বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার না পেয়ে অনশনে বসেছেন পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আকতার। আজ সোমবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ অনশন শুরু হয়। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।
ফাহিমা আকতার বলেন, ‘২০১৯ সালের ১৮ মার্চ শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এর ছয় মাস পর থেকে তার সঙ্গে বৈরী আচরণ শুরু করেন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু। পরিষদের কোনো কাজ তাকে দেওয়া হয় না, নিজের ইচ্ছে মতো উপজেলা চেয়ারম্যান সব উন্নয়নকাজ বণ্টন এবং তদারকি করেন। নারী উন্নয়ন ফোরামের এক কোটি টাকা চেয়ারম্যান আটকে রাখেন। ফলে উপজেলার নারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তার দায়িত্ব–কর্তব্যে বাঁধা দেন উপজেলা চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে বিভিন্ন সময় লিখিত অভিযোগ করায় গত ডিসেম্বর মাসে তার লোকজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক মাস ধরে তালা দিয়ে রেখেছিলেন।’
ফাহিমা আকতার বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত দিয়ে এবং একাধিকবার সাক্ষাৎ করেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় আজ (সোমবার) আমি আমার কর্মী–সমর্থক নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎ করতে আসি। আমাকে অফিসে ঢুকতে না দেওয়ায় অফিস চত্বরে আমি আমরণ অনশন শুরু করেছি।
বেলা ৩টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাসুম আলী বেগ একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশসহ এসে আমাকে জোর পূর্বক তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি অনড় থাকায় পুলিশ আমার মাইক কেড়ে নিয়ে চলে যায়।’
এ দিকে আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ থেকে ২০ জন নারীকে সঙ্গে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসে আছেন শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আকতার।
এ সময় তিনি বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে উঠব না।’ তার সঙ্গে বসে থাকা তারাবানু, মাজেদা খাতুন, রশিদা, আঙ্গুরা, ফাতেমা, হালিমা নামে কয়েকজন বলেন, ‘রোজা থাকলেও ইফতারের সময় পানিও পান করেননি ফাহিমা। তিনি তার অবস্থানে অনড়। আমরা তার সঙ্গে আছি। দাবি আদায় না হলে মঙ্গলবার শিবগঞ্জ থেকে কয়েক শ নারী মিছিল নিয়ে এখানে আসবেন।’
অভিযোগের বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান করছেন। তিনি তার কোনো দাবি-দাওয়া নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেননি।
তবে যতটুকু শুনেছি, তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি আবেদন করেছেন। সেখানে নারী উন্নয়ন ফোরামের ৬০ লাখ টাকা তার ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার দাবি করেছেন। ইউএনও তাঁকে বিধি মোতাবেক প্রাপ্যতা দেওয়ার কথা বলায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।’
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাসুম আলী বেগ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদে তেমন গুরুত্ব পাচ্ছেন না, তাঁকে কোনো স্বাক্ষরের ক্ষমতা (সাইনিং অথোরিটি) দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া নারী উন্নয়ন ফোরামের টাকা তাঁর কাছে দেওয়া হচ্ছে না এমন সব দাবি করছেন। তাঁকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে আইনের বাইরে তাঁকে কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিধান নেই।
তিনি তারপরও সেসব না মেনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মাইকে উচ্চ শব্দে বক্তব্য দিতে থাকেন। তখন তার মাইকটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তাঁকে বারবার বোঝানোর পরও তিনি ডিসি অফিস ত্যাগ করতে সম্মত হননি বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার না পেয়ে অনশনে বসেছেন পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আকতার। আজ সোমবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ অনশন শুরু হয়। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।
ফাহিমা আকতার বলেন, ‘২০১৯ সালের ১৮ মার্চ শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এর ছয় মাস পর থেকে তার সঙ্গে বৈরী আচরণ শুরু করেন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু। পরিষদের কোনো কাজ তাকে দেওয়া হয় না, নিজের ইচ্ছে মতো উপজেলা চেয়ারম্যান সব উন্নয়নকাজ বণ্টন এবং তদারকি করেন। নারী উন্নয়ন ফোরামের এক কোটি টাকা চেয়ারম্যান আটকে রাখেন। ফলে উপজেলার নারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তার দায়িত্ব–কর্তব্যে বাঁধা দেন উপজেলা চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে বিভিন্ন সময় লিখিত অভিযোগ করায় গত ডিসেম্বর মাসে তার লোকজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক মাস ধরে তালা দিয়ে রেখেছিলেন।’
ফাহিমা আকতার বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত দিয়ে এবং একাধিকবার সাক্ষাৎ করেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় আজ (সোমবার) আমি আমার কর্মী–সমর্থক নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎ করতে আসি। আমাকে অফিসে ঢুকতে না দেওয়ায় অফিস চত্বরে আমি আমরণ অনশন শুরু করেছি।
বেলা ৩টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাসুম আলী বেগ একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশসহ এসে আমাকে জোর পূর্বক তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি অনড় থাকায় পুলিশ আমার মাইক কেড়ে নিয়ে চলে যায়।’
এ দিকে আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ থেকে ২০ জন নারীকে সঙ্গে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসে আছেন শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আকতার।
এ সময় তিনি বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে উঠব না।’ তার সঙ্গে বসে থাকা তারাবানু, মাজেদা খাতুন, রশিদা, আঙ্গুরা, ফাতেমা, হালিমা নামে কয়েকজন বলেন, ‘রোজা থাকলেও ইফতারের সময় পানিও পান করেননি ফাহিমা। তিনি তার অবস্থানে অনড়। আমরা তার সঙ্গে আছি। দাবি আদায় না হলে মঙ্গলবার শিবগঞ্জ থেকে কয়েক শ নারী মিছিল নিয়ে এখানে আসবেন।’
অভিযোগের বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান করছেন। তিনি তার কোনো দাবি-দাওয়া নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেননি।
তবে যতটুকু শুনেছি, তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি আবেদন করেছেন। সেখানে নারী উন্নয়ন ফোরামের ৬০ লাখ টাকা তার ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার দাবি করেছেন। ইউএনও তাঁকে বিধি মোতাবেক প্রাপ্যতা দেওয়ার কথা বলায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।’
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাসুম আলী বেগ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদে তেমন গুরুত্ব পাচ্ছেন না, তাঁকে কোনো স্বাক্ষরের ক্ষমতা (সাইনিং অথোরিটি) দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া নারী উন্নয়ন ফোরামের টাকা তাঁর কাছে দেওয়া হচ্ছে না এমন সব দাবি করছেন। তাঁকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে আইনের বাইরে তাঁকে কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিধান নেই।
তিনি তারপরও সেসব না মেনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মাইকে উচ্চ শব্দে বক্তব্য দিতে থাকেন। তখন তার মাইকটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তাঁকে বারবার বোঝানোর পরও তিনি ডিসি অফিস ত্যাগ করতে সম্মত হননি বলে জানান এ কর্মকর্তা।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব এলাকার সাহেলা বেগম নিজের ও তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে চরমথুরার শ্বাসকষ্টের রোগী আবুল কালাম সকাল ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার সময়ও চিকিৎসক দেখাতে
১৪ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই কারণে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
২০ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে নেওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) এই প্রকল্পের ঠিকাদারদের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা অবসানের পর শুরু হচ্ছে নতুন ধাপ, এতে গুরুত্ব দেওয়া হবে পান্থকুঞ্জ থেকে বুয়েট পর্যন্ত অংশ।
২ ঘণ্টা আগেথানা হলো জনসাধারণকে সেবা প্রদানের মূল কেন্দ্রস্থল। পুলিশের কাজ হচ্ছে জনগণকে সেবা দেওয়া। আমরা সম্মানিত নগরবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। থানায় আসা একজন ব্যক্তিও যেন সেবা বঞ্চিত না হন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে...
২ ঘণ্টা আগে