প্রতিনিধি, বগুড়া
বগুড়ায় শতাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকের চার্জিং গ্যারেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ৩ জুন শনিবার থেকে নগরীর নারুলি, কাটনারপাড়া, চেলো পাড়ার, মাঝিরা, শাকপালা, অলির বাজার থেকে বারোপুর এলাকায় এ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী (নেসকো)। টানা কয়েকদিন চার্জ দিতে না পারলে যানবাহনগুলোর ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কায় গ্যারেজ মালিক ও চালকরা।
গ্যারেজ মালিক ও চালকরা বলেন, গত ৩ জুলাই থেকে নেসকো অফিস থেকে লোকজন এসে গ্যারেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। সংযোগ কেটে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ কাজ করা হচ্ছে।
নারুলি এলাকার গ্যারেজ মালিক মুকুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের কোনো মাসের বিদ্যুৎ বিল বাকি নেই। কিন্তু হঠাৎ করেই গ্যারেজের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত ব্যাটারিতে চার্জ না দেওয়া হলে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের না খাইয়ে মেরে ফেলার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে চালকেরা একেবারে পথে বসে যাবে।’
এ প্রসঙ্গে বগুড়ায় নেসকো-২ এর বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রেহান ওই একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে চার্জিং গ্যারেজগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি।’
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘ব্যাটারি চালিত যানবাহনে চার্জ দেওয়ার কারণে নেসকো’কে গ্যারেজগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নির্দেশ দেয়া হয়। আমরা শুধু আইন পালন করেছি।’
এদিকে, চার্জিং গ্যারেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের বগুড়া জেলা শাখা।
সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি সাইফুজ্জামান টুটুল ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে বলেন, করোনা ও লকডাউনে সারাদেশের মানুষের আয় কমছে, কর্মচ্যুতি ঘটছে, দারিদ্রতা বাড়ছে। সেই সময় রিকশাচালকসহ শ্রমজীবীরা তাঁদের পরিবারের মুখে দু’মুঠো আহার তুলে দেওয়ার জন্য করোনার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতি জরুরী সেবার প্রয়োজনে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে সামান্য কিছু আয় করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বগুড়ায় প্রশাসন রিকশার ব্যাটারি চার্জিং গ্যারেজ ও দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইকের ব্যাটারি নষ্ট ও অচল করে দেওয়ার অপচেষ্টা শুধু অযৌক্তিকই নয়, অমানবিকও বটে। আমরা বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানতে পারি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কথা। সেই সকল অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কারার ক্ষেত্রে প্রশাসনের তেমন কোন উদ্যোগ না থাকলেও লকডাউন চলাকালে বৈধ বিদ্যুৎ গ্রাহকের লাইন বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ প্রকাশ করা হচ্ছে।
বিবৃতি আরও বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকসহ শ্রমজীবীদের জীবন জীবিকায় আঘাত আনে এমন যে কোন সিদ্ধান্ত ও অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিও তাঁদের। একই সঙ্গে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নকশা আধুনিকায়ন, নীতিমালা প্রনয়ণ এবং লাইসেন্স প্রদানের জন্যও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায়।
প্রসঙ্গত, ২০ জুন ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একই সঙ্গে ইজিবাইকও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, যা ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এরপর থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকার মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তৎপরতা শুরু হয়।
বগুড়ায় শতাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকের চার্জিং গ্যারেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ৩ জুন শনিবার থেকে নগরীর নারুলি, কাটনারপাড়া, চেলো পাড়ার, মাঝিরা, শাকপালা, অলির বাজার থেকে বারোপুর এলাকায় এ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী (নেসকো)। টানা কয়েকদিন চার্জ দিতে না পারলে যানবাহনগুলোর ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কায় গ্যারেজ মালিক ও চালকরা।
গ্যারেজ মালিক ও চালকরা বলেন, গত ৩ জুলাই থেকে নেসকো অফিস থেকে লোকজন এসে গ্যারেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। সংযোগ কেটে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ কাজ করা হচ্ছে।
নারুলি এলাকার গ্যারেজ মালিক মুকুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের কোনো মাসের বিদ্যুৎ বিল বাকি নেই। কিন্তু হঠাৎ করেই গ্যারেজের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত ব্যাটারিতে চার্জ না দেওয়া হলে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের না খাইয়ে মেরে ফেলার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে চালকেরা একেবারে পথে বসে যাবে।’
এ প্রসঙ্গে বগুড়ায় নেসকো-২ এর বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রেহান ওই একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে চার্জিং গ্যারেজগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি।’
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘ব্যাটারি চালিত যানবাহনে চার্জ দেওয়ার কারণে নেসকো’কে গ্যারেজগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নির্দেশ দেয়া হয়। আমরা শুধু আইন পালন করেছি।’
এদিকে, চার্জিং গ্যারেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের বগুড়া জেলা শাখা।
সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি সাইফুজ্জামান টুটুল ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে বলেন, করোনা ও লকডাউনে সারাদেশের মানুষের আয় কমছে, কর্মচ্যুতি ঘটছে, দারিদ্রতা বাড়ছে। সেই সময় রিকশাচালকসহ শ্রমজীবীরা তাঁদের পরিবারের মুখে দু’মুঠো আহার তুলে দেওয়ার জন্য করোনার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতি জরুরী সেবার প্রয়োজনে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে সামান্য কিছু আয় করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বগুড়ায় প্রশাসন রিকশার ব্যাটারি চার্জিং গ্যারেজ ও দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইকের ব্যাটারি নষ্ট ও অচল করে দেওয়ার অপচেষ্টা শুধু অযৌক্তিকই নয়, অমানবিকও বটে। আমরা বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানতে পারি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কথা। সেই সকল অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কারার ক্ষেত্রে প্রশাসনের তেমন কোন উদ্যোগ না থাকলেও লকডাউন চলাকালে বৈধ বিদ্যুৎ গ্রাহকের লাইন বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ প্রকাশ করা হচ্ছে।
বিবৃতি আরও বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকসহ শ্রমজীবীদের জীবন জীবিকায় আঘাত আনে এমন যে কোন সিদ্ধান্ত ও অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিও তাঁদের। একই সঙ্গে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নকশা আধুনিকায়ন, নীতিমালা প্রনয়ণ এবং লাইসেন্স প্রদানের জন্যও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায়।
প্রসঙ্গত, ২০ জুন ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একই সঙ্গে ইজিবাইকও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, যা ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এরপর থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকার মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তৎপরতা শুরু হয়।
তেভাগা আন্দোলনের নেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর মো. এনামউল্যা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে হাবিপ্রবির শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি সমাধিসৌধ পরিদর্শন, কবর জিয়ারত
১ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নে গুলি করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) তিন কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলছে। সকাল ৬টা থেকে অবরোধ থেকে শুরু হয়। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঢাকা সিটি করপোরেশনের কিছু এলাকায় বর্জ্য সংগ্রহ কাজের হাতবদল হচ্ছে। এবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ময়লা-বাণিজ্য নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন বিএনপির ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতারা।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরে ডায়না গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। তারা মিরপুর ১৪ নম্বরের কচুক্ষেত সড়ক বিক্ষোভ করে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
২ ঘণ্টা আগে