বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
স্বামী ও একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে আছেন নাটোরের বড়াইগ্রামের উর্মি বেগম। গতকাল শুক্রবার টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা-শিশুসন্তানসহ তিনজন নিহত হন। শোকে বিহ্বল উর্মি বলেন, ‘চোখের সামনেই বুকের ধনকে বাঁচাতে গিয়ে ওরা তিনজনই ট্রেনে কাটা পড়ল। আমি এ দৃশ্য ভুলতে পারছি না। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব?’
উর্মি বেগম বলেন, বাস বিকল হওয়ায় ৪ বছরের ছেলে সানিকে প্রস্রাব করাতে নিয়ে নামেন রতন প্রামাণিক। সড়কের পাশেই রেললাইনের দিকে নিয়ে যান। বাসে বসে জানালা দিয়ে সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন তিনি। হঠাৎ সেই লাইনে ট্রেন চলে এলে সেখানেই কাটা পড়ে মারা যান বাবা, ছেলে ও এক সহযাত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আনালিয়াবাড়ি এলাকায় শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান রতন প্রামাণিক (২৯), তাঁর ছেলে সানি (৪) ও এক সহযাত্রী শরিফ মণ্ডল (৪০)। পরে রেলওয়ে পুলিশ মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নিহত শরিফ মণ্ডল রাজশাহীর বেলপুকুর থানার মাহিন্দ্রা গ্রামের আলম মণ্ডলের ছেলে।
রতনের ভাই মিনারুল প্রামাণিক বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাসে করে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন রতন। বড়াইগ্রাম থানা মোড় এলাকা থেকে বাসে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় রওনা হন। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে টাঙ্গাইলের আনালিয়াবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বাসটি বিকল হয়ে যায়। স্ত্রীকে বাসে বসিয়ে রেখে শিশুসন্তানকে প্রস্রাব করানোর জন্য পাশের রেললাইনের কাছে যান। সেখানে সন্তানের পর তিনিও প্রস্রাব করছিলেন। এ সময় শিশুটি রেললাইনে উঠে পড়ে। তখনই ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেন চলে আসে। শিশুটিকে রক্ষা করতে রতন ও তাঁর সহযাত্রী শরিফ মণ্ডল রেললাইনে উঠলে ট্রেনটি তাঁদের তিনজনকেই চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। ট্রেনের আলোয় পুরো ঘটনা দেখেন ঊর্মি বেগম।
আজ শনিবার সকালে উপজেলার আদগ্রামে রতন প্রামাণিকের বাড়িতে গিয়ে শত শত মানুষের ভিড় দেখা যায়। ট্রেনে কেটে বিকৃত হওয়ায় আগত কাউকেই বাবা-ছেলের মরদেহ দেখানো হয়নি। কাফনের কাপড়ে ঢেকে পাশাপাশি রাখা ছিল মরদেহ দুটি। অসময়ে বাবা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শুধু পরিবারই নয়, আশপাশের মানুষের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকে পাথর হয়ে রয়েছেন রতন প্রামাণিকের স্ত্রী উর্মি খাতুন। বেশ কিছু সময় পরপর চোখ মেলে চিৎকার করে কাঁদছেন আর বিলাপ করছেন। স্বজনেরা তাঁকে শান্ত করার অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে মরদেহ দুটি দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় লাশের পেছনে ছুটে যান উর্মি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে ঢাকার একটা গার্মেন্টসে চাকরি হয় রতনের। গত বৃহস্পতিবার রতন বাড়িতে এসেছিলেন স্ত্রী-ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে যেতে।
স্বামী ও একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে আছেন নাটোরের বড়াইগ্রামের উর্মি বেগম। গতকাল শুক্রবার টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা-শিশুসন্তানসহ তিনজন নিহত হন। শোকে বিহ্বল উর্মি বলেন, ‘চোখের সামনেই বুকের ধনকে বাঁচাতে গিয়ে ওরা তিনজনই ট্রেনে কাটা পড়ল। আমি এ দৃশ্য ভুলতে পারছি না। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব?’
উর্মি বেগম বলেন, বাস বিকল হওয়ায় ৪ বছরের ছেলে সানিকে প্রস্রাব করাতে নিয়ে নামেন রতন প্রামাণিক। সড়কের পাশেই রেললাইনের দিকে নিয়ে যান। বাসে বসে জানালা দিয়ে সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন তিনি। হঠাৎ সেই লাইনে ট্রেন চলে এলে সেখানেই কাটা পড়ে মারা যান বাবা, ছেলে ও এক সহযাত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আনালিয়াবাড়ি এলাকায় শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান রতন প্রামাণিক (২৯), তাঁর ছেলে সানি (৪) ও এক সহযাত্রী শরিফ মণ্ডল (৪০)। পরে রেলওয়ে পুলিশ মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নিহত শরিফ মণ্ডল রাজশাহীর বেলপুকুর থানার মাহিন্দ্রা গ্রামের আলম মণ্ডলের ছেলে।
রতনের ভাই মিনারুল প্রামাণিক বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাসে করে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন রতন। বড়াইগ্রাম থানা মোড় এলাকা থেকে বাসে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় রওনা হন। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে টাঙ্গাইলের আনালিয়াবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বাসটি বিকল হয়ে যায়। স্ত্রীকে বাসে বসিয়ে রেখে শিশুসন্তানকে প্রস্রাব করানোর জন্য পাশের রেললাইনের কাছে যান। সেখানে সন্তানের পর তিনিও প্রস্রাব করছিলেন। এ সময় শিশুটি রেললাইনে উঠে পড়ে। তখনই ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেন চলে আসে। শিশুটিকে রক্ষা করতে রতন ও তাঁর সহযাত্রী শরিফ মণ্ডল রেললাইনে উঠলে ট্রেনটি তাঁদের তিনজনকেই চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। ট্রেনের আলোয় পুরো ঘটনা দেখেন ঊর্মি বেগম।
আজ শনিবার সকালে উপজেলার আদগ্রামে রতন প্রামাণিকের বাড়িতে গিয়ে শত শত মানুষের ভিড় দেখা যায়। ট্রেনে কেটে বিকৃত হওয়ায় আগত কাউকেই বাবা-ছেলের মরদেহ দেখানো হয়নি। কাফনের কাপড়ে ঢেকে পাশাপাশি রাখা ছিল মরদেহ দুটি। অসময়ে বাবা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শুধু পরিবারই নয়, আশপাশের মানুষের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকে পাথর হয়ে রয়েছেন রতন প্রামাণিকের স্ত্রী উর্মি খাতুন। বেশ কিছু সময় পরপর চোখ মেলে চিৎকার করে কাঁদছেন আর বিলাপ করছেন। স্বজনেরা তাঁকে শান্ত করার অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে মরদেহ দুটি দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় লাশের পেছনে ছুটে যান উর্মি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে ঢাকার একটা গার্মেন্টসে চাকরি হয় রতনের। গত বৃহস্পতিবার রতন বাড়িতে এসেছিলেন স্ত্রী-ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে যেতে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সন্দেহে ৯ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
৪ মিনিট আগেসাতক্ষীরার তালা উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর কপোতাক্ষ নদ থেকে এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার মাঝিয়াড়া শ্মশান এলাকার নদ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
৮ মিনিট আগেউত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। মধ্য রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করে। সকাল ৯-১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারপাশ। এ সময় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে যানবাহন। এমন অবস্থায় ভোগান্তি বেড়েছে অটোরিকশাচালক ও খেটে খাওয়া মানুষের।
৩২ মিনিট আগেরাজধানীর জুরাইনে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রাখা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় বেলা পৌনে ১২টা থেকে ঢাকা-পদ্মা সেতু রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে চালকেরা অবরোধ তুলে নিলে ৩ ঘণ্টা পর বেলা ৩টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১ ঘণ্টা আগে