রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চলতি জুলাই মাসেই মৃত্যুর সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৭ জন। ফলে চলতি মাসে হাসপাতালটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৫ জনে। গত জুন মাসে এই হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন ৪০৫ জন।

রোববার সকালে হাসপাতালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন করে মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ছয়জন রাজশাহীর, চারজন নাটোরের, দুজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনার এবং একজন করে নওগাঁ, বগুড়া ও ঝিনাইদহের বাসিন্দা ছিলেন। এদের মধ্যে রাজশাহীর দুজন এবং নাটোর, নওগাঁ ও পাবনার একজন করে মোট পাঁচজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। রাজশাহীর আরেকজন করোনা নেগেটিভ হলেও শারীরিক নানা জটিলতায় কোভিড ইউনিটে মারা গেছেন। বাকি ১১ জন মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। এর মধ্যে রাজশাহী ও নাটোরের তিনজন করে; চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুজন এবং বগুড়া, পাবনা ও ঝিনাইদহের একজন করে রোগী ছিলেন।

২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে আটজন পুরুষ ও নয়জন নারী। এদের মধ্যে ১১-২০ বছরের মধ্যে একজন নারী, ২১-৩০ বছরের মধ্যে একজন পুরুষ, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে দুজন নারী, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও তিনজন নারী এবং ষাটোর্ধ্ব দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী ছিলেন।

হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যা ৪৫৪টি। রোববার সকালে ভর্তি ছিলেন ৫০৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৬০ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৬ জন। রোববার সকালে রাজশাহীর ২৭১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৯ জন, নাটোরের ৮৪ জন, নওগাঁর ৪৬ জন, পাবনার ৪৮ জন, কুষ্টিয়ার ১১ জন, সিরাজগঞ্জ ও জয়পুরহাটের দুজন করে এবং চুয়াডাঙ্গা, বগুড়া ও ঝিনাইদহের একজন করে রোগী ভর্তি ছিলেন।
এদের মধ্যে ২৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর ২০৫ জন ছিলেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ হলেও শারীরিক নানা জটিলতায় কোভিড ইউনিটে ভর্তি ছিলেন ৫৮ জন।

রাজশাহীর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী, র‌্যাপিড এন্টিজেন ও আরটিপিসিআর মিলে শনিবার জেলায় মোট এক হাজার ৪৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ২১৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ দিন শুধু রাজশাহীর দুটি আরটিপিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ।