Ajker Patrika

রাজশাহীর কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে তথ্যগোপনের অভিযোগ, ‘সময় শেষ হওয়ায়’ খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৫ জুন ২০২৩, ১৯: ৩৪
রাজশাহীর কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে তথ্যগোপনের অভিযোগ, ‘সময় শেষ হওয়ায়’ খারিজ

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে হলফনামায় দুটি মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। তবে নির্ধারিত সময়ের পর অভিযোগ জমা পড়ায় তা গ্রহণ করেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এই প্রার্থীর নাম মাহাতাব হোসেন চৌধুরী। তিনি নগরীর ২৩ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলরও তিনি। মাহাতাব হোসেন চৌধুরী রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো এই সংগঠনসংক্রান্ত।

মাহাতাবের হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, তিনি হলফনামায় মোট চারটি মামলার তথ্য দিয়েছেন। এরমধ্যে শ্রম আইন-২০০৬ এর ২১৩ ধারায় রাজশাহী শ্রম আদালতে বিচারাধীন তিনটি মামলার তথ্য রয়েছে। এছাড়া মারামারির আরেকটি মামলায় ২০১৮ সালে তিনি খালাস পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।

নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, এছাড়াও মাহতাবের বিরুদ্ধে আরো দুটি মামলা আছে, যেগুলোর তথ্য তিনি গোপন করেছেন। তবে মাহাতাব বলছেন, এই দুই মামলা আগেই আদালতে খারিজ গেছে।

এর মধ্যে একটি মামলা করেছিলেন জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম। মামলার আরজিতে তিনি বলেছেন, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মাহাতাব হোসেন চৌধুরী প্রথম মেয়াদে যখন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তখন সংগঠনের মোট ১ কোটি ৮১ লাখ ৭ হাজার ৪৬৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

অন্য আরেকটি মামলার বাদী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মিজানুর রহমান মেরাজ। তিনি সংগঠনের প্রাপ্য টাকা সদস্যদের না দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ করেছেন মাহাতাবের বিরুদ্ধে। গত ১ জুন মিজানুর রহমান মেরাজ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ডাকযোগে অভিযোগের কপি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জহুরুল ইসলাম জনি নামের আরেক ব্যক্তি মাহাতাবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারীরা মাহাতাব হোসেন চৌধুরীর প্রার্থীতা বাতিলের জন্য আবেদন করেছেন।

মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগ অস্বীকার করে মাহাতাব হোসেন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টাকা আত্মসাতের যে মামলার কথা বলা হচ্ছে, সেটি আদালতে খারিজ হয়ে গেছে। তাই এটি হলফনামায় দেওয়ার দরকার নেই। শ্রম আদালতে অন্য যে তিনটি মামলা চলছে, সেগুলোর তথ্য হলফনামায় দেওয়া হয়েছে।’

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সংক্ষুব্ধ পক্ষ বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু অভিযোগ করার সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরে অভিযোগটি এসেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘এখন এটি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কিছু নেই। বিষয়টি নিয়ে সংক্ষুব্ধ পক্ষ উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। আদালতই তাহলে সিদ্ধান্ত দেবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত