নদীভাঙনের মুখে নিলামে তোলা হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮: ৫৫
Thumbnail image

বেড়েই চলেছে যমুনা নদীর পানি। এতে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের মুখে থাকা সদর উপজেলার কাওয়াকোল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বড়কয়রা কমিউনিটি ক্লিনিকটি আগামীকাল বুধবার নিলামে বিক্রি করা হবে। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস প্রকাশ্যে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, চলতি মৌসুমে যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। ইতিমধ্যে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক হাসানুজ্জামান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৩৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

কাওয়াকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান (জিয়া মুন্সি) বলেন, নদীভাঙনে জেলার মানচিত্র থেকে মুছে যেতে চলেছে কাওয়াকোলা ইউনিয়ন। ভাঙন রোধে পাউবো কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কাওয়াকোলা ইউনিয়নের হাট বয়ড়া, দৌগাছী, বড়কয়রা, ছোট কয়রা, কৈগাড়ী দড়তা, চন্ডল বয়ড়া, বেড়া বাড়ী গ্রামে তীব্র নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। অনেক গ্রাম ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে। ভাঙনের কারণে কমিউনিটি ক্লিনিক নিলামে বিক্রি করা হচ্ছে। 

ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, সহায় সম্বল হারিয়ে এসব পরিবারের মানুষ এখন নিঃস্ব। এ ছাড়া দুটি মুজিব কেল্লা, সাড়ে ৪ কিলোমিটার পাকা রাস্তা, বর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে রয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এগুলোও বিলীন হয়ে যাবে। 

এদিকে শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর, পাচিল, হাট পাচিল ও সৈয়দপুর গ্রামেও নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বিকেলে পাচিল গ্রামের কোবাদ মাস্টারের দোতলা ভবন নদীগর্ভে ধসে পড়েছে। এ ছাড়া বহু ঘরবাড়িও নদীতে ভেঙে পড়ছে। 

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদী ভাঙছে। নদী ভাঙনের কারণে যেকোনো মুহূর্তে বয়কয়রা কমিউনিটি ক্লিনিক নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এ কারণে কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নিলাম বিক্রির কমিটি গঠন করে আগামীকাল প্রকাশ্যে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। 

সিরাজগঞ্জ পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বলেন, ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন রয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকা চিহ্নিত করে জিও ব্যাগভর্তি বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত