রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া)
বগুড়ার শেরপুরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দলিল লেখক সমিতির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জমির দলিল করার সময় নানা অজুহাতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। এ ছাড়া ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমেও করা হচ্ছে দলিল নিবন্ধন।
সাবরেজিস্ট্রি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জমি বিক্রির ক্ষেত্রে পৌর শহরে ১ লাখ টাকা মূল্যের দলিল নিবন্ধনের জন্য মোট সরকারি খরচ ১০ হাজার ৫১০ টাকা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৮ হাজার ৫১০ টাকা। কিন্তু সাবরেজিস্ট্রি অফিস ও দলিল লেখক সমিতির কারসাজিতে ১২-১৩ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। দলিল নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক থাকলেই এ অবস্থা হয়। আর কোনো কিছুর ঘাটতি থাকলে তো দিতে হয় আরও টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দলিল লেখক জানান, তাঁদের সমিতির মোট সদস্য ১৯৬ জন। আর নেতা ৩২ জন। দলিল লেখে প্রথমে সমিতির ঘরে নিতে হয়। সেখানে দলিলের মূল্যের প্রতি লাখে ১ হাজার টাকা জমা দিলে পাওয়া যায় যেকোনো একজন নেতার স্বাক্ষর। এরপর সেটি সাবরেজিস্ট্রারের কাছে নিয়ে যেতে হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে ওই দলিল লেখকের সমিতির সদস্যপদ বাতিল করা হয়। দলিল লেখার পর সাবরেজিস্ট্রারের অফিসে নিতে ঘাটে ঘাটে টাকা দিতে হয়। সমিতির নেওয়া টাকা প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন হারে সদস্যদের মধ্যে বণ্টন করা হয়।
দলিলের নকল উত্তোলনের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন পৌর শহরের উত্তর সাহাপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বনাথ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘গত ৫ মার্চ আমি দুটি দলিলের নকল উত্তোলন করেছি। এর জন্য আমার কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।’
পৌর শহরের বাসিন্দা নাজনীন পারভীন পলি বলেন, ‘গত ৪ মার্চ আমি ২ শতাংশ জায়গা বিক্রি করতে গেলে দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সমিতির জন্য ১ লাখ ও অফিসের কর্মচারী জাহিদুল ইসলাম সাবরেজিস্ট্রারের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি টাকা দিতে রাজি হইনি। তাই এখনো জমির দলিল নিবন্ধন করতে পারি নাই। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি ও সংবাদ সম্মেলন করেছি। কিন্তু এখনো প্রতিকার পাইনি।’
তবে জামালের দাবি, জমিটি নিয়ে মামলা চলছে। এ জন্য দলিল করা যায়নি। তিনি কোনো টাকা দাবি করেননি। আর সমিতির সভাপতি এস এম ফেরদৌস ক্রেতা ও বিক্রেতাদের হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, দলিল লেখার পর তাঁরা যে পারিশ্রমিক পান, সেই টাকা সমিতির কার্যালয়ে জমা করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে অফিসের কর্মচারী জাহিদুলও টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জাল রসিদের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধনের তথ্যও পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, শেরপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি দলিল নিবন্ধন করা হয়, যার নম্বর ১৩০২। দলিলের তথ্য অনুযায়ী, ঘোড়দৌড় মৌজার ওই জমির খতিয়ান নম্বর ৪১৩। এ ক্ষেত্রে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের যে রসিদটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা জাল বলে নিশ্চিত করেছেন খামারকান্দি ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা শামীমুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সার্ভারের তথ্য অনুযায়ী ওই খতিয়ানের ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা হয়নি। তা ছাড়া কর পরিশোধের কিউআর কোড স্ক্যান করেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই নিশ্চিত করে বলা যায়, রসিদটি জাল।’
এসব অনিয়মের বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। কথা বলার জন্য তাঁর অফিসে একাধিক দিন যাওয়া হলেও সময়স্বল্পতার অজুহাতে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
যোগাযোগ করা হলে বগুড়া জেলা রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কাছে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। তাই বিশেষ কিছু বলতে পারব না। তবে অফিস চত্বরে দলিল লেখক সমিতির ঘরের অনুমোদন নেই। স্থানীয় প্রশাসন চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।’
বগুড়ার শেরপুরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দলিল লেখক সমিতির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জমির দলিল করার সময় নানা অজুহাতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। এ ছাড়া ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমেও করা হচ্ছে দলিল নিবন্ধন।
সাবরেজিস্ট্রি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জমি বিক্রির ক্ষেত্রে পৌর শহরে ১ লাখ টাকা মূল্যের দলিল নিবন্ধনের জন্য মোট সরকারি খরচ ১০ হাজার ৫১০ টাকা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৮ হাজার ৫১০ টাকা। কিন্তু সাবরেজিস্ট্রি অফিস ও দলিল লেখক সমিতির কারসাজিতে ১২-১৩ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। দলিল নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক থাকলেই এ অবস্থা হয়। আর কোনো কিছুর ঘাটতি থাকলে তো দিতে হয় আরও টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দলিল লেখক জানান, তাঁদের সমিতির মোট সদস্য ১৯৬ জন। আর নেতা ৩২ জন। দলিল লেখে প্রথমে সমিতির ঘরে নিতে হয়। সেখানে দলিলের মূল্যের প্রতি লাখে ১ হাজার টাকা জমা দিলে পাওয়া যায় যেকোনো একজন নেতার স্বাক্ষর। এরপর সেটি সাবরেজিস্ট্রারের কাছে নিয়ে যেতে হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে ওই দলিল লেখকের সমিতির সদস্যপদ বাতিল করা হয়। দলিল লেখার পর সাবরেজিস্ট্রারের অফিসে নিতে ঘাটে ঘাটে টাকা দিতে হয়। সমিতির নেওয়া টাকা প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন হারে সদস্যদের মধ্যে বণ্টন করা হয়।
দলিলের নকল উত্তোলনের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন পৌর শহরের উত্তর সাহাপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বনাথ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘গত ৫ মার্চ আমি দুটি দলিলের নকল উত্তোলন করেছি। এর জন্য আমার কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।’
পৌর শহরের বাসিন্দা নাজনীন পারভীন পলি বলেন, ‘গত ৪ মার্চ আমি ২ শতাংশ জায়গা বিক্রি করতে গেলে দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সমিতির জন্য ১ লাখ ও অফিসের কর্মচারী জাহিদুল ইসলাম সাবরেজিস্ট্রারের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি টাকা দিতে রাজি হইনি। তাই এখনো জমির দলিল নিবন্ধন করতে পারি নাই। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি ও সংবাদ সম্মেলন করেছি। কিন্তু এখনো প্রতিকার পাইনি।’
তবে জামালের দাবি, জমিটি নিয়ে মামলা চলছে। এ জন্য দলিল করা যায়নি। তিনি কোনো টাকা দাবি করেননি। আর সমিতির সভাপতি এস এম ফেরদৌস ক্রেতা ও বিক্রেতাদের হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, দলিল লেখার পর তাঁরা যে পারিশ্রমিক পান, সেই টাকা সমিতির কার্যালয়ে জমা করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে অফিসের কর্মচারী জাহিদুলও টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জাল রসিদের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধনের তথ্যও পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, শেরপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি দলিল নিবন্ধন করা হয়, যার নম্বর ১৩০২। দলিলের তথ্য অনুযায়ী, ঘোড়দৌড় মৌজার ওই জমির খতিয়ান নম্বর ৪১৩। এ ক্ষেত্রে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের যে রসিদটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা জাল বলে নিশ্চিত করেছেন খামারকান্দি ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা শামীমুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সার্ভারের তথ্য অনুযায়ী ওই খতিয়ানের ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা হয়নি। তা ছাড়া কর পরিশোধের কিউআর কোড স্ক্যান করেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই নিশ্চিত করে বলা যায়, রসিদটি জাল।’
এসব অনিয়মের বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। কথা বলার জন্য তাঁর অফিসে একাধিক দিন যাওয়া হলেও সময়স্বল্পতার অজুহাতে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
যোগাযোগ করা হলে বগুড়া জেলা রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কাছে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। তাই বিশেষ কিছু বলতে পারব না। তবে অফিস চত্বরে দলিল লেখক সমিতির ঘরের অনুমোদন নেই। স্থানীয় প্রশাসন চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১৮ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
৪৩ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
১ ঘণ্টা আগে