আরিফুর রহমান মিঠু, শাজাহানপুর (বগুড়া)

ডানা মেলে নীল আকাশের বুকে উড়ে বেড়ানো ইগলের আশ্রয় জুটেছে মানুষের ঘরে। দেড় বছর আগে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পর তার আবাস কেড়ে নিয়েছিলেন বৃক্ষের মালিক। এরপর ইগল ছানাটির দায়িত্ব নেন সেই গাছ কাটতে আসা শ্রমিক জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা (৬৫)।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের কাটাবাড়িয়া উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে দিনমজুর জাহাঙ্গীর। তাঁর বাড়িতেই মমতায় এখন ইগলটি বাস করছে। হয়ে উঠেছে পরিবারের এক সদস্য। নিজেদের খাবার না থাকলেও ঋণ করে ইগলের খাবার জোগাড় করেন জাহাঙ্গীর।
শুধু ইগল নয়। গাছ কাটতে গিয়ে উদ্ধার করেছেন দুটি বনবিড়াল শাবক। ১৫ দিন ধরে নিজ বাড়িতে রেখেই যত্নে লালন পালন করছেন জাহাঙ্গীর। স্ত্রী, সন্তান, নাতি–নাতনি নিয়ে জাঙ্গীরের পাঁচ সদস্যের পরিবার তারাসহ আটজন। ইগল এবং বনবিড়াল লালন পালনে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সন্তানরাও সহায়তা করেন তাঁকে।
জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূলত আমি একজন গাছ কাটা শ্রমিক। ছোট বেলা থেকেই আমার পশুপাখির ওপরে ভালোবাসা রয়েছে। দেড় বছর আগে আমি আড়িয়া ইউনিয়নের মানিকদিপা গ্রামে ইউক্যালিপটাস গাছ কাটতে যাই। বড় একটি গাছ কাটার সময় গাছের মগডাল থেকে ইগলের সদ্যোজাত বাচ্চাটি মাটিতে পড়ে যায়। আমি সেই বাচ্চাটিকে সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে আসি। বাজার থেকে প্রতিদিন মাছ কিনে এনে বাচ্চাটিকে খাওয়াতে থাকি।’
জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা আরও বলেন, ‘দেখতে দেখতে দেড় বছর কেটে গেছে। ইগল এখন বড় হয়ে গেছে। মাছের পাশাপাশি এখন তো মুরগির মাংস খায়। এখন ওর প্রতিদিন প্রায় আধা কেজি মাছ অথবা মাংস লাগে। আমি ওকে (ইগল) ছেড়ে দিয়ে রাখি। বাহিরে উড়ে সে আবারও আমার বাড়িতেই ফিরে আসে। বাহিরে কোথাও খাবার খায় না। ইগলটি আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘১৭ দিন আগে গাছ কাটতে গিয়ে দুটি সদ্যোজাত বনবিড়ালের বাচ্চা পেয়েছিলাম। দেখে ফেলে আসতে পারিনাই। বনবিড়ালের বাচ্চাদেরও বাড়িতে রেখে লালন পালন করছি। ওদের প্রতিদিন আধা লিটার করে দুধ লাগে।’
জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা বলেন, ‘৫ বছর আগে আড়িয়া ইউনিয়নের রহিমাবাদ সি ব্লক এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে বিদ্যুৎ এর খুঁটি সরানো কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। আমি সে সময় খুঁটির পাশে একটি গাছ কাটছিলাম। বিদ্যুৎ এর খুঁটির নিচে একটি বেজির সদ্যজাত শাবক দেখতে পাই। পরে সেটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এসে পালতে থাকি। দুধ, মাছ, মাংস খাইয়ে বড় করি।’
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘বেজিটি ছেড়ে দেওয়া থাকতো। আমার আর ছেলে জুয়েলের সঙ্গে ঘুরত। বড় হলে ওকে একদিন আমার বাড়ি থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে ছেড়ে দিয়ে এসেছিলাম। পাঁচদিন পরেই দেখি বেজিটি আমার বাড়িতে চলে এসেছে। প্রায় ২ বছর আগে আমার প্রতিবেশি কেউ খাবারের মধ্যে বিষ দিয়ে বেজিটিকে খাইয়ে ছিল। পরে বাড়িতে এসে সে মারা যায়।’
জাহাঙ্গীরের স্ত্রী জরিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্বামী প্রতিদিন কাজ করতে পারেন না, তাই প্রতিদিন আয় হয় না। ইগল এবং বনবিড়াল দুটির জন্য প্রতিদিন প্রায় একশত টাকা খরচ হয়। যেদিন আমার স্বামীর কাছে ওদের খাবার কেনার টাকা থাকে না, সেদিন মন খারাপ করে বসে থাকে। তখন কারও কাছ থেকে ঋণ করে টাকা নিয়ে ওদের জন্য খাবার কিনে আনি। আমাদের খাবারের আগে ওদের খাবারের চিন্তা করি।’
জানতে চাইলে পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশ জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) বগুড়ার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরাফাত রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বড় বৃক্ষ ছাড়া ইগল বা শিকারি প্রাণীগুলো প্রজনন করে না। বড় বৃক্ষ কমে যাওয়ায় এখন বেশ কিছু প্রজাতির বন্য প্রাণী বিলুপ্ত প্রায়।
গাছ কাটতে গিয়ে পাওয়া বন্য প্রাণী উদ্ধার করে জীবন ফিরিয়ে দেওয়া অবশ্যই ভালো উদাহরণ। তবে বন্য প্রাণী পালনে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। ইগলকে খুব বেশি খাবার দিলে সে নিজে শিকার করে খেতে পারবে না। পাখিটি যখন নিজে শিকার করে খেতে পারবে, তখন সে তার সঙ্গী জোগাড় করে প্রজনন করতে পারবে। না হলে পাখি বা বন্য প্রাণী মানুষের দাসে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, বন্য প্রাণী বাড়িতে না পোষাই ভালো। বেশি সংস্পর্শে থাকলে মানুষের মধ্যে রোগ ছড়ানোর সুযোগ থাকে।
জানতে চাইলে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ক প্রভাষক আবু সাঈদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত বৃক্ষনিধন করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি করছি। প্রাকৃতিক আবাসস্থল আমরা ধ্বংস করছি, তাতে হুমকির মুখে পড়ছে অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী। অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে, আরও অনেক বিলুপ্তপ্রায়। এসব উদ্ভিদ-প্রাণী বা এদের আবাসস্থল বিলুপ্ত হলে আমরা অনেকেই ভাবি, এতে আমার ক্ষতি নেই। কিন্তু এসব কারণেই আজকের বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঘটেছে আর আবাসস্থল হিসেবে পুরো পৃথিবীই হুমকির মুখে পরতে যাচ্ছে।’

ডানা মেলে নীল আকাশের বুকে উড়ে বেড়ানো ইগলের আশ্রয় জুটেছে মানুষের ঘরে। দেড় বছর আগে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পর তার আবাস কেড়ে নিয়েছিলেন বৃক্ষের মালিক। এরপর ইগল ছানাটির দায়িত্ব নেন সেই গাছ কাটতে আসা শ্রমিক জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা (৬৫)।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের কাটাবাড়িয়া উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে দিনমজুর জাহাঙ্গীর। তাঁর বাড়িতেই মমতায় এখন ইগলটি বাস করছে। হয়ে উঠেছে পরিবারের এক সদস্য। নিজেদের খাবার না থাকলেও ঋণ করে ইগলের খাবার জোগাড় করেন জাহাঙ্গীর।
শুধু ইগল নয়। গাছ কাটতে গিয়ে উদ্ধার করেছেন দুটি বনবিড়াল শাবক। ১৫ দিন ধরে নিজ বাড়িতে রেখেই যত্নে লালন পালন করছেন জাহাঙ্গীর। স্ত্রী, সন্তান, নাতি–নাতনি নিয়ে জাঙ্গীরের পাঁচ সদস্যের পরিবার তারাসহ আটজন। ইগল এবং বনবিড়াল লালন পালনে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সন্তানরাও সহায়তা করেন তাঁকে।
জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূলত আমি একজন গাছ কাটা শ্রমিক। ছোট বেলা থেকেই আমার পশুপাখির ওপরে ভালোবাসা রয়েছে। দেড় বছর আগে আমি আড়িয়া ইউনিয়নের মানিকদিপা গ্রামে ইউক্যালিপটাস গাছ কাটতে যাই। বড় একটি গাছ কাটার সময় গাছের মগডাল থেকে ইগলের সদ্যোজাত বাচ্চাটি মাটিতে পড়ে যায়। আমি সেই বাচ্চাটিকে সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে আসি। বাজার থেকে প্রতিদিন মাছ কিনে এনে বাচ্চাটিকে খাওয়াতে থাকি।’
জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা আরও বলেন, ‘দেখতে দেখতে দেড় বছর কেটে গেছে। ইগল এখন বড় হয়ে গেছে। মাছের পাশাপাশি এখন তো মুরগির মাংস খায়। এখন ওর প্রতিদিন প্রায় আধা কেজি মাছ অথবা মাংস লাগে। আমি ওকে (ইগল) ছেড়ে দিয়ে রাখি। বাহিরে উড়ে সে আবারও আমার বাড়িতেই ফিরে আসে। বাহিরে কোথাও খাবার খায় না। ইগলটি আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘১৭ দিন আগে গাছ কাটতে গিয়ে দুটি সদ্যোজাত বনবিড়ালের বাচ্চা পেয়েছিলাম। দেখে ফেলে আসতে পারিনাই। বনবিড়ালের বাচ্চাদেরও বাড়িতে রেখে লালন পালন করছি। ওদের প্রতিদিন আধা লিটার করে দুধ লাগে।’
জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা বলেন, ‘৫ বছর আগে আড়িয়া ইউনিয়নের রহিমাবাদ সি ব্লক এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে বিদ্যুৎ এর খুঁটি সরানো কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। আমি সে সময় খুঁটির পাশে একটি গাছ কাটছিলাম। বিদ্যুৎ এর খুঁটির নিচে একটি বেজির সদ্যজাত শাবক দেখতে পাই। পরে সেটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এসে পালতে থাকি। দুধ, মাছ, মাংস খাইয়ে বড় করি।’
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘বেজিটি ছেড়ে দেওয়া থাকতো। আমার আর ছেলে জুয়েলের সঙ্গে ঘুরত। বড় হলে ওকে একদিন আমার বাড়ি থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে ছেড়ে দিয়ে এসেছিলাম। পাঁচদিন পরেই দেখি বেজিটি আমার বাড়িতে চলে এসেছে। প্রায় ২ বছর আগে আমার প্রতিবেশি কেউ খাবারের মধ্যে বিষ দিয়ে বেজিটিকে খাইয়ে ছিল। পরে বাড়িতে এসে সে মারা যায়।’
জাহাঙ্গীরের স্ত্রী জরিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্বামী প্রতিদিন কাজ করতে পারেন না, তাই প্রতিদিন আয় হয় না। ইগল এবং বনবিড়াল দুটির জন্য প্রতিদিন প্রায় একশত টাকা খরচ হয়। যেদিন আমার স্বামীর কাছে ওদের খাবার কেনার টাকা থাকে না, সেদিন মন খারাপ করে বসে থাকে। তখন কারও কাছ থেকে ঋণ করে টাকা নিয়ে ওদের জন্য খাবার কিনে আনি। আমাদের খাবারের আগে ওদের খাবারের চিন্তা করি।’
জানতে চাইলে পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশ জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) বগুড়ার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরাফাত রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বড় বৃক্ষ ছাড়া ইগল বা শিকারি প্রাণীগুলো প্রজনন করে না। বড় বৃক্ষ কমে যাওয়ায় এখন বেশ কিছু প্রজাতির বন্য প্রাণী বিলুপ্ত প্রায়।
গাছ কাটতে গিয়ে পাওয়া বন্য প্রাণী উদ্ধার করে জীবন ফিরিয়ে দেওয়া অবশ্যই ভালো উদাহরণ। তবে বন্য প্রাণী পালনে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। ইগলকে খুব বেশি খাবার দিলে সে নিজে শিকার করে খেতে পারবে না। পাখিটি যখন নিজে শিকার করে খেতে পারবে, তখন সে তার সঙ্গী জোগাড় করে প্রজনন করতে পারবে। না হলে পাখি বা বন্য প্রাণী মানুষের দাসে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, বন্য প্রাণী বাড়িতে না পোষাই ভালো। বেশি সংস্পর্শে থাকলে মানুষের মধ্যে রোগ ছড়ানোর সুযোগ থাকে।
জানতে চাইলে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ক প্রভাষক আবু সাঈদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত বৃক্ষনিধন করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি করছি। প্রাকৃতিক আবাসস্থল আমরা ধ্বংস করছি, তাতে হুমকির মুখে পড়ছে অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী। অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে, আরও অনেক বিলুপ্তপ্রায়। এসব উদ্ভিদ-প্রাণী বা এদের আবাসস্থল বিলুপ্ত হলে আমরা অনেকেই ভাবি, এতে আমার ক্ষতি নেই। কিন্তু এসব কারণেই আজকের বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঘটেছে আর আবাসস্থল হিসেবে পুরো পৃথিবীই হুমকির মুখে পরতে যাচ্ছে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩০ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
৩২ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইসরাত রায়হান অমি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দরোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ইসরাত রায়হান অমি চরইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
পুলিশের তথ্যমতে, শুক্রবার রাতে ইসরাত রায়হান অমি এনসিপির এক কর্মীর কাছে মেসেঞ্জারে উসকানিমূলক বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তিনি লেখেন, আব্দুল হালিম আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে হান্নান মাসউদ, তানভীরসহ অন্য নেতাদের হাতিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলাচল ‘হারাম’ করে দেওয়া হবে। বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা সরাসরি গিলে খেয়ে ফেলবে।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইসরাত রায়হান অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সরাসরি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইসরাত রায়হান অমি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দরোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ইসরাত রায়হান অমি চরইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
পুলিশের তথ্যমতে, শুক্রবার রাতে ইসরাত রায়হান অমি এনসিপির এক কর্মীর কাছে মেসেঞ্জারে উসকানিমূলক বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তিনি লেখেন, আব্দুল হালিম আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে হান্নান মাসউদ, তানভীরসহ অন্য নেতাদের হাতিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলাচল ‘হারাম’ করে দেওয়া হবে। বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা সরাসরি গিলে খেয়ে ফেলবে।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইসরাত রায়হান অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সরাসরি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেড় বছর আগে বড় একটি গাছ কাটার সময় গাছের মগডাল থেকে ইগলের সদ্যোজাত বাচ্চাটি মাটিতে পড়ে যায়। সেই বাচ্চাটিকে তিনি সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
৩২ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্বর পিলারের কাছ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় তাঁর কাছে থাকা ভারতীয় ১৮ হাজার রুপি উদ্ধার করেন সাতানীপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের (বিওপি) বিজিবি সদস্যরা।
জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানীপাড়া বিওপি সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে টহল দল অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় রুপি বহনকারী মো. আসাদকে আটক করা হয়।
সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৮ হাজার ভারতীয় রুপিসহ আসাদ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, আটক আসাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্বর পিলারের কাছ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় তাঁর কাছে থাকা ভারতীয় ১৮ হাজার রুপি উদ্ধার করেন সাতানীপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের (বিওপি) বিজিবি সদস্যরা।
জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানীপাড়া বিওপি সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে টহল দল অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় রুপি বহনকারী মো. আসাদকে আটক করা হয়।
সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৮ হাজার ভারতীয় রুপিসহ আসাদ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, আটক আসাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেড় বছর আগে বড় একটি গাছ কাটার সময় গাছের মগডাল থেকে ইগলের সদ্যোজাত বাচ্চাটি মাটিতে পড়ে যায়। সেই বাচ্চাটিকে তিনি সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩০ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা। দারিদ্র্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আয়শার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। তবে দরিদ্র এই পরিবারের সবটুকু সম্বল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ফলে অর্থের অভাবে বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে অস্বাভাবিক বড় মাথা ও তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে ছোট্ট আয়শা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আয়শা বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। মাথার ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সে নিজে নড়াচড়া করতে পারে না। প্রস্রাব-পায়খানা করাতে হলে দুজন তাকে ধরতে হয়।
আয়শার মা সুমি বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের মাথার ওজন এতটাই বেড়ে গেছে যে একা ধরে রাখা যায় না। নাকে মাংস বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমতো শ্বাসও নিতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডাক্তারের পরামর্শে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক অপারেশনের কথা বলেছেন। অপারেশনে খরচ হবে প্রায় ৭ লাখ টাকা, অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। তাই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে।’
জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে (নয়া দিগন্ত) আয়শার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দুজন প্রবাসী ব্যক্তি ৩৫ হাজার টাকা সহায়তা করেছিলেন। সেই অর্থে কিছুদিন চিকিৎসা চললেও পরে আর তা সম্ভব হয়নি।
আয়শার বাবা আশেক আলী ও মা সুমি বেগম বলেন, ‘দেশের কোনো বিত্তবান কিংবা প্রবাসী মানবিক মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলে আমাদের অবুঝ শিশুটির চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারতাম।’
এলাকাবাসীও আয়শার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও মানবিক ব্যক্তিদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা। দারিদ্র্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আয়শার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। তবে দরিদ্র এই পরিবারের সবটুকু সম্বল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ফলে অর্থের অভাবে বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে অস্বাভাবিক বড় মাথা ও তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে ছোট্ট আয়শা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আয়শা বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। মাথার ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সে নিজে নড়াচড়া করতে পারে না। প্রস্রাব-পায়খানা করাতে হলে দুজন তাকে ধরতে হয়।
আয়শার মা সুমি বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের মাথার ওজন এতটাই বেড়ে গেছে যে একা ধরে রাখা যায় না। নাকে মাংস বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমতো শ্বাসও নিতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডাক্তারের পরামর্শে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক অপারেশনের কথা বলেছেন। অপারেশনে খরচ হবে প্রায় ৭ লাখ টাকা, অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। তাই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে।’
জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে (নয়া দিগন্ত) আয়শার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দুজন প্রবাসী ব্যক্তি ৩৫ হাজার টাকা সহায়তা করেছিলেন। সেই অর্থে কিছুদিন চিকিৎসা চললেও পরে আর তা সম্ভব হয়নি।
আয়শার বাবা আশেক আলী ও মা সুমি বেগম বলেন, ‘দেশের কোনো বিত্তবান কিংবা প্রবাসী মানবিক মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলে আমাদের অবুঝ শিশুটির চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারতাম।’
এলাকাবাসীও আয়শার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও মানবিক ব্যক্তিদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেড় বছর আগে বড় একটি গাছ কাটার সময় গাছের মগডাল থেকে ইগলের সদ্যোজাত বাচ্চাটি মাটিতে পড়ে যায়। সেই বাচ্চাটিকে তিনি সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩০ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
৩২ মিনিট আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের ‘সবজি গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলার রঘুনাথপুর, সিলনা ও গুয়াধানা এবং টুঙ্গীপাড়া উপজেলার রুপাহাটি, গোপালপুর, মিত্রডাঙ্গা ও বন্যাবাড়ি গ্রামের কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৌসুমভেদে সারা বছরই এসব গ্রামের কৃষকেরা নানা ধরনের শাকসবজি আবাদ করে থাকেন।
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। রঘুনাথপুর, সিলনা, গুয়াধানা, গোপালপুর ও মিত্রডাঙ্গা গ্রামের মাঠজুড়ে সারি সারি ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, মুলা, পালংশাকসহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি শোভা পাচ্ছে। শুধু জমিতে নয়, মাছের ঘেরপাড়েও লাউ, করলা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে চারা রোপণ, সেচ ও আগাছা পরিষ্কারে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্ষেতখামারে। এসব গ্রামের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস হলো সবজি চাষ। শাকসবজির ফলনেই নির্ভর করে হাজারো কৃষকের জীবন-জীবিকা।
এ বছর এসব গ্রামে সবজির ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের জেলা থেকেও ব্যাপারীরা এসে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পাইকারি বাজারে মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং লাউ ২০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিলনা গ্রামের কৃষক প্রমথ ওঝা বলেন, ‘আমরা মৌসুম অনুযায়ী সবজি চাষ করি। শীতকালে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো ও শাকসবজি চাষ করে সংসারের খরচ ও সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় মেটাই। এই ফসলের ওপরই আমাদের জীবন।’

একই গ্রামের শিলা ওঝা বলেন, ‘১৫ কাঠা জমিতে সবজি চাষ করেছি। ফসল ভালো হয়েছে, লাভও ভালো হবে। এই চাষ করেই আমরা ভালো আছি।’
সিলনা গ্রামের কিষানি রিতা কীর্তনিয়া বলেন, ‘আমি ২২ বছর ধরে সবজি চাষ করছি। ভাসমান বেডেও নানা ধরনের সবজি উৎপাদন করি। এতে ভালো লাভ হচ্ছে। গোপালগঞ্জসহ বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এসেও আমাদের কাছ থেকে সবজি কিনে নেয়।’
সিংগারকুল গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঘেরপাড়ে টমেটো ও শসা চাষ করেছি। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। টমেটো প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং শসা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জের উপপরিচালক ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, ‘জেলার প্রায় ৪০ শতক জমি নিচু হওয়ায় কৃষকেরা সারা বছর ঘেরপাড়ে সবজি চাষ করেন। রবি মৌসুমে জমিতে ব্যাপকভাবে সবজি আবাদ হয়। এ বছর প্রায় ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা এরই মধ্যে অর্জিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের চেয়ে ভালো ফলনের আশা করছি। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

গোপালগঞ্জের ‘সবজি গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলার রঘুনাথপুর, সিলনা ও গুয়াধানা এবং টুঙ্গীপাড়া উপজেলার রুপাহাটি, গোপালপুর, মিত্রডাঙ্গা ও বন্যাবাড়ি গ্রামের কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৌসুমভেদে সারা বছরই এসব গ্রামের কৃষকেরা নানা ধরনের শাকসবজি আবাদ করে থাকেন।
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। রঘুনাথপুর, সিলনা, গুয়াধানা, গোপালপুর ও মিত্রডাঙ্গা গ্রামের মাঠজুড়ে সারি সারি ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, মুলা, পালংশাকসহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি শোভা পাচ্ছে। শুধু জমিতে নয়, মাছের ঘেরপাড়েও লাউ, করলা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে চারা রোপণ, সেচ ও আগাছা পরিষ্কারে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্ষেতখামারে। এসব গ্রামের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস হলো সবজি চাষ। শাকসবজির ফলনেই নির্ভর করে হাজারো কৃষকের জীবন-জীবিকা।
এ বছর এসব গ্রামে সবজির ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের জেলা থেকেও ব্যাপারীরা এসে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পাইকারি বাজারে মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং লাউ ২০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিলনা গ্রামের কৃষক প্রমথ ওঝা বলেন, ‘আমরা মৌসুম অনুযায়ী সবজি চাষ করি। শীতকালে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো ও শাকসবজি চাষ করে সংসারের খরচ ও সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় মেটাই। এই ফসলের ওপরই আমাদের জীবন।’

একই গ্রামের শিলা ওঝা বলেন, ‘১৫ কাঠা জমিতে সবজি চাষ করেছি। ফসল ভালো হয়েছে, লাভও ভালো হবে। এই চাষ করেই আমরা ভালো আছি।’
সিলনা গ্রামের কিষানি রিতা কীর্তনিয়া বলেন, ‘আমি ২২ বছর ধরে সবজি চাষ করছি। ভাসমান বেডেও নানা ধরনের সবজি উৎপাদন করি। এতে ভালো লাভ হচ্ছে। গোপালগঞ্জসহ বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এসেও আমাদের কাছ থেকে সবজি কিনে নেয়।’
সিংগারকুল গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঘেরপাড়ে টমেটো ও শসা চাষ করেছি। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। টমেটো প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং শসা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জের উপপরিচালক ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, ‘জেলার প্রায় ৪০ শতক জমি নিচু হওয়ায় কৃষকেরা সারা বছর ঘেরপাড়ে সবজি চাষ করেন। রবি মৌসুমে জমিতে ব্যাপকভাবে সবজি আবাদ হয়। এ বছর প্রায় ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা এরই মধ্যে অর্জিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের চেয়ে ভালো ফলনের আশা করছি। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেড় বছর আগে বড় একটি গাছ কাটার সময় গাছের মগডাল থেকে ইগলের সদ্যোজাত বাচ্চাটি মাটিতে পড়ে যায়। সেই বাচ্চাটিকে তিনি সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩০ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
৩২ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে