রাবি উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা

রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৪, ১৯: ৫০

পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাঁদের আটকে রেখে ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল ৫টার দিকে দশজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। 

তবে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় প্রতিনিধিরা বেরিয়ে আসেন। পরে আবার তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। 

এর আগে, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর ২টার মধ্যে এসব দাবির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা আলোচনা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানান। এ সিদ্ধান্তে একটিও দাবি মানা হয়নি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে উপাচার্যসহ অন্যদের প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখেন। যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের দাবি মানা হবে না, ততক্ষণ শিক্ষকদের অবরোধ করে রাখা হবে বলে জানিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: সংহগৃহীত শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো—১) ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি আজীবন নিষিদ্ধ করতে হবে এবং লিখিতভাবে সিন্ডিকেটে পাস করে প্রভোস্টদের স্বাক্ষরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। ক্যাম্পাসে যেন কোনো সন্ত্রাসী (ছাত্রলীগ) ঢুকতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু হলসহ যেসব হল থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, সেসব হলের প্রভোস্টদের পদত্যাগ করতে হবে। ২) হল ভ্যাকান্সি (খালি করার নির্দেশ) দুপুর ২টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। ক্যাম্পাস ছুটির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে ২টার মধ্যে। মেসমালিকদের চিঠি দিয়ে মেসগুলো খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। ৩) আজকের মধ্যে প্রশাসনিকভাবে মিডিয়ার তথা গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে ক্যাম্পাসকে নিরস্ত্র করতে হবে। ৪) চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে যাতে কোনো ধরনের মামলা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। ৫) হলের সিট ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে প্রভোস্টকে এক দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ ছাত্রদের হলে সিট বরাদ্দ দিতে হবে। দখলকৃত (ছাত্রলীগের) সিটগুলোতে সাধারণ ছাত্রদের জন্য গণ রুমের ব্যবস্থা করতে হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত