামনে টেবিলে রাখা একটি বাক্স রাখা। যারা মদ কিনছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছিল বকশিশ। বকশিশের সেই টাকা ভরে রাখা হচ্ছিল ওই বাক্সে। পাশেই দরদাম করছিলেন তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর কয়েক জন। পাঁচ হাজার টাকার মদ তাঁরা তিন হাজার দিতে চাচ্ছিলেন। শেষমেশ তিন হাজার টাকায় রফা হলো। মদ নিয়ে তারা চলে গেলেন। এদের মতো অসংখ্য মানুষ মদ কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এদের বেশির ভাগই বয়সে তরুণ। মদ দেওয়ার সময় পারমিট লাইসেন্স ভুলেও দেখতে চাচ্ছিলেন না বিক্রেতা আরিফ। দোতলা ও তৃতীয়তলায় উঠে দেখা গেল, আলো-আঁধারের মাঝে বসে চলছে মদ্যপান। একটি টেবিলও ফাঁকা দেখা গেল না। সেবনের লাইসেন্স না দেখেই তাদের মদ দেওয়া হচ্ছিল।
নিচতলায় পার্সেলের মদ বিক্রির সময় প্রত্যেকের কাছ থেকেই নেওয়া হচ্ছিল বকশিশ। কেউ ১০০ টাকা বকশিশ দিলে আরিফসহ অন্য নিরাপত্তা প্রহরীরা বলছিলেন, আজকের দিনে ১০০ টাকা বকশিশ চলে না। ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বকশিশ নিয়ে তারা বাক্সে ঢোকাচ্ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীতে মদপানের লাইসেন্স আছে প্রায় ৩৬০ জনের। এদের অনেকেই মারা গেছেন। এখন বৈধ লাইন্সেধারীর সংখ্যা মাত্র ১৫০ জন। কিন্তু রোজ রাতে রাজশাহী বারে মদ পান করেন অন্তত ৫০০ জন। এদের কারও লাইসেন্স থাকে না। বারে লাইসেন্স দেখাও হয় না। এ জন্য তাঁদের কাছ থেকে যে বকশিশ আদায় হয় তা ভাগ করে নেন বারের ব্যবস্থাপক আবদুর রাজ্জাকসহ কর্মচারীরা।
বিষয়টি স্বীকারও করেছেন রাজ্জাক বলেন, ‘বকশিশের বাক্সে এখানকার কর্মচারীরা কিছু বকশিশ নেয়। কাজ শেষে তারাই ভাগ করে নেয়।’ পারমিট লাইসেন্স না থেকেই সবাইকেই মদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব সময় আসলে লাইসেন্স দেখা হয় না।’ নিয়ম না থাকলেও পার্সেলে মদ বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকে বাসায় নিয়ে গিয়ে খেতে চায়। সে কারণে দিতে হয়।’ আরএমপির নিষেধাজ্ঞার পরও বার খোলা রাখার বিষয়ে বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থার্টি ফাস্ট নাইটে বন্ধ রাখতে বলেছে। পুলিশের নির্দেশনা জানি না।’
নিয়ম-নীতি না মেনেই বার পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে আমি হঠাৎ বার দেখতে গিয়েছিলাম। এই ধরনের অনিয়মগুলো আমিও দেখেছি। ওদের সতর্ক করে এসেছি। এরপরও নিয়ম-নীতি না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পারমিট লাইসেন্স ছাড়াই যদি বারে গিয়ে সবাই মদ পায়, কিংবা পার্সেল নিয়ে যায় তাহলে বৈধ আর অবৈধ ব্যবসার মধ্যে তো কোনো পার্থক্য থাকল না।’
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও বার খোলা রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা দেখছি। এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ পরে রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি দল গিয়ে বার বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আজ শনিবার সকাল থেকে আবারও বার খোলা হয় পার্সেল বিক্রি করার জন্য। বাইরে বার বন্ধের নোটিশ টানিয়েও বিক্রি করা হচ্ছিল মদ। আজ দুপুরের দিকে রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি দল আবার গিয়ে মদ বিক্রি বন্ধ করে।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) আ. ন. ম. মোস্তাদুদ দস্তগীর বলেন, ‘বার থেকে মদ বাইরে নেওয়ার সুযোগ নেই। খেতে হলেও লাইসেন্স থাকা লাগবে। রাজশাহীতে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে, এ বিষয়টি জানা নেই। আমি রাজশাহী পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপককে এখনই জানাচ্ছি।’ পরে তিনি ফোন করে জানান, বারের ইজারাদার লন্ডনে। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। তবে বার ব্যবস্থাপককে সতর্ক করেছেন।

টাকা দিলেই পর্যটন করপোরেশনের রাজশাহীর বারে মেলে মদ। চাইলে পার্সেলে বাইরেও মদ নিয়ে যাওয়া যায়। অথচ বৈধ বার থেকেও মদ বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যাঁরা মদপানে অভ্যস্ত, তাঁদের ভেতরে বসেই পান করতে হবে। আর এ জন্য থাকতে হবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পারমিট লাইসেন্স। লাইসেন্স ছাড়া বারে বসেও মদপানের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু একেবারে উল্টো চিত্র এই বারে।
রাজশাহী পর্যটন মোটেল সংলগ্ন এই বারটি পাঁচ বছর পর পর ইজারা দেওয়া হয়। পরিচালিত হয় ব্যক্তিমালিকানায়। ফলে ইজারা গ্রহণকারী সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছেমতো বার চালান। এই বার চলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্সে। কিন্তু নিয়ম না মানার কারণে অধিদপ্তরকেও এই বারের বিরুদ্ধে কখনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। ইজারার শর্ত রোজ লঙ্ঘন হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না পর্যটন করপোরেশন।
এদিকে থার্টিফার্স্ট নাইটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। এতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি (রোববার) পর্যন্ত বৈধও বারও বন্ধ রাখতে হবে। তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে দেখা গেল রাজশাহী পর্যটন বার খোলা। বারে তরুণদের হুমড়ি খাওয়া ভিড়। সাধারণত নিরিবিলি থাকা ওই এলাকায় রিকশা, অটোরিকশা আর মোটরসাইকেলের চাপে রীতিমতো যানজট লেগে ছিল। ভেতরে ঢুকতেই সিকিউরিটি ইনচার্জ বললেন, ‘পার্সেল নিলে ওপরে ওঠার দরকার নেই। পার্সেল দেওয়া হচ্ছে নিচতলা থেকেই।’
নিচ তলার গ্যারেজে ডিপ ফ্রিজ থেকে নানা নামের মদের বোতল বের করে বিক্রি করছিলেন নিরাপত্তা প্রহরী মো. আরিফ। তাঁর সামনে টেবিলে রাখা একটি বাক্স রাখা। যারা মদ কিনছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছিল বকশিশ। বকশিশের সেই টাকা ভরে রাখা হচ্ছিল ওই বাক্সে। পাশেই দরদাম করছিলেন তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর কয়েক জন। পাঁচ হাজার টাকার মদ তাঁরা তিন হাজার দিতে চাচ্ছিলেন। শেষমেশ তিন হাজার টাকায় রফা হলো। মদ নিয়ে তারা চলে গেলেন। এদের মতো অসংখ্য মানুষ মদ কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এদের বেশির ভাগই বয়সে তরুণ। মদ দেওয়ার সময় পারমিট লাইসেন্স ভুলেও দেখতে চাচ্ছিলেন না বিক্রেতা আরিফ। দোতলা ও তৃতীয়তলায় উঠে দেখা গেল, আলো-আঁধারের মাঝে বসে চলছে মদ্যপান। একটি টেবিলও ফাঁকা দেখা গেল না। সেবনের লাইসেন্স না দেখেই তাদের মদ দেওয়া হচ্ছিল।
নিচতলায় পার্সেলের মদ বিক্রির সময় প্রত্যেকের কাছ থেকেই নেওয়া হচ্ছিল বকশিশ। কেউ ১০০ টাকা বকশিশ দিলে আরিফসহ অন্য নিরাপত্তা প্রহরীরা বলছিলেন, আজকের দিনে ১০০ টাকা বকশিশ চলে না। ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বকশিশ নিয়ে তারা বাক্সে ঢোকাচ্ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীতে মদপানের লাইসেন্স আছে প্রায় ৩৬০ জনের। এদের অনেকেই মারা গেছেন। এখন বৈধ লাইন্সেধারীর সংখ্যা মাত্র ১৫০ জন। কিন্তু রোজ রাতে রাজশাহী বারে মদ পান করেন অন্তত ৫০০ জন। এদের কারও লাইসেন্স থাকে না। বারে লাইসেন্স দেখাও হয় না। এ জন্য তাঁদের কাছ থেকে যে বকশিশ আদায় হয় তা ভাগ করে নেন বারের ব্যবস্থাপক আবদুর রাজ্জাকসহ কর্মচারীরা।
বিষয়টি স্বীকারও করেছেন রাজ্জাক বলেন, ‘বকশিশের বাক্সে এখানকার কর্মচারীরা কিছু বকশিশ নেয়। কাজ শেষে তারাই ভাগ করে নেয়।’ পারমিট লাইসেন্স না থেকেই সবাইকেই মদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব সময় আসলে লাইসেন্স দেখা হয় না।’ নিয়ম না থাকলেও পার্সেলে মদ বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকে বাসায় নিয়ে গিয়ে খেতে চায়। সে কারণে দিতে হয়।’ আরএমপির নিষেধাজ্ঞার পরও বার খোলা রাখার বিষয়ে বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থার্টি ফাস্ট নাইটে বন্ধ রাখতে বলেছে। পুলিশের নির্দেশনা জানি না।’
নিয়ম-নীতি না মেনেই বার পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে আমি হঠাৎ বার দেখতে গিয়েছিলাম। এই ধরনের অনিয়মগুলো আমিও দেখেছি। ওদের সতর্ক করে এসেছি। এরপরও নিয়ম-নীতি না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পারমিট লাইসেন্স ছাড়াই যদি বারে গিয়ে সবাই মদ পায়, কিংবা পার্সেল নিয়ে যায় তাহলে বৈধ আর অবৈধ ব্যবসার মধ্যে তো কোনো পার্থক্য থাকল না।’
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও বার খোলা রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা দেখছি। এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ পরে রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি দল গিয়ে বার বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আজ শনিবার সকাল থেকে আবারও বার খোলা হয় পার্সেল বিক্রি করার জন্য। বাইরে বার বন্ধের নোটিশ টানিয়েও বিক্রি করা হচ্ছিল মদ। আজ দুপুরের দিকে রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি দল আবার গিয়ে মদ বিক্রি বন্ধ করে।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) আ. ন. ম. মোস্তাদুদ দস্তগীর বলেন, ‘বার থেকে মদ বাইরে নেওয়ার সুযোগ নেই। খেতে হলেও লাইসেন্স থাকা লাগবে। রাজশাহীতে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে, এ বিষয়টি জানা নেই। আমি রাজশাহী পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপককে এখনই জানাচ্ছি।’ পরে তিনি ফোন করে জানান, বারের ইজারাদার লন্ডনে। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। তবে বার ব্যবস্থাপককে সতর্ক করেছেন।
রিমন রহমান, রাজশাহী

টাকা দিলেই পর্যটন করপোরেশনের রাজশাহীর বারে মেলে মদ। চাইলে পার্সেলে বাইরেও মদ নিয়ে যাওয়া যায়। অথচ বৈধ বার থেকেও মদ বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যাঁরা মদপানে অভ্যস্ত, তাঁদের ভেতরে বসেই পান করতে হবে। আর এ জন্য থাকতে হবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পারমিট লাইসেন্স। লাইসেন্স ছাড়া বারে বসেও মদপানের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু একেবারে উল্টো চিত্র এই বারে।
রাজশাহী পর্যটন মোটেল সংলগ্ন এই বারটি পাঁচ বছর পর পর ইজারা দেওয়া হয়। পরিচালিত হয় ব্যক্তিমালিকানায়। ফলে ইজারা গ্রহণকারী সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছেমতো বার চালান। এই বার চলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্সে। কিন্তু নিয়ম না মানার কারণে অধিদপ্তরকেও এই বারের বিরুদ্ধে কখনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। ইজারার শর্ত রোজ লঙ্ঘন হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না পর্যটন করপোরেশন।
এদিকে থার্টিফার্স্ট নাইটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। এতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি (রোববার) পর্যন্ত বৈধও বারও বন্ধ রাখতে হবে। তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে দেখা গেল রাজশাহী পর্যটন বার খোলা। বারে তরুণদের হুমড়ি খাওয়া ভিড়। সাধারণত নিরিবিলি থাকা ওই এলাকায় রিকশা, অটোরিকশা আর মোটরসাইকেলের চাপে রীতিমতো যানজট লেগে ছিল। ভেতরে ঢুকতেই সিকিউরিটি ইনচার্জ বললেন, ‘পার্সেল নিলে ওপরে ওঠার দরকার নেই। পার্সেল দেওয়া হচ্ছে নিচতলা থেকেই।’
নিচ তলার গ্যারেজে ডিপ ফ্রিজ থেকে নানা নামের মদের বোতল বের করে বিক্রি করছিলেন নিরাপত্তা প্রহরী মো. আরিফ। তাঁর সামনে টেবিলে রাখা একটি বাক্স রাখা। যারা মদ কিনছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছিল বকশিশ। বকশিশের সেই টাকা ভরে রাখা হচ্ছিল ওই বাক্সে। পাশেই দরদাম করছিলেন তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর কয়েক জন। পাঁচ হাজার টাকার মদ তাঁরা তিন হাজার দিতে চাচ্ছিলেন। শেষমেশ তিন হাজার টাকায় রফা হলো। মদ নিয়ে তারা চলে গেলেন। এদের মতো অসংখ্য মানুষ মদ কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এদের বেশির ভাগই বয়সে তরুণ। মদ দেওয়ার সময় পারমিট লাইসেন্স ভুলেও দেখতে চাচ্ছিলেন না বিক্রেতা আরিফ। দোতলা ও তৃতীয়তলায় উঠে দেখা গেল, আলো-আঁধারের মাঝে বসে চলছে মদ্যপান। একটি টেবিলও ফাঁকা দেখা গেল না। সেবনের লাইসেন্স না দেখেই তাদের মদ দেওয়া হচ্ছিল।
নিচতলায় পার্সেলের মদ বিক্রির সময় প্রত্যেকের কাছ থেকেই নেওয়া হচ্ছিল বকশিশ। কেউ ১০০ টাকা বকশিশ দিলে আরিফসহ অন্য নিরাপত্তা প্রহরীরা বলছিলেন, আজকের দিনে ১০০ টাকা বকশিশ চলে না। ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বকশিশ নিয়ে তারা বাক্সে ঢোকাচ্ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীতে মদপানের লাইসেন্স আছে প্রায় ৩৬০ জনের। এদের অনেকেই মারা গেছেন। এখন বৈধ লাইন্সেধারীর সংখ্যা মাত্র ১৫০ জন। কিন্তু রোজ রাতে রাজশাহী বারে মদ পান করেন অন্তত ৫০০ জন। এদের কারও লাইসেন্স থাকে না। বারে লাইসেন্স দেখাও হয় না। এ জন্য তাঁদের কাছ থেকে যে বকশিশ আদায় হয় তা ভাগ করে নেন বারের ব্যবস্থাপক আবদুর রাজ্জাকসহ কর্মচারীরা।
বিষয়টি স্বীকারও করেছেন রাজ্জাক বলেন, ‘বকশিশের বাক্সে এখানকার কর্মচারীরা কিছু বকশিশ নেয়। কাজ শেষে তারাই ভাগ করে নেয়।’ পারমিট লাইসেন্স না থেকেই সবাইকেই মদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব সময় আসলে লাইসেন্স দেখা হয় না।’ নিয়ম না থাকলেও পার্সেলে মদ বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকে বাসায় নিয়ে গিয়ে খেতে চায়। সে কারণে দিতে হয়।’ আরএমপির নিষেধাজ্ঞার পরও বার খোলা রাখার বিষয়ে বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থার্টি ফাস্ট নাইটে বন্ধ রাখতে বলেছে। পুলিশের নির্দেশনা জানি না।’
নিয়ম-নীতি না মেনেই বার পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে আমি হঠাৎ বার দেখতে গিয়েছিলাম। এই ধরনের অনিয়মগুলো আমিও দেখেছি। ওদের সতর্ক করে এসেছি। এরপরও নিয়ম-নীতি না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পারমিট লাইসেন্স ছাড়াই যদি বারে গিয়ে সবাই মদ পায়, কিংবা পার্সেল নিয়ে যায় তাহলে বৈধ আর অবৈধ ব্যবসার মধ্যে তো কোনো পার্থক্য থাকল না।’
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও বার খোলা রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা দেখছি। এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ পরে রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি দল গিয়ে বার বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আজ শনিবার সকাল থেকে আবারও বার খোলা হয় পার্সেল বিক্রি করার জন্য। বাইরে বার বন্ধের নোটিশ টানিয়েও বিক্রি করা হচ্ছিল মদ। আজ দুপুরের দিকে রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি দল আবার গিয়ে মদ বিক্রি বন্ধ করে।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) আ. ন. ম. মোস্তাদুদ দস্তগীর বলেন, ‘বার থেকে মদ বাইরে নেওয়ার সুযোগ নেই। খেতে হলেও লাইসেন্স থাকা লাগবে। রাজশাহীতে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে, এ বিষয়টি জানা নেই। আমি রাজশাহী পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপককে এখনই জানাচ্ছি।’ পরে তিনি ফোন করে জানান, বারের ইজারাদার লন্ডনে। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। তবে বার ব্যবস্থাপককে সতর্ক করেছেন।

টাকা দিলেই পর্যটন করপোরেশনের রাজশাহীর বারে মেলে মদ। চাইলে পার্সেলে বাইরেও মদ নিয়ে যাওয়া যায়। অথচ বৈধ বার থেকেও মদ বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যাঁরা মদপানে অভ্যস্ত, তাঁদের ভেতরে বসেই পান করতে হবে। আর এ জন্য থাকতে হবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পারমিট লাইসেন্স। লাইসেন্স ছাড়া বারে বসেও মদপানের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু একেবারে উল্টো চিত্র এই বারে।
রাজশাহী পর্যটন মোটেল সংলগ্ন এই বারটি পাঁচ বছর পর পর ইজারা দেওয়া হয়। পরিচালিত হয় ব্যক্তিমালিকানায়। ফলে ইজারা গ্রহণকারী সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছেমতো বার চালান। এই বার চলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্সে। কিন্তু নিয়ম না মানার কারণে অধিদপ্তরকেও এই বারের বিরুদ্ধে কখনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। ইজারার শর্ত রোজ লঙ্ঘন হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না পর্যটন করপোরেশন।
এদিকে থার্টিফার্স্ট নাইটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। এতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি (রোববার) পর্যন্ত বৈধও বারও বন্ধ রাখতে হবে। তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে দেখা গেল রাজশাহী পর্যটন বার খোলা। বারে তরুণদের হুমড়ি খাওয়া ভিড়। সাধারণত নিরিবিলি থাকা ওই এলাকায় রিকশা, অটোরিকশা আর মোটরসাইকেলের চাপে রীতিমতো যানজট লেগে ছিল। ভেতরে ঢুকতেই সিকিউরিটি ইনচার্জ বললেন, ‘পার্সেল নিলে ওপরে ওঠার দরকার নেই। পার্সেল দেওয়া হচ্ছে নিচতলা থেকেই।’
নিচ তলার গ্যারেজে ডিপ ফ্রিজ থেকে নানা নামের মদের বোতল বের করে বিক্রি করছিলেন নিরাপত্তা প্রহরী মো. আরিফ। তাঁর সামনে টেবিলে রাখা একটি বাক্স রাখা। যারা মদ কিনছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছিল বকশিশ। বকশিশের সেই টাকা ভরে রাখা হচ্ছিল ওই বাক্সে। পাশেই দরদাম করছিলেন তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর কয়েক জন। পাঁচ হাজার টাকার মদ তাঁরা তিন হাজার দিতে চাচ্ছিলেন। শেষমেশ তিন হাজার টাকায় রফা হলো। মদ নিয়ে তারা চলে গেলেন। এদের মতো অসংখ্য মানুষ মদ কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এদের বেশির ভাগই বয়সে তরুণ। মদ দেওয়ার সময় পারমিট লাইসেন্স ভুলেও দেখতে চাচ্ছিলেন না বিক্রেতা আরিফ। দোতলা ও তৃতীয়তলায় উঠে দেখা গেল, আলো-আঁধারের মাঝে বসে চলছে মদ্যপান। একটি টেবিলও ফাঁকা দেখা গেল না। সেবনের লাইসেন্স না দেখেই তাদের মদ দেওয়া হচ্ছিল।
নিচতলায় পার্সেলের মদ বিক্রির সময় প্রত্যেকের কাছ থেকেই নেওয়া হচ্ছিল বকশিশ। কেউ ১০০ টাকা বকশিশ দিলে আরিফসহ অন্য নিরাপত্তা প্রহরীরা বলছিলেন, আজকের দিনে ১০০ টাকা বকশিশ চলে না। ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বকশিশ নিয়ে তারা বাক্সে ঢোকাচ্ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীতে মদপানের লাইসেন্স আছে প্রায় ৩৬০ জনের। এদের অনেকেই মারা গেছেন। এখন বৈধ লাইন্সেধারীর সংখ্যা মাত্র ১৫০ জন। কিন্তু রোজ রাতে রাজশাহী বারে মদ পান করেন অন্তত ৫০০ জন। এদের কারও লাইসেন্স থাকে না। বারে লাইসেন্স দেখাও হয় না। এ জন্য তাঁদের কাছ থেকে যে বকশিশ আদায় হয় তা ভাগ করে নেন বারের ব্যবস্থাপক আবদুর রাজ্জাকসহ কর্মচারীরা।
বিষয়টি স্বীকারও করেছেন রাজ্জাক বলেন, ‘বকশিশের বাক্সে এখানকার কর্মচারীরা কিছু বকশিশ নেয়। কাজ শেষে তারাই ভাগ করে নেয়।’ পারমিট লাইসেন্স না থেকেই সবাইকেই মদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব সময় আসলে লাইসেন্স দেখা হয় না।’ নিয়ম না থাকলেও পার্সেলে মদ বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকে বাসায় নিয়ে গিয়ে খেতে চায়। সে কারণে দিতে হয়।’ আরএমপির নিষেধাজ্ঞার পরও বার খোলা রাখার বিষয়ে বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থার্টি ফাস্ট নাইটে বন্ধ রাখতে বলেছে। পুলিশের নির্দেশনা জানি না।’
নিয়ম-নীতি না মেনেই বার পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে আমি হঠাৎ বার দেখতে গিয়েছিলাম। এই ধরনের অনিয়মগুলো আমিও দেখেছি। ওদের সতর্ক করে এসেছি। এরপরও নিয়ম-নীতি না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পারমিট লাইসেন্স ছাড়াই যদি বারে গিয়ে সবাই মদ পায়, কিংবা পার্সেল নিয়ে যায় তাহলে বৈধ আর অবৈধ ব্যবসার মধ্যে তো কোনো পার্থক্য থাকল না।’
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও বার খোলা রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা দেখছি। এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ পরে রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি দল গিয়ে বার বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আজ শনিবার সকাল থেকে আবারও বার খোলা হয় পার্সেল বিক্রি করার জন্য। বাইরে বার বন্ধের নোটিশ টানিয়েও বিক্রি করা হচ্ছিল মদ। আজ দুপুরের দিকে রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি দল আবার গিয়ে মদ বিক্রি বন্ধ করে।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) আ. ন. ম. মোস্তাদুদ দস্তগীর বলেন, ‘বার থেকে মদ বাইরে নেওয়ার সুযোগ নেই। খেতে হলেও লাইসেন্স থাকা লাগবে। রাজশাহীতে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে, এ বিষয়টি জানা নেই। আমি রাজশাহী পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপককে এখনই জানাচ্ছি।’ পরে তিনি ফোন করে জানান, বারের ইজারাদার লন্ডনে। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। তবে বার ব্যবস্থাপককে সতর্ক করেছেন।

তিনি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে আজ আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
১১ মিনিট আগে
কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ একাধিক মামলার আসামি মো. নাজমুল ইসলাম শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলতাফুজ্জামান মিতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি
৩১ মিনিট আগে
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় একটি গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তার চারজনকে আজ শনিবার ঠাকুরগাঁও বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, গত ১০ নভেম্বর গভীর রাতে বালিয়াডাঙ্গী থানার বড়বাড়ী এলাকার
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাত এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শামীম হোসান।
তিনি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে আজ আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আনিস আলমগীরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যগুলো যাচাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।
এসময় আনিস আলমগীরের পক্ষে তাঁর আইনজীবী নাজনীন নাহার তাঁকে প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা দেওয়ার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং কারা কর্তৃপক্ষকে কারা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে ১৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানে কাজ করা জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরদিন রাতে আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে লিখিত অভিযোগ দেন জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ।
তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনেন। অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন মারিয়া কিসপট্টা ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।
ওই অভিযোগে পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাত এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শামীম হোসান।
তিনি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে আজ আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আনিস আলমগীরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যগুলো যাচাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।
এসময় আনিস আলমগীরের পক্ষে তাঁর আইনজীবী নাজনীন নাহার তাঁকে প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা দেওয়ার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং কারা কর্তৃপক্ষকে কারা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে ১৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানে কাজ করা জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরদিন রাতে আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে লিখিত অভিযোগ দেন জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ।
তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনেন। অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন মারিয়া কিসপট্টা ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।
ওই অভিযোগে পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।

টাকা দিলেই পর্যটন করপোরেশনের রাজশাহীর বারে মেলে মদ। চাইলে পার্সেলে বাইরেও মদ নিয়ে যাওয়া যায়। অথচ বৈধ বার থেকেও মদ বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যাঁরা মদপানে অভ্যস্ত, তাঁদের ভেতরে বসেই পান করতে হবে। আর এ জন্য থাকতে হবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পারমিট লাইসেন্স। লাইসেন্স ছাড়া বারে বসেও মদপা
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ একাধিক মামলার আসামি মো. নাজমুল ইসলাম শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলতাফুজ্জামান মিতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি
৩১ মিনিট আগে
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় একটি গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তার চারজনকে আজ শনিবার ঠাকুরগাঁও বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, গত ১০ নভেম্বর গভীর রাতে বালিয়াডাঙ্গী থানার বড়বাড়ী এলাকার
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ একাধিক মামলার আসামি মো. নাজমুল ইসলাম শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকায় অভিযান চালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৩ বীর ও র্যাব-১১ (সিপিসি-২)-এর সদস্যরা।
অভিযানে শামীমের নিজ বাসভবনে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল অস্ত্র ও অপরাধমূলক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাড়ির পাশের এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
র্যাব-১১ (সিপিসি-২)-এর অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বিকেলে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।’
অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র ও সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে—তিনটি পাইপগান, ৬০টি শটগানের গুলির খোসা, ১৮টি মেশিনগানের গুলি, ১টি পিস্তলের গুলি, ১টি রিভলবারের গুলি, ১০টি দেশীয় অস্ত্র (ছুরি, চাপাতি ও চায়নিজ কুড়াল), দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসহ একটি মানিব্যাগ। এ ছাড়া মানিব্যাগে থাকা এটিএম কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার শামীম কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি ও সদর দক্ষিণ মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, দাঙ্গা, হত্যাচেষ্টা, গুরুতর জখম, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ মোট সাতটি মামলা রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে শামীম জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডের সহসভাপতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িত এবং কুমিল্লা শহরের একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।

কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ একাধিক মামলার আসামি মো. নাজমুল ইসলাম শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকায় অভিযান চালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৩ বীর ও র্যাব-১১ (সিপিসি-২)-এর সদস্যরা।
অভিযানে শামীমের নিজ বাসভবনে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল অস্ত্র ও অপরাধমূলক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাড়ির পাশের এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
র্যাব-১১ (সিপিসি-২)-এর অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বিকেলে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।’
অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র ও সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে—তিনটি পাইপগান, ৬০টি শটগানের গুলির খোসা, ১৮টি মেশিনগানের গুলি, ১টি পিস্তলের গুলি, ১টি রিভলবারের গুলি, ১০টি দেশীয় অস্ত্র (ছুরি, চাপাতি ও চায়নিজ কুড়াল), দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসহ একটি মানিব্যাগ। এ ছাড়া মানিব্যাগে থাকা এটিএম কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার শামীম কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি ও সদর দক্ষিণ মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, দাঙ্গা, হত্যাচেষ্টা, গুরুতর জখম, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ মোট সাতটি মামলা রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে শামীম জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডের সহসভাপতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িত এবং কুমিল্লা শহরের একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।

টাকা দিলেই পর্যটন করপোরেশনের রাজশাহীর বারে মেলে মদ। চাইলে পার্সেলে বাইরেও মদ নিয়ে যাওয়া যায়। অথচ বৈধ বার থেকেও মদ বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যাঁরা মদপানে অভ্যস্ত, তাঁদের ভেতরে বসেই পান করতে হবে। আর এ জন্য থাকতে হবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পারমিট লাইসেন্স। লাইসেন্স ছাড়া বারে বসেও মদপা
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
তিনি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে আজ আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
১১ মিনিট আগে
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলতাফুজ্জামান মিতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি
৩১ মিনিট আগে
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় একটি গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তার চারজনকে আজ শনিবার ঠাকুরগাঁও বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, গত ১০ নভেম্বর গভীর রাতে বালিয়াডাঙ্গী থানার বড়বাড়ী এলাকার
১ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আলতাফুজ্জামান মিতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি পলাতক। তবে পলাতক থাকলেও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁকে সরব থাকতে দেখা গেছে।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আনোয়ার হোসেন জানান, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখতে ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালে ফেসবুকে তিনি নানা কর্মকাণ্ডের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পুলিশ বেশ কিছুদিন থেকে তাঁকে খুঁজছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে। তাঁর নামে বিভিন্ন থানায় ৭ থেকে ৮টি মামলা চলমান আছে।

দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আলতাফুজ্জামান মিতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি পলাতক। তবে পলাতক থাকলেও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁকে সরব থাকতে দেখা গেছে।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আনোয়ার হোসেন জানান, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখতে ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালে ফেসবুকে তিনি নানা কর্মকাণ্ডের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পুলিশ বেশ কিছুদিন থেকে তাঁকে খুঁজছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে। তাঁর নামে বিভিন্ন থানায় ৭ থেকে ৮টি মামলা চলমান আছে।

টাকা দিলেই পর্যটন করপোরেশনের রাজশাহীর বারে মেলে মদ। চাইলে পার্সেলে বাইরেও মদ নিয়ে যাওয়া যায়। অথচ বৈধ বার থেকেও মদ বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যাঁরা মদপানে অভ্যস্ত, তাঁদের ভেতরে বসেই পান করতে হবে। আর এ জন্য থাকতে হবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পারমিট লাইসেন্স। লাইসেন্স ছাড়া বারে বসেও মদপা
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
তিনি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে আজ আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
১১ মিনিট আগে
কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ একাধিক মামলার আসামি মো. নাজমুল ইসলাম শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় একটি গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তার চারজনকে আজ শনিবার ঠাকুরগাঁও বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, গত ১০ নভেম্বর গভীর রাতে বালিয়াডাঙ্গী থানার বড়বাড়ী এলাকার
১ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় একটি গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তার চারজনকে আজ শনিবার ঠাকুরগাঁও বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১০ নভেম্বর গভীর রাতে বালিয়াডাঙ্গী থানার বড়বাড়ী এলাকার এ এইচ আল মাসুদ ওরফে রয়েলের মালিকানাধীন একটি গরুর খামারে ১০-১২ জন সশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। তারা প্রথমে প্রহরা কক্ষের দরজা ভেঙে ঢুকে খামারমালিককে হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে মারধর করে। পরে খামার থেকে নয়টি গরু ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় খামারমালিক বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় ডাকাতির মামলা করেন। শুরুতে মামলার তদন্ত থানা-পুলিশ করলেও পুলিশ সুপার ঠাকুরগাঁওয়ের নির্দেশে ৮ ডিসেম্বর তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, এ চক্রটি ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত।
এদিকে গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তার এবং লুণ্ঠিত মালপত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় একটি গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তার চারজনকে আজ শনিবার ঠাকুরগাঁও বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১০ নভেম্বর গভীর রাতে বালিয়াডাঙ্গী থানার বড়বাড়ী এলাকার এ এইচ আল মাসুদ ওরফে রয়েলের মালিকানাধীন একটি গরুর খামারে ১০-১২ জন সশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। তারা প্রথমে প্রহরা কক্ষের দরজা ভেঙে ঢুকে খামারমালিককে হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে মারধর করে। পরে খামার থেকে নয়টি গরু ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় খামারমালিক বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় ডাকাতির মামলা করেন। শুরুতে মামলার তদন্ত থানা-পুলিশ করলেও পুলিশ সুপার ঠাকুরগাঁওয়ের নির্দেশে ৮ ডিসেম্বর তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, এ চক্রটি ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত।
এদিকে গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তার এবং লুণ্ঠিত মালপত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

টাকা দিলেই পর্যটন করপোরেশনের রাজশাহীর বারে মেলে মদ। চাইলে পার্সেলে বাইরেও মদ নিয়ে যাওয়া যায়। অথচ বৈধ বার থেকেও মদ বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যাঁরা মদপানে অভ্যস্ত, তাঁদের ভেতরে বসেই পান করতে হবে। আর এ জন্য থাকতে হবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পারমিট লাইসেন্স। লাইসেন্স ছাড়া বারে বসেও মদপা
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
তিনি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে আজ আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
১১ মিনিট আগে
কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ একাধিক মামলার আসামি মো. নাজমুল ইসলাম শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলতাফুজ্জামান মিতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি
৩১ মিনিট আগে