দুর্গাপুরে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙিয়ে দোকানঘর দখলের অভিযোগ

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২২, ২১: ২৩

দুর্গাপুরে উপজেলার পালশা নতুনহাটে আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তির সবজির দোকানঘর দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। দখলের পর স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রতিপক্ষের লোকজন ওই দোকানঘরের ভেতরে ও বাইরে টাঙিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রাসেলের ছবি।

দোকানঘর দখল নিয়ে পালশা নতুনহাটে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার দুপুরে ভুক্তভোগী সবজি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আজ রোববার থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পালশা নতুনহাটের একটি পাকাঘর ১০০ বছরের চুক্তিনামায় লিজ নেন ব্যবসায়ী আলমগীর। গত ৮ বছর ধরে ওই ঘরে সবজি ব্যবসা চালিয়ে আসছেন তিনি। তাঁর পাশে আরেক দোকানে ইলেকট্রনিকস সরঞ্জামের ব্যবসা করেন তাঁর ফুপাতো ভাই নাজমুল। আত্মীয়তার সম্পর্কে নাজমুলের দোকানের কিছু মালামাল আলমগীরের দোকানে রাখতেন। এতে তিনি কিছু টাকা মাসিক ভাড়াও আলমগীরকে দিতেন। হঠাৎ আলমগীরের সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্ব বাধে নাজমুলের। এর সুযোগ নেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল হক। তিনি নাজমুলকে সঙ্গে আলমগীরে সবজি দোকানঘর দখলে নিয়ে এর ভেতরে ও বাইরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি টাঙিয়ে দেন এবং একে আওয়ামী লীগের অফিস ঘোষণা করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।

পালশা নতুনহাট কমিটির সভাপতি হিরক আলী বলেন, হাট থেকে দোকানঘরটি আলমগীরের নামে লিজ দেওয়া আছে। আলমগীরের বাবা সপ্তাহে দুদিন বসেন ওই দোকানের বারান্দায়। আর তাঁর ফুপাতো ভাই নাজমুলকে মাসে ৩০০ টাকা হিসাবে ঘর ভাড়া দিয়েছেন আলমগীর। হঠাৎ নাজমুল দাবি করেন, তাঁর কাছ থেকে আলমগীর দেড় লাখ টাকা সিকিউরিটি মানি নিয়েছেন। কিন্তু এ দাবির পক্ষে কোনো চুক্তিনামা দেখাতে পারেননি তিনি। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য এর সঙ্গে যোগ দেন। গত বৃহস্পতিবার ওই ঘরে তালা মারেন তাঁরা। ঘরটি দখলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙিয়ে দেন ইউপি সদস্য রুবেল হক। এ নিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বসেও কোনো সমাধান হয়নি। 

জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আমার বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযোগ দিয়েছিল। পুলিশ এসেছিল, চলেও গেল।’ এর বাইরে রুবেল হক আর কিছু বলতে রাজি হননি। 

এদিকে নতুনহাটের ব্যবসায়ী নাজমুল বলেন, ‘দোকানঘরের সিকিউরিটি বাবদ আলমগীর আমার থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এ টাকার লিখিত কোনো প্রমাণ নাই। টাকা না দিলে আমি ওই দোকান থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামাব না।’ 

এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাশমত আলী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। ওখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না। পালশা নতুনহাট কমিটি ও স্থানীয়দের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত