মুদি দোকানির পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ৫৬

বগুড়া ধুনটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রতিবাদ করায় সুজাবত আলী (৭৫) নামের এক মুদি দোকানির পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ধুনট উপজেলার মথুরাপুর হাটে গত শনিবার মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপির দুই পক্ষ থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ করেছেন। ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান দুই পক্ষের অভিযোগ দাখিলের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুজাবত আলীর ছেলে সেলিম রেজা বলেন, ‘মথুরাপুর হাটে খাজনা আদায়ের কোনো তালিকা না থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাটে উপস্থিত হয়ে তালিকা না টাঙানো পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের খাজনা দেওয়া বন্ধ রাখতে বলেন। কিন্তু মথুরাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ওবায়দুল ইসলাম গত শনিবার বিকেলে হাটে গিয়ে মাছ বিক্রেতার কাছে জোর করে খাজনা আদায়ের চেষ্টা করেন। আমার বাবা খাজনা আদায়ের প্রতিবাদ করলে ওবায়দুল ও তার লোকজন আমার বাবাকে বেদম মারধর করে। এতে বাবার বাম পায়ের উরুর কাছে ভেঙে যায়।’

এ সময় হাটের লোকজন ওবায়দুলকে গণপিটুনি দিয়ে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ আসার আগেই ওবায়দুল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক  তৌহিদুল আলম মামুন হস্তক্ষেপ করায় থানায় মামলা রেকর্ড করছে না।

তবে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক  তৌহিদুল আলম মামুন বলেন, আলমাস নামের এক ব্যক্তি নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে হাটে খাজনা আদায় করতে যায়। ওবায়দুল এর প্রতিবাদ করায় আসলামের লোকজন তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় ওবায়দুলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ওবায়দুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকার লোকজন জানান ঘটনার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। 

এদিকে আলমাহমুদ আসলাম বলেন, ‘আমি ধুনট উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি। আমার নামে আওয়ামী লীগ সরকার ২৪টি নাশকতার মামলা দিয়েছে। আমি কীভাবে নব্য বিএনপি?’

তিনি জানান, তৌহিদুল আলম মামুন দলের নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করায় দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিল। তিনি আওয়ামী লীগের এমপির সঙ্গে একই মঞ্চে বিএনপির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছিলেন। মামুনের নির্দেশেই ওবায়দুল তার সহযোগীদের নিয়ে হাটে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছে।

বগুড়া জেলা যুবদলের আহ্বায়ক  খাদেমুল ইসলাম বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে হাটে চাঁদাবাজি অভিযোগ সঠিক হলে ওবায়দুলকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান, দুই পক্ষই বিএনপির নেতা-কর্মী। হাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত