পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে বন্ধ থাকার চার মাস পর চালু হলো স্পিডবোট সার্ভিস। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাজীরহাট ঘাটে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে সীমিত পরিসরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিআইডব্লিউটিএয়ের পরিচালক (পোর্ট) এ কে এম আরিফ উদ্দিন।
উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন আরিচা বন্দর পোর্ট অফিসার মামুনর রশিদ ও নগরবাড়ী নদী বন্দর পোর্ট অফিসার আব্দুল ওয়াকিল, আরিচা ঘাটের স্পিডবোট মালিক ভজন দাস, নাসির উদ্দিন, কাজীরহাট ঘাটের স্পিডবোট মালিক রইচ উদ্দিন, ফেরদৌস কবির, সমেজ হোসেন। এ ছাড়া দুই পাড়ের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা।
বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর এই নৌরুটের দুই পাড়ের বোট মালিকেরা লাপাত্তা হয়ে যান। তাঁদের অনুপস্থিতির কারণে টানা চার মাস স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়েন দুই পাড়ের সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে বিআইডব্লিউটিএ উদ্যোগ নিয়েছে। লাপাত্তা হয়ে যাওয়া স্পিডবোট মালিকদের রুট পারমিট বাতিল করা হয়। নতুন করে স্পিডবোট মালিকদের কাছ থেকে রুট পারমিটের জন্য আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আগ্রহীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে প্রথম অবস্থায় কাজীরহাট ঘাটের ৪৩টি ও আরিচা ঘাটের ১১টি স্পিডবোট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। আরও ৫০টি স্পিডবোটের রুট পারমিটের আবেদন রয়েছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে দাপ্তরিক ও আইনি বাধা দূর করে বাকি স্পিডবোট চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বলে জানান আরিফ উদ্দিন। তিনি বলেন, তখন পুরোদমে চলাচল শুরু হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অতিরিক্ত যাত্রী বহনসহ বিভিন্ন বিধিবিধান মেনে স্পিডবোট পরিচালনা করার জন্য মালিক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান পরিচালক আরিফ উদ্দিন।
যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ২০১৬ সালে এই নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরির পাশাপাশি স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়। কাজিরহাট থেকে আরিচা নৌরুটের দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার। এই রুটে ৪টি ফেরি ও ৯টি লঞ্চ চলাচল করে। তবে সময় কম লাগায় রাজধানীতে যাতায়াতের জন্য স্পিডবোটই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই রুটের যাত্রীদের কাছে। প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মানুষ এই রুটে স্পিডবোটে চলাচল করে। ঈদের সময় প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার যাত্রী এই রুটে স্পিডবোটে পারাপার হয়। বিগত সরকারের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাঁদের লোকজনের মাধ্যমে স্পিডবোটগুলো পরিচালনা করতেন। কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যায় আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাঁদের লোকজন। ফলে সেই দিন থেকে বন্ধ হয়ে যায় স্পিডবোট চলাচল।
এমন পরিস্থিতিতে লঞ্চ ও ফেরিতে চলাচল করছিলেন যাত্রীরা। তবে সময় বেশি লাগায় অস্বস্তিতে পড়েছিলেন তাঁরা। যাত্রীরা দাবি জানিয়েছিলেন দ্রুত স্পিডবোট চালু করার।
কাজিরহাট থেকে আরিচা অভিমুখে যাওয়া যাত্রী আনোয়ার পাশা বলেন, ‘ঢাকায় চাকরি করি। মাসে এক-দুবার বাড়িতে আসতে হয়, নদীতে স্পিডবোটেই যাতায়াত করি। এ কারণ সময় কম লাগে। প্রায় চার মাস স্পিডবোট বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলাম। আজকে লঞ্চে পার হওয়ার জন্য এসে জানতে পারি স্পিডবোট চালু হচ্ছে। শুনে খুশি লাগছে অল্প সময়ে ঢাকা-পাবনা যাতায়াত করতে পারব।’
আরেক যাত্রী আল আমিন জানান, কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে দূরত্ব কম। দ্রুত ঢাকায় যাওয়া-আসা যায়। আর স্পিডবোটে ২০-২৫ মিনিট সময় লাগে। অথচ ফেরি বা লঞ্চে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। এই দুর্ভোগ লাঘবে স্পিডবোট সুবিধা হয়।’
কাজিরহাট ঘাটের স্পিডবোট ব্যবসায়ী ফেরদৌস হোসেন ও আব্দুল বাতেন বলেন, বিগত সরকারের সময় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ নেতারা অবৈধভাবে স্পিডবোট ঘাট পরিচালনা করেছেন। যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি নিয়েছেন। এই রুটে যেখানে ২০ থেকে ২৫টি স্পিডবোট চালানো যথেষ্ট। সেখানে তাঁরা ৮০টি স্পিডবোট চালাতেন। বড় একটা স্পিডবোটে ১৬ জন ধারণক্ষমতা, সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তাঁরা বেশি টাকার আশায় ২১ জন নিতেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে জনবান্ধব স্পিডবোট চালু করে যাত্রীদের ভালো সার্ভিস দিতে চাই।
বিআইডাব্লিউটিএয়ের নগরবাড়ী-কাজিরহাট-নরাদহ নদীবন্দরের পোর্ট অফিসার মো. আব্দুল ওয়াকিল বলেন, আমরা স্পিডবোট মালিক সমিতির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। কিন্তু তাঁরা লাপাত্তা হওয়ায় চালু করা যায়নি। অবশেষে অফিশিয়াল সিস্টেম সম্পন্ন করে নতুনভাবে অনুমোদন সাপেক্ষে স্পিডবোট সার্ভিস চালু করা হলো। আগের সময়ের সব স্পিডবোটের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।
পাবনার কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে বন্ধ থাকার চার মাস পর চালু হলো স্পিডবোট সার্ভিস। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাজীরহাট ঘাটে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে সীমিত পরিসরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিআইডব্লিউটিএয়ের পরিচালক (পোর্ট) এ কে এম আরিফ উদ্দিন।
উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন আরিচা বন্দর পোর্ট অফিসার মামুনর রশিদ ও নগরবাড়ী নদী বন্দর পোর্ট অফিসার আব্দুল ওয়াকিল, আরিচা ঘাটের স্পিডবোট মালিক ভজন দাস, নাসির উদ্দিন, কাজীরহাট ঘাটের স্পিডবোট মালিক রইচ উদ্দিন, ফেরদৌস কবির, সমেজ হোসেন। এ ছাড়া দুই পাড়ের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা।
বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর এই নৌরুটের দুই পাড়ের বোট মালিকেরা লাপাত্তা হয়ে যান। তাঁদের অনুপস্থিতির কারণে টানা চার মাস স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়েন দুই পাড়ের সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে বিআইডব্লিউটিএ উদ্যোগ নিয়েছে। লাপাত্তা হয়ে যাওয়া স্পিডবোট মালিকদের রুট পারমিট বাতিল করা হয়। নতুন করে স্পিডবোট মালিকদের কাছ থেকে রুট পারমিটের জন্য আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আগ্রহীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে প্রথম অবস্থায় কাজীরহাট ঘাটের ৪৩টি ও আরিচা ঘাটের ১১টি স্পিডবোট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। আরও ৫০টি স্পিডবোটের রুট পারমিটের আবেদন রয়েছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে দাপ্তরিক ও আইনি বাধা দূর করে বাকি স্পিডবোট চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বলে জানান আরিফ উদ্দিন। তিনি বলেন, তখন পুরোদমে চলাচল শুরু হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অতিরিক্ত যাত্রী বহনসহ বিভিন্ন বিধিবিধান মেনে স্পিডবোট পরিচালনা করার জন্য মালিক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান পরিচালক আরিফ উদ্দিন।
যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ২০১৬ সালে এই নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরির পাশাপাশি স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়। কাজিরহাট থেকে আরিচা নৌরুটের দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার। এই রুটে ৪টি ফেরি ও ৯টি লঞ্চ চলাচল করে। তবে সময় কম লাগায় রাজধানীতে যাতায়াতের জন্য স্পিডবোটই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই রুটের যাত্রীদের কাছে। প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মানুষ এই রুটে স্পিডবোটে চলাচল করে। ঈদের সময় প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার যাত্রী এই রুটে স্পিডবোটে পারাপার হয়। বিগত সরকারের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাঁদের লোকজনের মাধ্যমে স্পিডবোটগুলো পরিচালনা করতেন। কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যায় আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাঁদের লোকজন। ফলে সেই দিন থেকে বন্ধ হয়ে যায় স্পিডবোট চলাচল।
এমন পরিস্থিতিতে লঞ্চ ও ফেরিতে চলাচল করছিলেন যাত্রীরা। তবে সময় বেশি লাগায় অস্বস্তিতে পড়েছিলেন তাঁরা। যাত্রীরা দাবি জানিয়েছিলেন দ্রুত স্পিডবোট চালু করার।
কাজিরহাট থেকে আরিচা অভিমুখে যাওয়া যাত্রী আনোয়ার পাশা বলেন, ‘ঢাকায় চাকরি করি। মাসে এক-দুবার বাড়িতে আসতে হয়, নদীতে স্পিডবোটেই যাতায়াত করি। এ কারণ সময় কম লাগে। প্রায় চার মাস স্পিডবোট বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলাম। আজকে লঞ্চে পার হওয়ার জন্য এসে জানতে পারি স্পিডবোট চালু হচ্ছে। শুনে খুশি লাগছে অল্প সময়ে ঢাকা-পাবনা যাতায়াত করতে পারব।’
আরেক যাত্রী আল আমিন জানান, কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে দূরত্ব কম। দ্রুত ঢাকায় যাওয়া-আসা যায়। আর স্পিডবোটে ২০-২৫ মিনিট সময় লাগে। অথচ ফেরি বা লঞ্চে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। এই দুর্ভোগ লাঘবে স্পিডবোট সুবিধা হয়।’
কাজিরহাট ঘাটের স্পিডবোট ব্যবসায়ী ফেরদৌস হোসেন ও আব্দুল বাতেন বলেন, বিগত সরকারের সময় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ নেতারা অবৈধভাবে স্পিডবোট ঘাট পরিচালনা করেছেন। যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি নিয়েছেন। এই রুটে যেখানে ২০ থেকে ২৫টি স্পিডবোট চালানো যথেষ্ট। সেখানে তাঁরা ৮০টি স্পিডবোট চালাতেন। বড় একটা স্পিডবোটে ১৬ জন ধারণক্ষমতা, সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তাঁরা বেশি টাকার আশায় ২১ জন নিতেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে জনবান্ধব স্পিডবোট চালু করে যাত্রীদের ভালো সার্ভিস দিতে চাই।
বিআইডাব্লিউটিএয়ের নগরবাড়ী-কাজিরহাট-নরাদহ নদীবন্দরের পোর্ট অফিসার মো. আব্দুল ওয়াকিল বলেন, আমরা স্পিডবোট মালিক সমিতির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। কিন্তু তাঁরা লাপাত্তা হওয়ায় চালু করা যায়নি। অবশেষে অফিশিয়াল সিস্টেম সম্পন্ন করে নতুনভাবে অনুমোদন সাপেক্ষে স্পিডবোট সার্ভিস চালু করা হলো। আগের সময়ের সব স্পিডবোটের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাবেক ও বর্তমান মিলে ৯৫২ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে। সারা দেশে হারুনের...
৩০ মিনিট আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়ার ভাই আওয়ামী লীগের নেতা বিদ্যুৎ বড়ুয়া থাকতেন চট্টগ্রাম নগরের খুলশী আবাসিক এলাকার ১ নম্বর রোডের সাইফভ্যালি ভবনের একটি ফ্ল্যাটে। সরকার পতনের পর আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেরাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সংস্কারকাজে অনিয়ম নিয়ে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নগর ভবনের প্রকৌশল শাখায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনের নেতৃত্বে অভিযানে ছিলেন অন্য সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ সিদ্দিক এবং
৮ ঘণ্টা আগেসদস্যদের ভোটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা শিবিরের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সেক্রেটারি এসএম ফরহাদ। পরে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শাখা সেক্রেটারি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনয়নের জন্য সদস্যদের থেকে লিখিত পরামর্শ গ্রহণ করেন। সেই পরামর্শের ভিত্তিতে মহিউদ্দিন খানকে
৯ ঘণ্টা আগে