ইমাম হাসান মুক্তি, লালপুর (নাটোর)
বীরাঙ্গনা (রণাঙ্গনের বীর নারী) হলো বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদান রাখা নারীদের জন্য একটি খেতাব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদানের জন্য নারীদের ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধি দেন। কিন্তু ৫০ বছরে সেই স্বীকৃতি পাননি অনেক বীরাঙ্গনা নারী।
তেমনি একজন বীর নারী রোকেয়া বেগম রাকিয়া (৬৭)। তিনি নাটোরের লালপুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ইটভাটার শ্রমিক। পিতা হায়াত মালিথা ও মা মরিয়ম নেছা, বড় ভাই হাবিবুর রহমান, ছোট বোন সাকিয়া ও ছোট ভাই আজহার আলী।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন রামকৃষ্ণপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটায় রোকেয়া বেগম পুরুষদের সঙ্গে মাটি টানার কাজ করছেন। বয়সের কারণে কাজ করতে কষ্ট হলেও পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে এমএইএ ইটভাটার মালিক মো. হাসেম আলী বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে রোকেয়া ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন।
রোকেয়ার পরিবারের সদস্যরা বলেন, '১৯৭১ সালের ২০ জুলাই। পাকিস্তান সেনাবাহিনী নাটোরের লালপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রাম রামকৃষ্ণপুরে অতর্কিত ঢুকে পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। এ ছাড়া তারা বাড়িঘর লুটপাট ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়। অস্ত্রের মুখে মা-বোনদের নির্যাতনে মেতে ওঠে। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় রোকেয়ার বয়স ছিল ১৭ বছর। বছরের পর বছর ধরে রোকেয়া বাবা-মা, ভাই-বোনের সামনেই সম্ভ্রম হারানোর মানসিক কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন।'
রোকেয়ার ভাই আজহার আলী বলেন, 'বাবা-মা অনেক অনুনয়-বিনয় করলেও কোনো লাভ হয়নি। তাঁদের সামনেই বোনকে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে মা ও বাবা দুজনই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ ঘটনার কয়েক দিন পর পরিবারের সবাই বন্যার পানিতে সাঁতরে বাথান বাড়ি ও রগমারি হয়ে ভারতের জলঙ্গিতে চলে যায়। সেখানে কলিমপুর শরণার্থীশিবিরে পাঁচ মাস থাকার পর দেশে ফিরে আসি। এরপর স্বাধীনতার দেড় বছরের মাথায় নিমতলীর ছইর মোল্লার ছেলে ছোয়াহার সঙ্গে রাকিয়ার বিয়ে হয়। কিন্তু যুদ্ধকালীন ঘটনা জানার পর স্বামী তাঁকে তালাক দেন। এরপর বুধপাড়া গ্রামের আজিজ শেখের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এই স্বামী মারা গেলে গোপালপুর (মাধবপুর) গ্রামে দিনমজুর সন্তানের বাড়িতে আশ্রিত হয়ে ইটভাটায় কাজ করে জীবন যাপন করছেন।'
আজহার আলী আরও বলেন, '১৯৭১ সালের ৫ মে লালপুর-গোপালপুর সড়কের শিমুলতলা নামক স্থানে রোকেয়ার বড় ভাই টমটমচালক (ঘোড়ার গাড়ি) হাবিবুর রহমানসহ গাড়িতে থাকা ছয়জন যাত্রীকে পাকিস্তানি বাহিনী গুলি করে হত্যা করে।'
রোকেয়া বেগম রাকিয়া বলেন, 'বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছি কয়েকবার। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। স্বীকৃতি পেলে সব কষ্ট ভুলে থাকব।'
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আবদুল মোত্তালিব বলেন, 'বীরাঙ্গনা রোকেয়া বেগম রাকিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, 'বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির জন্য রোকেয়া বেগম রাকিয়ার আবেদন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।'
বীরাঙ্গনা (রণাঙ্গনের বীর নারী) হলো বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদান রাখা নারীদের জন্য একটি খেতাব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদানের জন্য নারীদের ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধি দেন। কিন্তু ৫০ বছরে সেই স্বীকৃতি পাননি অনেক বীরাঙ্গনা নারী।
তেমনি একজন বীর নারী রোকেয়া বেগম রাকিয়া (৬৭)। তিনি নাটোরের লালপুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ইটভাটার শ্রমিক। পিতা হায়াত মালিথা ও মা মরিয়ম নেছা, বড় ভাই হাবিবুর রহমান, ছোট বোন সাকিয়া ও ছোট ভাই আজহার আলী।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন রামকৃষ্ণপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটায় রোকেয়া বেগম পুরুষদের সঙ্গে মাটি টানার কাজ করছেন। বয়সের কারণে কাজ করতে কষ্ট হলেও পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে এমএইএ ইটভাটার মালিক মো. হাসেম আলী বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে রোকেয়া ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন।
রোকেয়ার পরিবারের সদস্যরা বলেন, '১৯৭১ সালের ২০ জুলাই। পাকিস্তান সেনাবাহিনী নাটোরের লালপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রাম রামকৃষ্ণপুরে অতর্কিত ঢুকে পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। এ ছাড়া তারা বাড়িঘর লুটপাট ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়। অস্ত্রের মুখে মা-বোনদের নির্যাতনে মেতে ওঠে। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় রোকেয়ার বয়স ছিল ১৭ বছর। বছরের পর বছর ধরে রোকেয়া বাবা-মা, ভাই-বোনের সামনেই সম্ভ্রম হারানোর মানসিক কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন।'
রোকেয়ার ভাই আজহার আলী বলেন, 'বাবা-মা অনেক অনুনয়-বিনয় করলেও কোনো লাভ হয়নি। তাঁদের সামনেই বোনকে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে মা ও বাবা দুজনই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ ঘটনার কয়েক দিন পর পরিবারের সবাই বন্যার পানিতে সাঁতরে বাথান বাড়ি ও রগমারি হয়ে ভারতের জলঙ্গিতে চলে যায়। সেখানে কলিমপুর শরণার্থীশিবিরে পাঁচ মাস থাকার পর দেশে ফিরে আসি। এরপর স্বাধীনতার দেড় বছরের মাথায় নিমতলীর ছইর মোল্লার ছেলে ছোয়াহার সঙ্গে রাকিয়ার বিয়ে হয়। কিন্তু যুদ্ধকালীন ঘটনা জানার পর স্বামী তাঁকে তালাক দেন। এরপর বুধপাড়া গ্রামের আজিজ শেখের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এই স্বামী মারা গেলে গোপালপুর (মাধবপুর) গ্রামে দিনমজুর সন্তানের বাড়িতে আশ্রিত হয়ে ইটভাটায় কাজ করে জীবন যাপন করছেন।'
আজহার আলী আরও বলেন, '১৯৭১ সালের ৫ মে লালপুর-গোপালপুর সড়কের শিমুলতলা নামক স্থানে রোকেয়ার বড় ভাই টমটমচালক (ঘোড়ার গাড়ি) হাবিবুর রহমানসহ গাড়িতে থাকা ছয়জন যাত্রীকে পাকিস্তানি বাহিনী গুলি করে হত্যা করে।'
রোকেয়া বেগম রাকিয়া বলেন, 'বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছি কয়েকবার। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। স্বীকৃতি পেলে সব কষ্ট ভুলে থাকব।'
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আবদুল মোত্তালিব বলেন, 'বীরাঙ্গনা রোকেয়া বেগম রাকিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, 'বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির জন্য রোকেয়া বেগম রাকিয়ার আবেদন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।'
নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের অ্যারোসল কারখানায় বিস্ফোরণে ১০ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর ছয়দানা এলাকায় একটি সোয়েটার কারখানা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। আজ রোববার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকেরা। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন মানুষ।
৩১ মিনিট আগেরাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফের সড়ক অবরোধ করেছে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকেরা। এতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধসহ তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ রোববার সকালে রাজধানী প্রেসক্লাবের সামনে তোপখানা ও পল্টন সড়ক, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, খিলগাঁও এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত
৩৫ মিনিট আগেরাজধানীর মিরপুরে একটি টিনশেড বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে...
১ ঘণ্টা আগে