প্রতিনিধি, মান্দা (নওগাঁ)
অবশেষে মুক্ত হলেন নওগাঁর মান্দায় একঘরে করা তিন পরিবার। সব বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছেন সমাজপতিরা। সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করতে একমত হয়েছেন হিন্দু–মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের লোকজন। তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত ভাতহন্ডা গ্রামে আবার সম্প্রীতি ফিরে এসেছে।
আজ শুক্রবার সকালে মডার্ন ক্লাব চত্বরে গ্রামবাসীর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করেন দুই সম্প্রদায়ের সমাজপতিরা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ব্রজেন্দ্রনাথ সাহা, সমাজপতি সামসুল আলম মন্ডল ও ধীরেন্দ্রনাথ সাহা এবং গ্রামবাসীর পক্ষে রহিদুল ইসলাম ও সুরুজ আলী। অন্যদিকে একঘরে হয়ে থাকা পরিবারের পক্ষে বক্তব্য দেন শ্রীকৃষ্ণ প্রামানিক, রামকৃষ্ণ প্রামানিক ও বিউটি রানী।
সমাজপতি সামসুল আলম মন্ডল বলেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে গ্রামের তিন পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছিল। এটা কারোর জন্যই কাম্য ছিল না। ভুলটি বুঝতে পেরে পরিবারগুলোর ওপর থেকে সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান ব্রজেন্দ্রনাথ সাহার নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাতে সমঝোতা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেন গ্রামবাসী।
আরেক সমাজপতি ধীরেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, ভাতহন্ডা গ্রামে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে স্বহাবস্থানে বসবাস করে আসছে। এ গ্রামে দুই সম্প্রদায়ের মধ্য অতীতে কোনো ভেদাভেদ ছিল না। সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারণে গ্রামে অশান্তির সৃষ্টি হয়। বিষয়টি অনুধাবন করে সকল বিরোধের নিরসন করে নেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের রামকৃষ্ণ প্রামানিক বলেন, গ্রামের লোকজন আগের মতই চলাফেরা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরই মধ্যে প্রতিবেশীরা আমাদের বাড়িতে যাওয়া–আসা করছেন। দেখা হলে গ্রামের অন্যরাও কথা বলছেন। এখন খুব ভালো লাগছে। এ অবস্থা যেন অটুট থাকে সেই প্রত্যাশা করছি।
সাবেক চেয়ারম্যান ব্রজেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, ভাতহন্ডা গ্রামে দুই সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে অতীতে কোনো বিরোধ ছিল না। অনাকাঙ্ক্ষিভাবে একটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও আবু বাক্কার সিদ্দিক ও মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমানের পরামর্শে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকবে গ্রামবাসী।
মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, একঘরে করে রাখার বিষয়টি আগে জানা ছিল না। সংবাদ প্রকাশের পর ভাতহন্ডা গ্রামে পুলিশ পাঠিয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণসহ ইউএনওকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করা হয়েছে। নিজেরাই বিরোধ নিরসন করে নেওয়া একটা ভালো সংবাদ।
এ প্রসঙ্গে ইউএনও আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মান্দা থানার ওসিকে নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে গ্রামবাসীর সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। গ্রামবাসী ভুল বুঝতে পেরে নিজেরাই বিরোধ নিষ্পত্তি করে নিয়েছেন, এজন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সে বিষয়ে সবসময় নজরদারি থাকবে।
অবশেষে মুক্ত হলেন নওগাঁর মান্দায় একঘরে করা তিন পরিবার। সব বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছেন সমাজপতিরা। সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করতে একমত হয়েছেন হিন্দু–মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের লোকজন। তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত ভাতহন্ডা গ্রামে আবার সম্প্রীতি ফিরে এসেছে।
আজ শুক্রবার সকালে মডার্ন ক্লাব চত্বরে গ্রামবাসীর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করেন দুই সম্প্রদায়ের সমাজপতিরা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ব্রজেন্দ্রনাথ সাহা, সমাজপতি সামসুল আলম মন্ডল ও ধীরেন্দ্রনাথ সাহা এবং গ্রামবাসীর পক্ষে রহিদুল ইসলাম ও সুরুজ আলী। অন্যদিকে একঘরে হয়ে থাকা পরিবারের পক্ষে বক্তব্য দেন শ্রীকৃষ্ণ প্রামানিক, রামকৃষ্ণ প্রামানিক ও বিউটি রানী।
সমাজপতি সামসুল আলম মন্ডল বলেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে গ্রামের তিন পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছিল। এটা কারোর জন্যই কাম্য ছিল না। ভুলটি বুঝতে পেরে পরিবারগুলোর ওপর থেকে সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান ব্রজেন্দ্রনাথ সাহার নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাতে সমঝোতা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেন গ্রামবাসী।
আরেক সমাজপতি ধীরেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, ভাতহন্ডা গ্রামে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে স্বহাবস্থানে বসবাস করে আসছে। এ গ্রামে দুই সম্প্রদায়ের মধ্য অতীতে কোনো ভেদাভেদ ছিল না। সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারণে গ্রামে অশান্তির সৃষ্টি হয়। বিষয়টি অনুধাবন করে সকল বিরোধের নিরসন করে নেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের রামকৃষ্ণ প্রামানিক বলেন, গ্রামের লোকজন আগের মতই চলাফেরা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরই মধ্যে প্রতিবেশীরা আমাদের বাড়িতে যাওয়া–আসা করছেন। দেখা হলে গ্রামের অন্যরাও কথা বলছেন। এখন খুব ভালো লাগছে। এ অবস্থা যেন অটুট থাকে সেই প্রত্যাশা করছি।
সাবেক চেয়ারম্যান ব্রজেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, ভাতহন্ডা গ্রামে দুই সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে অতীতে কোনো বিরোধ ছিল না। অনাকাঙ্ক্ষিভাবে একটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও আবু বাক্কার সিদ্দিক ও মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমানের পরামর্শে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকবে গ্রামবাসী।
মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, একঘরে করে রাখার বিষয়টি আগে জানা ছিল না। সংবাদ প্রকাশের পর ভাতহন্ডা গ্রামে পুলিশ পাঠিয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণসহ ইউএনওকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করা হয়েছে। নিজেরাই বিরোধ নিরসন করে নেওয়া একটা ভালো সংবাদ।
এ প্রসঙ্গে ইউএনও আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মান্দা থানার ওসিকে নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে গ্রামবাসীর সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। গ্রামবাসী ভুল বুঝতে পেরে নিজেরাই বিরোধ নিষ্পত্তি করে নিয়েছেন, এজন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সে বিষয়ে সবসময় নজরদারি থাকবে।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও খ্যাতি ছড়িয়েছিল অবিভক্ত ব্রিটিশ-ভারতে প্রতিষ্ঠিত শতবর্ষী যশোর ইনস্টিটিউট। একটা সময় যশোরের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া জগৎ উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখে মাতৃস্থানীয় এ সংগঠন।
১৫ মিনিট আগেভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে পর্যন্ত রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ ও ভারতের মুর্শিদাবাদের ময়া পর্যন্ত পদ্মা নদীতে চালু ছিল একটি নৌ-রুট। ৫৯ বছর পর নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় আবার এই নৌ-রুট চালুর উদ্যোগ নেয় বিগত সরকার।
২৮ মিনিট আগেযশোরের বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনাল চালু করতে বেনাপোল বন্দর আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল বন্ধ করে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের পর গতকাল শনিবার সারা দেশ থেকে বেনাপোল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন ব্যবসায়ী সমিতি।
৩৪ মিনিট আগেকালাবদর নদের তীরের গ্রাম বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ জাঙ্গালিয়া। গভীর রাতে খননযন্ত্রের (এক্সকাভেটর) শব্দে গ্রামটির মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। প্রতিরাতে একদল লোক কয়েকটি ট্রলারে এসে এক্সকাভেটর দিয়ে নদের তীরের মাটি কেটে নিয়ে যায়। গ্রামবাসী ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
১ ঘণ্টা আগে