রিপন চন্দ্র রায়, রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের ২৬তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রায় সাত বছর পরে হতে যাওয়া সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। সভাপতি-সম্পাদক পদে আগ্রহী প্রার্থীরা যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে। তবে শীর্ষ দুই পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সুপারিশই ভরসা বলে জানান রাজনীতি সচেতন শিক্ষক ও ছাত্রনেতারা।
শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, রাবি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২৫টি কমিটি হয়েছে। আশির দশক পর্যন্ত এই শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিভিন্ন বিভাগ থেকে নেতৃত্ব এসেছে। যাঁরা দক্ষতার সঙ্গে ক্যাম্পাসে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে ক্রমেই এই ইউনিটের নেতৃত্ব স্থানীয় রাজনৈতিক বলয়ে আটকে গেছে।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আরও জানান, ২০০২-০৪ সাল পর্যন্ত আহ্বায়ক ছিলেন রাবি শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাসসংলগ্ন বিনোদপুর এলাকার ছেলে কামরুজ্জামান চঞ্চল। ২০০৪-১০ সাল পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন পাবনার ইব্রাহিম হোসেন মুন ও রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আয়েন উদ্দিন। ২০১০ সালের কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপুর বাড়ি ক্যাম্পাস-সংলগ্ন তালাইমারী।
২০১৩ সালের কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান রানার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল হোসেন তুহিনের বাড়ি একই জেলার বাঘা উপজেলায়। ২০১৫ সালের কমিটিতে সভাপতি ছিলেন ক্যাম্পাসসংলগ্ন মেহেরচণ্ডি এলাকার রাশেদুল ইসলাম রঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক কাজলার খালিদ হাসান বিপ্লব। সর্বশেষ বর্তমান কমিটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার বাড়ি ক্যাম্পাসসংলগ্ন মেহেরচণ্ডি এবং সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর বাড়ি নগরীর নওহাটা এলাকায়।
সম্মেলন ঘিরে স্থানীয় প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন বর্তমান কমিটির সহসভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম লিংকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য সাকিবুল ইসলাম বাকি ও ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বদেশ।
এ ছাড়া রাজশাহীর বাইরে থেকে আলোচনায় রয়েছে বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মামুন, গণযোগাযোগ ও উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম দুর্জয় ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাখা ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষ নেতা বলেন, বর্তমান ছাত্রলীগের মধ্যে রাজনৈতিক চর্চা অনেকটা কমে গেছে। শুধু আওয়ামী নেতাদের প্রটোকল ও সালাম দেওয়ার মধ্যে অনেকটা সীমাবদ্ধ। কাউন্সিলসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই বললেই চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইউনিট পুরোটা স্থানীয় রাজনৈতিক বলয়ের মধ্যে পড়ে গেছে। এতে নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় কোটা ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। তবে শীর্ষ পদের একজন স্থানীয় এবং আরেক জন বাইরের হতে পারে। এতে ক্যাম্পাস রাজনীতির ব্যালেন্স হবে।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে ছাত্রলীগের মধ্যে আগের মতো গণতান্ত্রিক চর্চা নেই। নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে আগে যেকোনো অঞ্চলের যোগ্যরা প্রাধান্য পেতেন। এখন স্থানীয় রাজনৈতিক বলয়ের চাপে আর বাইরের কেউ শীর্ষ পদে আসতে পারছেন না। এতে অনেক যোগ্য ও মেধাবী ছাত্র রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।’
নতুন নেতৃত্ব কেমন হওয়া উচিত? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিন ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তদবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি শুধু ছাত্রলীগ নয় অন্য দলের ক্ষেত্রেও। দলের জন্য নিবেদিত কর্মীরা ফ্রন্ট লাইনে জায়গা পাচ্ছেন না। তাই নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে যতটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা যায় সেটা দলের জন্য ভালো।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘সামনের জাতীয় নির্বাচনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেদিক বিবেচনায় আমরা যোগ্য ও ত্যাগীদের প্রাধান্য দেব। নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সংগঠনে প্রার্থীর কতটুকু ভূমিকা ছিল সেটা দেখা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তাঁরা ধরেননি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের ২৬তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রায় সাত বছর পরে হতে যাওয়া সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। সভাপতি-সম্পাদক পদে আগ্রহী প্রার্থীরা যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে। তবে শীর্ষ দুই পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সুপারিশই ভরসা বলে জানান রাজনীতি সচেতন শিক্ষক ও ছাত্রনেতারা।
শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, রাবি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২৫টি কমিটি হয়েছে। আশির দশক পর্যন্ত এই শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিভিন্ন বিভাগ থেকে নেতৃত্ব এসেছে। যাঁরা দক্ষতার সঙ্গে ক্যাম্পাসে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে ক্রমেই এই ইউনিটের নেতৃত্ব স্থানীয় রাজনৈতিক বলয়ে আটকে গেছে।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আরও জানান, ২০০২-০৪ সাল পর্যন্ত আহ্বায়ক ছিলেন রাবি শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাসসংলগ্ন বিনোদপুর এলাকার ছেলে কামরুজ্জামান চঞ্চল। ২০০৪-১০ সাল পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন পাবনার ইব্রাহিম হোসেন মুন ও রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আয়েন উদ্দিন। ২০১০ সালের কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপুর বাড়ি ক্যাম্পাস-সংলগ্ন তালাইমারী।
২০১৩ সালের কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান রানার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল হোসেন তুহিনের বাড়ি একই জেলার বাঘা উপজেলায়। ২০১৫ সালের কমিটিতে সভাপতি ছিলেন ক্যাম্পাসসংলগ্ন মেহেরচণ্ডি এলাকার রাশেদুল ইসলাম রঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক কাজলার খালিদ হাসান বিপ্লব। সর্বশেষ বর্তমান কমিটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার বাড়ি ক্যাম্পাসসংলগ্ন মেহেরচণ্ডি এবং সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর বাড়ি নগরীর নওহাটা এলাকায়।
সম্মেলন ঘিরে স্থানীয় প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন বর্তমান কমিটির সহসভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম লিংকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য সাকিবুল ইসলাম বাকি ও ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বদেশ।
এ ছাড়া রাজশাহীর বাইরে থেকে আলোচনায় রয়েছে বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মামুন, গণযোগাযোগ ও উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম দুর্জয় ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাখা ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষ নেতা বলেন, বর্তমান ছাত্রলীগের মধ্যে রাজনৈতিক চর্চা অনেকটা কমে গেছে। শুধু আওয়ামী নেতাদের প্রটোকল ও সালাম দেওয়ার মধ্যে অনেকটা সীমাবদ্ধ। কাউন্সিলসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই বললেই চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইউনিট পুরোটা স্থানীয় রাজনৈতিক বলয়ের মধ্যে পড়ে গেছে। এতে নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় কোটা ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। তবে শীর্ষ পদের একজন স্থানীয় এবং আরেক জন বাইরের হতে পারে। এতে ক্যাম্পাস রাজনীতির ব্যালেন্স হবে।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে ছাত্রলীগের মধ্যে আগের মতো গণতান্ত্রিক চর্চা নেই। নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে আগে যেকোনো অঞ্চলের যোগ্যরা প্রাধান্য পেতেন। এখন স্থানীয় রাজনৈতিক বলয়ের চাপে আর বাইরের কেউ শীর্ষ পদে আসতে পারছেন না। এতে অনেক যোগ্য ও মেধাবী ছাত্র রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।’
নতুন নেতৃত্ব কেমন হওয়া উচিত? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিন ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তদবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি শুধু ছাত্রলীগ নয় অন্য দলের ক্ষেত্রেও। দলের জন্য নিবেদিত কর্মীরা ফ্রন্ট লাইনে জায়গা পাচ্ছেন না। তাই নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে যতটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা যায় সেটা দলের জন্য ভালো।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘সামনের জাতীয় নির্বাচনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেদিক বিবেচনায় আমরা যোগ্য ও ত্যাগীদের প্রাধান্য দেব। নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সংগঠনে প্রার্থীর কতটুকু ভূমিকা ছিল সেটা দেখা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তাঁরা ধরেননি।
দেশের বিশিষ্ট সম্পাদক এবং প্রবীণ সাংবাদিক নুরুল কবির সম্প্রতি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রেস উইং।
৪ মিনিট আগেবগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে দর্শন বিভাগের পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত কনসার্টে ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার রাত ৯টার দিকে সরকারি আজিজুল হক কলেজ (নতুন ভবন) ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
৪২ মিনিট আগেসেমিনারে বক্তারা বলেন, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা নানা কারণে ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও কার্যকর ও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। গণ-আন্দোলনের সাফল্য নিশ্চিত করতে হলে সামগ্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জন-আকাঙ্ক্ষাকে একটি কার্যকর রাজনৈতিক...
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে বাসচাপায় শামীমা আক্তার (২৮) নামে এক পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন দুর্ঘটনায় কবলিত বাসটি আটক করেছে। আজ শনিবার উপজেলার ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের আরএকে সিরামিক কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে