রেলকে স্মার্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই: রেলমন্ত্রী

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫: ২২
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫: ৪১

রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি লোক নিয়োগ করে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে রেলকে আধুনিকায়ন ও রেলপথ মন্ত্রণালয়কে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার। চেষ্টা চলছে রেলের সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন ও জনগণের কাছে সবচেয়ে সস্তা পরিবহন হিসেবে গড়ে তোলার।’ 

আজ রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী শহরের ফতেমোহাম্মদপুরে ৯৫ বছর আগে নির্মিত ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে ডিজেল লোকোমোটিভ রানিং শেড’ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। 

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক রেল মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা রেলকে সুন্দর ও সেবামুখী স্মার্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলে রেলের অনেক লোককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করে জনবলের সংকট সৃষ্টি করা হয়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি লোক নিয়োগ করে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে রেলকে আধুনিকায়ন এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়কে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে।’ 

বক্তব্যের একপর্যায়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিক মানুষ। আমি কালকে পার্বতীপুর, সৈয়দপুরে যে কথাগুলো বলেছি, তা সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। আপনারা তো সমাজের বিবেক। কথাগুলো যদি পজিটিভ ওয়েতে উপস্থাপন না করা হয়, সে ক্ষেত্রে কিন্তু আমি মনে করব যে আপনারা সহযোগিতা করছেন না। কিন্তু আমরা চাই আপনাদের সহযোগিতা। কারণ আপনারাও বাংলাদেশের নাগরিক, আমরাও বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা সবাই দেশের উন্নয়ন চাই। সে ক্ষেত্রে নেগেটিভ নিউজ করে উন্নয়ন আশা করা যায় না।’ 

মন্ত্রীর পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন—রেলসচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল হাসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক পার্থ সরকার, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট আশাবুল ইসলাম, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী মমতাজুল ইসলাম, ঈশ্বরদী ডিজেল লোকোমোটিভ রানিং শেডের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী (ইনচার্জ) মো. শাকের জামাল, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। 

এর আগে মন্ত্রী শনিবার রাতে ট্রেনযোগে নাটোরের আব্দুলপুর জংশন স্টেশনে নামেন। সেখান থেকে তিনি ঈশ্বরদীর পাকশীতে এসে রাত যাপন করেন। 

উল্লেখ্য, ঈশ্বরদী শহরের ফতেমোহাম্মদপুরে অবস্থিত এই স্থাপনা ব্রডগেজ রেলপথের ক্ষেত্রে দেশের সবচেয়ে বড় ডিজেল লোকোমোটিভ রানিংশেড। ১৯২৯ সালে বাষ্পীয় ইঞ্জিনের লোকশেড হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। তখন এখানে বাষ্পীয় ইঞ্জিন মেরামত হতো। ষাট ও সত্তরের দশকে যুক্ত হয় ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন)। পর্যায়ক্রমে এটি ডিজেল লোকোমোটিভ রানিং শেডে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে এখান থেকে ১২৭টি ইঞ্জিন বিভিন্ন ব্রডগেজ রেলপথে যাত্রী ও মালবাহী বগি নিয়ে চলাচল করেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত