রাজশাহী প্রতিনিধি
একসময় জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) উত্থান ঘটেছিল রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায়। ছিল সর্বহারা ক্যাডারও। এবার সেই বাগমারায় উত্থান ঘটেছে 'জিন বাহিনী'র। এতে অতিষ্ঠ বড়বিহানলী ইউনিয়নের বাসিন্দারা। বিল দখল, জমি দখল, বাড়ি দখলসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে এই বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। বাহিনীর প্রধান হিসেবে আছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা। তাঁর নামে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ করেছেন আপেল মামুদ।
এ বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আপেল মামুদ রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তি আজ মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। জিন বাহিনী আর পুলিশের একজন দারোগার সহায়তায় বাড়ি দখল হয়ে যাওয়ায় ২৫ দিন ধরে আপেল মামুদের পরিবার বাড়ি ছাড়া হয়েছে। একটি মামলাও হয়েছে আপেলের নামে। আরও মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জিন বাহিনীর প্রধান রেজাউল করিমের পরামর্শে প্রতিবেশী আবদুল আজিজ গত জুলাইয়ে আপেল মামুদের বসতভিটার একটা অংশ দখলে নিতে শুরু করেন। আপেল বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছিলেন। তারপর গ্রাম্য সালিস হয়। কিন্তু লাভ হয়নি। তাই আপেল আদালতে মামলা করেন। কিন্তু এরই মধ্যে রেজাউল করিম ও বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলতাফ হোসেন গিয়ে আজিজকে দিয়ে আপেলের বসতভিটা দখল করান। তখন এসআই আলতাফ তাঁকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। নইলে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রায় ১ হাজার ২০০ বিঘা খাস জমির বিলসুতি বিলের চারপাশে ২০-২৫ হাজার পরিবার মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু জিন বাহিনীর প্রধান রেজাউল করিম ২০০-২৫০ বিঘা বিল অবৈধভাবে দখল করে মাছ চাষ শুরু করেছেন। কয়া মৌজায় অধিকাংশ লোক হিন্দু সংখ্যালঘু। রেজাউল তাঁদের ভয়ভীতি দেখান এবং তাঁদের ধান কেটে নিয়ে আসেন। সিন্দুর লং মৌজায় ১০০-১৫০ বিঘা সরকারি খাস জমি জোরপূর্বক দখল করেছে জিন বাহিনী।
সম্প্রতি এ বাহিনী ইয়ারব নামের এক ব্যক্তির দিঘির মাছ ধরে নিয়েছে। বোড়াবাড়ী গ্রামের জিন বাহিনীর সদস্যরা মাছ লুট করতে যান। এলাকাবাসী তিনজনকে পিটিয়ে হাসপাতালে ভর্তিও করেছিলেন। রেজাউল করিমের ইন্ধনে ইটাবাড়ি ভিটা এলাকায় ২০-২৫টি পরিবার এখন প্রকাশ্যে গাঁজা ও মদের ব্যবসা করে। রেজাউল ও রানা নামের এক ব্যক্তি এই গ্রাম থেকে টাকা তুলে এসআই আলতাফকে দেন।
এ বিষয়ে আপেল মামুদ বলেন, ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হককে নির্যাতন করেছে জিন বাহিনী। বাবু, আব্দুর রশিদ, ইব্রাহিম, ছয়ফল আলী এরশাদ, রুবেশ, আরিফ, আব্দুল হান্নান, আব্দুল আজিজসহ আরও ১০-১৫ জনকে নিয়ে এই বাহিনী চালান রেজাউল। বাহিনীর সদস্যরা রাস্তার কাজ করার সময় ঠিকাদার নাজমুল হোসেনের দুই শ্রমিককে গাছে টাঙ্গিয়ে পিটিয়ে চাঁদা নিয়েছেন। এ ছাড়া চাকরি দেওয়ার নামে বাগমারার উত্তর মাঝগ্রামের সোহরাব হোসেনের কাছ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, বাগান্না গ্রামের মাহবুব রহমানের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং পুকুর লিজ নিয়ে দেওয়ার নামে আম-বজরুক পাহাড়পুর গ্রামের ইয়াছিন আলীর কাছ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন রেজাউল।
শুধু তাই নয়, দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে সরকারি ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাটকয়া গ্রামের আব্দুল মদিন, গোয়াবাড়ির সুবাস চন্দ্র, বড়য়ার কল্পনা রানী, বড়কথার কার্তিক, অজিত কুমার দাস, বড়কয়ার বিদ্যুৎ, অচিন্ত এবং মোয়াজ্জেনসহ শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন রেজাউল করিম।
আপেল মামুদ আরও বলেন, জিন বাহিনীর অত্যাচারে আমি এখন সপরিবারে বাড়িছাড়া। এসআই আলতাফ এ কাজে সহায়তা করেছেন। আমি চাই প্রশাসন তদন্ত করে পদক্ষেপ নেবে।
জিন বাহিনীর অস্তিত্ব নিয়ে জানতে চাইলে রেজাউল করিম বলেন, আমি নেতা মানুষ। ইউনিয়ন পরিষদে ভোট করে একবার হেরেছি। সামনে আবার করব। আমার পেছনে মানুষ থাকে। এখন এটাকে যদি কেউ বাহিনী বলে তাহলে তাই। অপরদিকে রেজাউল করিম তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। যিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি আগে অন্যদের সর্বহারা করতেন। আমাদের কাছে প্রশ্রয় না পেয়ে উল্টাপাল্টা বকছেন।
বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, বাগমারায় জিন বাহিনী নামে কোনো বাহিনীর অস্তিত্ব নেই। আর আপেল মামুদের বাড়ি দখল হয়ে যাওয়া কিংবা এসআই আলতাফের হুমকি দেওয়ার কথাও সত্য নয়।
এ ব্যাপারে কথা বলতে এসআই আলতাফ হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
একসময় জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) উত্থান ঘটেছিল রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায়। ছিল সর্বহারা ক্যাডারও। এবার সেই বাগমারায় উত্থান ঘটেছে 'জিন বাহিনী'র। এতে অতিষ্ঠ বড়বিহানলী ইউনিয়নের বাসিন্দারা। বিল দখল, জমি দখল, বাড়ি দখলসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে এই বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। বাহিনীর প্রধান হিসেবে আছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা। তাঁর নামে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ করেছেন আপেল মামুদ।
এ বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আপেল মামুদ রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তি আজ মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। জিন বাহিনী আর পুলিশের একজন দারোগার সহায়তায় বাড়ি দখল হয়ে যাওয়ায় ২৫ দিন ধরে আপেল মামুদের পরিবার বাড়ি ছাড়া হয়েছে। একটি মামলাও হয়েছে আপেলের নামে। আরও মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জিন বাহিনীর প্রধান রেজাউল করিমের পরামর্শে প্রতিবেশী আবদুল আজিজ গত জুলাইয়ে আপেল মামুদের বসতভিটার একটা অংশ দখলে নিতে শুরু করেন। আপেল বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছিলেন। তারপর গ্রাম্য সালিস হয়। কিন্তু লাভ হয়নি। তাই আপেল আদালতে মামলা করেন। কিন্তু এরই মধ্যে রেজাউল করিম ও বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলতাফ হোসেন গিয়ে আজিজকে দিয়ে আপেলের বসতভিটা দখল করান। তখন এসআই আলতাফ তাঁকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। নইলে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রায় ১ হাজার ২০০ বিঘা খাস জমির বিলসুতি বিলের চারপাশে ২০-২৫ হাজার পরিবার মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু জিন বাহিনীর প্রধান রেজাউল করিম ২০০-২৫০ বিঘা বিল অবৈধভাবে দখল করে মাছ চাষ শুরু করেছেন। কয়া মৌজায় অধিকাংশ লোক হিন্দু সংখ্যালঘু। রেজাউল তাঁদের ভয়ভীতি দেখান এবং তাঁদের ধান কেটে নিয়ে আসেন। সিন্দুর লং মৌজায় ১০০-১৫০ বিঘা সরকারি খাস জমি জোরপূর্বক দখল করেছে জিন বাহিনী।
সম্প্রতি এ বাহিনী ইয়ারব নামের এক ব্যক্তির দিঘির মাছ ধরে নিয়েছে। বোড়াবাড়ী গ্রামের জিন বাহিনীর সদস্যরা মাছ লুট করতে যান। এলাকাবাসী তিনজনকে পিটিয়ে হাসপাতালে ভর্তিও করেছিলেন। রেজাউল করিমের ইন্ধনে ইটাবাড়ি ভিটা এলাকায় ২০-২৫টি পরিবার এখন প্রকাশ্যে গাঁজা ও মদের ব্যবসা করে। রেজাউল ও রানা নামের এক ব্যক্তি এই গ্রাম থেকে টাকা তুলে এসআই আলতাফকে দেন।
এ বিষয়ে আপেল মামুদ বলেন, ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হককে নির্যাতন করেছে জিন বাহিনী। বাবু, আব্দুর রশিদ, ইব্রাহিম, ছয়ফল আলী এরশাদ, রুবেশ, আরিফ, আব্দুল হান্নান, আব্দুল আজিজসহ আরও ১০-১৫ জনকে নিয়ে এই বাহিনী চালান রেজাউল। বাহিনীর সদস্যরা রাস্তার কাজ করার সময় ঠিকাদার নাজমুল হোসেনের দুই শ্রমিককে গাছে টাঙ্গিয়ে পিটিয়ে চাঁদা নিয়েছেন। এ ছাড়া চাকরি দেওয়ার নামে বাগমারার উত্তর মাঝগ্রামের সোহরাব হোসেনের কাছ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, বাগান্না গ্রামের মাহবুব রহমানের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং পুকুর লিজ নিয়ে দেওয়ার নামে আম-বজরুক পাহাড়পুর গ্রামের ইয়াছিন আলীর কাছ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন রেজাউল।
শুধু তাই নয়, দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে সরকারি ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাটকয়া গ্রামের আব্দুল মদিন, গোয়াবাড়ির সুবাস চন্দ্র, বড়য়ার কল্পনা রানী, বড়কথার কার্তিক, অজিত কুমার দাস, বড়কয়ার বিদ্যুৎ, অচিন্ত এবং মোয়াজ্জেনসহ শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন রেজাউল করিম।
আপেল মামুদ আরও বলেন, জিন বাহিনীর অত্যাচারে আমি এখন সপরিবারে বাড়িছাড়া। এসআই আলতাফ এ কাজে সহায়তা করেছেন। আমি চাই প্রশাসন তদন্ত করে পদক্ষেপ নেবে।
জিন বাহিনীর অস্তিত্ব নিয়ে জানতে চাইলে রেজাউল করিম বলেন, আমি নেতা মানুষ। ইউনিয়ন পরিষদে ভোট করে একবার হেরেছি। সামনে আবার করব। আমার পেছনে মানুষ থাকে। এখন এটাকে যদি কেউ বাহিনী বলে তাহলে তাই। অপরদিকে রেজাউল করিম তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। যিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি আগে অন্যদের সর্বহারা করতেন। আমাদের কাছে প্রশ্রয় না পেয়ে উল্টাপাল্টা বকছেন।
বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, বাগমারায় জিন বাহিনী নামে কোনো বাহিনীর অস্তিত্ব নেই। আর আপেল মামুদের বাড়ি দখল হয়ে যাওয়া কিংবা এসআই আলতাফের হুমকি দেওয়ার কথাও সত্য নয়।
এ ব্যাপারে কথা বলতে এসআই আলতাফ হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
২ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৩ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে