নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) রাজশাহী সার্কেল কার্যালয়ে সেবাপ্রত্যাশীদের হয়রানি চরমে পৌঁছেছে। এখানে কর্মকর্তাদের ঘুষ না দিলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ পেয়ে এই কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
অভিযানে বিআরটিএ কার্যালয় থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত কিছু নথিপত্র জব্দ করা হয়। এছাড়া দুদক কর্মকর্তারা বিআরটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলেন।
আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসাইন।
ভুক্তভোগীরা দুদক কর্মকর্তাদের জানান, বিআরটিএর দুজন কর্মচারীই অফিসের হর্তাকর্তা। তাদের ঘুষ দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে হয়। ঘুষ না দিলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হয়। তখন আবার ঘুষ দিয়ে নতুন করে আবেদন করতে হয়। বিআরটিএ অফিস ঘিরে গড়ে ওঠা ফটোকপির দোকানগুলো থেকেও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করে দেওয়া হয় টাকার বিনিময়ে। বিআরটিএ অফিসের অসাধু কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে আবেদন করলে হয়রানির শেষ থাকে না।
দুদকের অভিযান চলাকালে কথা হয় রাজশাহীর বাগমারা থেকে আসা পিকআপ চালক নাদিম হোসেনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা থেকে করা হয়েছিল। এখন বছর বছর রুট পারমিট নিতে এলে তাকে রাজশাহী বিআরটিএ অফিসে পাঁচ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হয়।’
শহরের নগরপাড়া এলাকার ট্রাকচালক মো. বাবু বলেন, ‘একবছর আগে তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে দিয়েছেন। এখনো পর্যন্ত লাইসেন্স হাতে পাননি। এর ফলে তিনি রাস্তায় গাড়ি চালাতে সমস্যায় পড়েছেন।’ তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স দেওয়ার দাবি জানান।
দুই-তিন বছর আগেও ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষায় পাস করেও এখনো লাইসেন্স না পাওয়া কয়েকজন দুদক কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেন। তারা অভিযোগ করেন, কয়েকমাস পর পর বিআরটিএ কার্যালয়ে এসে তারা কাগজের ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়ে যান। কিন্তু স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড পান না। দুদক কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বিআরটিএ কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান। কর্মকর্তারা বলেন, ‘আগের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি এসব লাইসেন্স করার দায়িত্বে ছিল। তারা পরে আর কাজ পায়নি। তাই এসব লাইসেন্স তারা সরবরাহ করেনি। আবার এসব লাইসেন্সপ্রত্যাশীদের কাগজপত্রও তাদের কাছে নেই। তাই তাদের এখনো লাইসেন্স সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
অভিযানের বিষয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘দুদক কমিশনে অভিযোগ গেছে যে এখানে ঘুষ না দিলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হয়। কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক এই অভিযান চালানো হলো। বেশকিছু ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের নথিপত্রও জব্দ করা হয়েছে। এই লাইসেন্স প্রত্যাশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হবে তারা ঘুষ দিয়েছেন কি না। সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথম দিনের অভিযানেই তারা যে সমস্ত অভিযোগ পেয়েছেন তা দিয়ে কমিশনে প্রতিবেদন দিতে পারবেন। কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ উঠতেই পারে। এর সত্যতা খুঁজে দেখবে দুদক। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে বিআরটিএর রাজশাহী সার্কেলের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘুষ না দিলে ফেল করিয়ে দেওয়া হয় এটা সত্য নয়। কারণ, পরীক্ষা নেওয়ার সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি থাকেন। আমরা সহযোগিতা করি। যেটা হয় তা হলো প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য বের হলেই তাকে মধ্যস্বত্বভোগী কেউ ধরে ফেলে। তারা আমাদের নাম ভাঙায়। আর আমাদের অফিসেও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। আমরা বুঝতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ঢাকায় সভা ছিল। তিনি সেই সভায় যোগ দিয়েছিলেন। তাই দুদকের অভিযানের সময় অফিসে ছিলেন না। তারা কোনো অভিযোগে এসেছিলেন, কী নথি নিয়েছেন তা অফিসে যাওয়ার পরে বলা যাবে।’
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) রাজশাহী সার্কেল কার্যালয়ে সেবাপ্রত্যাশীদের হয়রানি চরমে পৌঁছেছে। এখানে কর্মকর্তাদের ঘুষ না দিলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ পেয়ে এই কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
অভিযানে বিআরটিএ কার্যালয় থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত কিছু নথিপত্র জব্দ করা হয়। এছাড়া দুদক কর্মকর্তারা বিআরটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলেন।
আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসাইন।
ভুক্তভোগীরা দুদক কর্মকর্তাদের জানান, বিআরটিএর দুজন কর্মচারীই অফিসের হর্তাকর্তা। তাদের ঘুষ দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে হয়। ঘুষ না দিলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হয়। তখন আবার ঘুষ দিয়ে নতুন করে আবেদন করতে হয়। বিআরটিএ অফিস ঘিরে গড়ে ওঠা ফটোকপির দোকানগুলো থেকেও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করে দেওয়া হয় টাকার বিনিময়ে। বিআরটিএ অফিসের অসাধু কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে আবেদন করলে হয়রানির শেষ থাকে না।
দুদকের অভিযান চলাকালে কথা হয় রাজশাহীর বাগমারা থেকে আসা পিকআপ চালক নাদিম হোসেনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা থেকে করা হয়েছিল। এখন বছর বছর রুট পারমিট নিতে এলে তাকে রাজশাহী বিআরটিএ অফিসে পাঁচ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হয়।’
শহরের নগরপাড়া এলাকার ট্রাকচালক মো. বাবু বলেন, ‘একবছর আগে তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে দিয়েছেন। এখনো পর্যন্ত লাইসেন্স হাতে পাননি। এর ফলে তিনি রাস্তায় গাড়ি চালাতে সমস্যায় পড়েছেন।’ তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স দেওয়ার দাবি জানান।
দুই-তিন বছর আগেও ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষায় পাস করেও এখনো লাইসেন্স না পাওয়া কয়েকজন দুদক কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেন। তারা অভিযোগ করেন, কয়েকমাস পর পর বিআরটিএ কার্যালয়ে এসে তারা কাগজের ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়ে যান। কিন্তু স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড পান না। দুদক কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বিআরটিএ কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান। কর্মকর্তারা বলেন, ‘আগের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি এসব লাইসেন্স করার দায়িত্বে ছিল। তারা পরে আর কাজ পায়নি। তাই এসব লাইসেন্স তারা সরবরাহ করেনি। আবার এসব লাইসেন্সপ্রত্যাশীদের কাগজপত্রও তাদের কাছে নেই। তাই তাদের এখনো লাইসেন্স সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
অভিযানের বিষয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘দুদক কমিশনে অভিযোগ গেছে যে এখানে ঘুষ না দিলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হয়। কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক এই অভিযান চালানো হলো। বেশকিছু ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের নথিপত্রও জব্দ করা হয়েছে। এই লাইসেন্স প্রত্যাশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হবে তারা ঘুষ দিয়েছেন কি না। সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথম দিনের অভিযানেই তারা যে সমস্ত অভিযোগ পেয়েছেন তা দিয়ে কমিশনে প্রতিবেদন দিতে পারবেন। কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ উঠতেই পারে। এর সত্যতা খুঁজে দেখবে দুদক। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে বিআরটিএর রাজশাহী সার্কেলের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘুষ না দিলে ফেল করিয়ে দেওয়া হয় এটা সত্য নয়। কারণ, পরীক্ষা নেওয়ার সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি থাকেন। আমরা সহযোগিতা করি। যেটা হয় তা হলো প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য বের হলেই তাকে মধ্যস্বত্বভোগী কেউ ধরে ফেলে। তারা আমাদের নাম ভাঙায়। আর আমাদের অফিসেও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। আমরা বুঝতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ঢাকায় সভা ছিল। তিনি সেই সভায় যোগ দিয়েছিলেন। তাই দুদকের অভিযানের সময় অফিসে ছিলেন না। তারা কোনো অভিযোগে এসেছিলেন, কী নথি নিয়েছেন তা অফিসে যাওয়ার পরে বলা যাবে।’
বরিশালের গৌরনদীতে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীতে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের তাঁরাকূপি আরিফ ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগেনওগাঁর নিয়ামতপুরে একটি দিঘিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারামারি ও প্রতিপক্ষের মারধরে মাছচাষীসহ চারজন আহত হয়েছেন। এক ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন।
১৭ মিনিট আগেচট্টগ্রামে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলিসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার টেকবাজার এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২৪ মিনিট আগেসিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
৪১ মিনিট আগে