পদ্মায় গোসলে নেমে নিখোঁজ ঝিলিকের সন্ধান ৫ দিনেও মেলেনি

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫: ৫১
Thumbnail image

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া শিশু ঝিলিক খাতুনের (১০) সন্ধান পাঁচ দিনেও মেলেনি। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা পর্যন্ত তার খোঁজ পায়নি পরিবার। গত ১৪ এপ্রিল ঝিলিক ও তার খালাতো বোন জান্নাতি খাতুন (৯) গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়। 

রাজশাহী সদরের ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবু সামা বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়ার দিন সাত ঘণ্টা অভিযান চালানো হয়। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় ওই দিন নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ২৩ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ঝিলিকের খালাতো বোন জান্নাতির লাশ ভেসে ওঠে। পরে ঝিলিকের পরিবারের অনুমতি নিয়ে অভিযান বন্ধ করা হয়।’ 

এ দিকে ঝিলিকর সন্ধান পেতে পদ্মা নদীর পূর্বদিকে নৌকা নিয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার গোলাপনগর এলাকা পর্যন্ত প্রতিদিন খুঁজছেন পরিবারের লোকজন ও স্বজনেরা। তাঁর মা বিউটি বেগম পদ্মা নদীর ধারে গিয়ে মেয়েকে পাওয়ার জন্য আহাজারি করছেন। ঝিলিক চুয়াডাঙ্গার জয়দেবপুরের পাটঘাট গ্রামের মনির উদ্দিনের মেয়ে। 

স্থানীয় লোকজন জানান, বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়ার মানিকের চরে আবদুল মান্নানের মেয়ে হালিমা খাতুনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তারা ঈদের পরদিন সেখানে আসে। গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পদ্মা নদীর স্থানীয় মসজিদের ঘাটে গোসলে নেমে ঝিলিক ও জান্নাতি নিখোঁজ হয়। 

এদিকে নিখোঁজের ২৩ ঘণ্টা পর গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে চকরাজপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে জান্নাতি খাতুনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। সে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাংলাবাজার চর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মণ্ডলের মেয়ে। তাকে ওই দিন বিকেলে নিজের এলাকায় দাফন করা হয়। 

চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘জান্নাতি খাতুনের মরদেহ পদ্মা নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু নিখোঁজের পাঁচ দিন হলেও ঝিলিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন চিন্তায় আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত