তুলসীগঙ্গা নদীতে প্রাণ ফেরাতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
Thumbnail image
তুলসীগঙ্গা নদীতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁ শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত তুলসীগঙ্গা নদী একসময় ছিল স্রোতস্বিনী। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনায় নদীটি এখন মৃতপ্রায়। ঢেকে গেছে কচুরিপানার চাদরে। তবে এবার নদীটির প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পরিষ্কার অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের রজাকপুর মহল্লায় জেলা প্রশাসন ও জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

এ উপলক্ষে সেখানে এক আলোচনা সভাও হয়। সভায় জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল, পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর উপরিচালক জাবেদ ইকবাল ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফইজুর রহমা সহ অন্যরা বক্তব্য দেন। পরে তুলসীগঙ্গা নদী পরিষ্কার অভিযান উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার রজাকপুর এলাকায় তুলসীগঙ্গা সেতু দুই পাশে নদীজুড়ে যেন ময়লার স্তূপ। সেতুর নিচে প্রচুর বর্জ্য ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া নদীটি কচুরিপানায় ঢেকে আছে। প্রতিনিয়ত বর্জ্য ফেলায় ঢেকে গেছে নদীর পানি। এসব ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য হাতল, কাস্তে ও দা হাতে নদীর প্রাণ ফেরাতে অংশ নিয়েছে বিডি ক্লিন, রেড ক্রিসেন্ট ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ প্রায় ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী।

৬টি দলে বিভক্ত হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে এই পরিষ্কার অভিযান। অভিযানে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে মেডিকেল টিম এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যারাও অভিযানে অংশ নেন।

তুলসীগঙ্গা নদীতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালান স্বেচ্ছাসেবীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
তুলসীগঙ্গা নদীতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালান স্বেচ্ছাসেবীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আয়োজকেরা জানান, এ বছর জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, দেশের ৬৪ জেলার ৬৪টি খাল, নদী ও জলাশয় পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় তুলসীগঙ্গা নদীর প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কার করা হবে। এতে পানিতে থাকা জলজ প্রাণীদের বসবাস করা অনেকটা সহজ হবে অন্যদিকে নদীর স্বাভাবিক যে গতিপথ তা ফিরে পাবে।

তুলসীগঙ্গা নদীতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা
তুলসীগঙ্গা নদীতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁর তুলসীগঙ্গা ও ছোট যমুনা নদী বাঁচাতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ।

জানতে চাইলে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মেহমুদ মোস্তফা বলেন, নদীকে বাঁচাতে হলে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বা প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। দখল ও দূষণ রোধ করতে হবে। নদীর গতিপথের মুখ বন্ধ রেখে বাঁচানো সম্ভব হয়। নদীর প্রাণ ফেরাতে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত