টাকা দিয়েও চাকরি না পাওয়ার অভিযোগ, রামেকের সামনে মানববন্ধনে পুলিশের বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৩, ০০: ১০

টাকা দিয়েও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে চাকরি না পাওয়ার অভিযোগে কয়েকজন নারী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার হাসপাতালের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। একপর্যায়ে হাসপাতালের দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা এই নারীদের বাধা দেন। তাঁদের মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নিয়ে যায় পুলিশ। 

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারীরা আগেও চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে হাসপাতালেই কর্মরত ছিলেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাঁরা। আগের ঠিকাদারের মেয়াদ শেষে অন্যজন কাজ পেলে এই নারীরা বাদ পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, চাকরির জন্য তাঁরা হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল আলীকে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু রাসেল তাঁদের চাকরি দিতে পারেননি। এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। তবে ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল টাকা নেওয়ার বিষয় অস্বীকার করেন। 

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে লাকি, ডেইজি ও সালেহাসহ কয়েকজন নারী অভিযোগ করেন, হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল ১০ থেকে ১৫ জনের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন। একেকজন এক থেকে দুই লাখ টাকা করে দিয়েছেন। কিন্তু বছর গড়ালেও রাসেল তাঁদের চাকরি দিতে পারেননি। এমনকি যাঁরা চাকরিতে ছিলেন, রাসেল তাঁদের মধ্যে অনেককে বাদ দিয়ে পুনরায় টাকা নিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দিয়েছেন। বিষয়টি হাসপাতালের সাবেক পরিচালককে অবহিত করা হলেও তিনি রাসেলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। 

রামেকের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারীদের কাছ থেকে ব্যানার কেড়ে নেয় পুলিশমানববন্ধন চলাকালে প্রথমে এই নারীরা পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মানববন্ধনের অনুমতি নেই। তা ছাড়া সিটি নির্বাচনের আগে কোনো ধরনের মানববন্ধন করা যাবে না। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ ব্যানার নিয়ে চলে যায়। এ নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কেউ বক্তব্য দিতে চাননি। 

অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারা মানববন্ধন করেছেন তা আমি জানি না। চাকরির জন্য আমি কারও কাছ থেকে কোনো টাকাও নিইনি। এসব বিষয়ের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। টাকা নিয়ে থাকলে তাঁরা প্রমাণ দেখাক। প্রমাণ দেখাতে পারবে না।’ 

এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওয়ার্ড মাস্টার রাসেলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আছে। চাকরির নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ আছে। এসব অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত কমিটিরও কাজ প্রায় শেষের দিকে। দ্রুতই হয়তো আমি রিপোর্ট পাব। এতে যদি দেখি রাসেল দোষী, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত