নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
এবার ধর্ষণ মামলার আসামি রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী হিসেবে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সংগঠনের নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আজ বুধবার ১১ মাসেরও বেশি সময় পর জেলা ছাত্রলীগের কর্মিসভায় নতুন কমিটি ঘোষণার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে কর্মিসভাটি স্থগিত করা হয় বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত সভাপতি পদপ্রত্যাশী সোহানুর রহমান সোহাগ বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। গত বছর তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন প্রতিবেশী এক গৃহবধূ (২২)। মামলাটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী। তবে মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগের ওই নেতা।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন মোবাইলে ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন বলেন, ‘বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি কমিটিতে আসতে পারবেন না। আমাদের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা আছে। সবার সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। দু’একদিনের মধ্যে আবার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। তারপর পরিচ্ছন্নদেরই নেতৃত্বে আনা হবে।’
এর আগে ২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি করা হয়েছিল সাকিবুল ইসলাম রানাকে। ওই সময় তার একটি ফোনকল রেকর্ড ফাঁস হয়। এতে নিজেকে ‘চিটারের সর্দার’ দাবি করে ছাত্রলীগের এক নারী কর্মীকে অশালীন প্রস্তাব দিতে শোনা যায়। একই সময় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিরও ফেনসিডিল সেবনের একটি ভিডিও ফাঁস হয়।
পরে তদন্তে উভয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ ঘটনায় গত বছরের অক্টোবরে সভাপতিকে বহিষ্কার ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর জেলা ছাত্রলীগের আর কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি।
মামলার বাদী বলেন, ‘গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর বাসায় তাকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ। বিষয়টি জানাজানি হলে লোকলজ্জায় ২ অক্টোবর কীটনাশক পান করে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। এরপর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে ৪ অক্টোবর স্বামীর সঙ্গে বাঘা থানায় মামলা করতে যান। তবে পুলিশ মামলা না নিয়ে ফিরিয়ে দেয়। এ কারণে আদালতে মামলা দায়ের করেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমবার আমাকে ধর্ষণের ভিডিও করে রেখেছিল সোহাগ। এটি দেখিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেল করছিল। ভিডিও ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েক দফা ধর্ষণ করে। আসামি প্রভাবশালী বলে পুলিশ মামলা নেয়নি। আদালতে মামলা করলেও পরে এমনভাবে প্রতিবেদন দেওয়া হয়, যেন আসামি পার পেয়ে যায়। এখন আসামি চোখের সামনেই ঘোরাফেরা করছে। তার শাস্তি হচ্ছে না। এ কারণে আমার কষ্ট হয়।’
ভুক্তভোগী আরও বলেন, ‘আদালতে মামলা করলেও পুলিশ দায় সারাভাবে তদন্ত করে। এরপর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিম্ন আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়।’
বাদীর আইনজীবী মার্জিনা রায়হান মদীনা বলেন, ‘মামলাটা নিম্ন আদালতে খারিজ করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। কয়েক দিন দুই পক্ষের আইনজীবীকে নিয়ে উচ্চ আদালতে শুনানি হয়েছে। এতে মামলাটা চালু রাখার আমাদের যে আবেদন তা মঞ্জুর হয়েছে। উচ্চ আদালত বলেছেন, যে তদন্ত প্রতিবেদন নিম্ন আদালতে এসেছিল, তা দিয়েই মামলাটা চালু রাখা যেত। এখন মামলাটা চলমান।’
এ বিষয়ে সোহানুর রহমান সোহাগ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি, রাজনীতি করতে গেলে মামলা-হামলা হবেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই মামলাটা করিয়েছে। তবে মামলাটা মিথ্যা। আমাকে এ মামলায় এখনো জামিনও নিতে হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা পদ থেকে সবাই আরেকটা বড় পদে যেতে চায়। সে জন্য আমিও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছি। এখন কমিটি ঘোষণার আগে এসব বিষয় সামনে আনা হচ্ছে।’
এবার ধর্ষণ মামলার আসামি রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী হিসেবে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সংগঠনের নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আজ বুধবার ১১ মাসেরও বেশি সময় পর জেলা ছাত্রলীগের কর্মিসভায় নতুন কমিটি ঘোষণার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে কর্মিসভাটি স্থগিত করা হয় বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত সভাপতি পদপ্রত্যাশী সোহানুর রহমান সোহাগ বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। গত বছর তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন প্রতিবেশী এক গৃহবধূ (২২)। মামলাটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী। তবে মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগের ওই নেতা।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন মোবাইলে ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন বলেন, ‘বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি কমিটিতে আসতে পারবেন না। আমাদের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা আছে। সবার সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। দু’একদিনের মধ্যে আবার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। তারপর পরিচ্ছন্নদেরই নেতৃত্বে আনা হবে।’
এর আগে ২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি করা হয়েছিল সাকিবুল ইসলাম রানাকে। ওই সময় তার একটি ফোনকল রেকর্ড ফাঁস হয়। এতে নিজেকে ‘চিটারের সর্দার’ দাবি করে ছাত্রলীগের এক নারী কর্মীকে অশালীন প্রস্তাব দিতে শোনা যায়। একই সময় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিরও ফেনসিডিল সেবনের একটি ভিডিও ফাঁস হয়।
পরে তদন্তে উভয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ ঘটনায় গত বছরের অক্টোবরে সভাপতিকে বহিষ্কার ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর জেলা ছাত্রলীগের আর কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি।
মামলার বাদী বলেন, ‘গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর বাসায় তাকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ। বিষয়টি জানাজানি হলে লোকলজ্জায় ২ অক্টোবর কীটনাশক পান করে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। এরপর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে ৪ অক্টোবর স্বামীর সঙ্গে বাঘা থানায় মামলা করতে যান। তবে পুলিশ মামলা না নিয়ে ফিরিয়ে দেয়। এ কারণে আদালতে মামলা দায়ের করেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমবার আমাকে ধর্ষণের ভিডিও করে রেখেছিল সোহাগ। এটি দেখিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেল করছিল। ভিডিও ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েক দফা ধর্ষণ করে। আসামি প্রভাবশালী বলে পুলিশ মামলা নেয়নি। আদালতে মামলা করলেও পরে এমনভাবে প্রতিবেদন দেওয়া হয়, যেন আসামি পার পেয়ে যায়। এখন আসামি চোখের সামনেই ঘোরাফেরা করছে। তার শাস্তি হচ্ছে না। এ কারণে আমার কষ্ট হয়।’
ভুক্তভোগী আরও বলেন, ‘আদালতে মামলা করলেও পুলিশ দায় সারাভাবে তদন্ত করে। এরপর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিম্ন আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়।’
বাদীর আইনজীবী মার্জিনা রায়হান মদীনা বলেন, ‘মামলাটা নিম্ন আদালতে খারিজ করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। কয়েক দিন দুই পক্ষের আইনজীবীকে নিয়ে উচ্চ আদালতে শুনানি হয়েছে। এতে মামলাটা চালু রাখার আমাদের যে আবেদন তা মঞ্জুর হয়েছে। উচ্চ আদালত বলেছেন, যে তদন্ত প্রতিবেদন নিম্ন আদালতে এসেছিল, তা দিয়েই মামলাটা চালু রাখা যেত। এখন মামলাটা চলমান।’
এ বিষয়ে সোহানুর রহমান সোহাগ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি, রাজনীতি করতে গেলে মামলা-হামলা হবেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই মামলাটা করিয়েছে। তবে মামলাটা মিথ্যা। আমাকে এ মামলায় এখনো জামিনও নিতে হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা পদ থেকে সবাই আরেকটা বড় পদে যেতে চায়। সে জন্য আমিও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছি। এখন কমিটি ঘোষণার আগে এসব বিষয় সামনে আনা হচ্ছে।’
শুল্ক আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে মো. পারভেজ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির নিশান সাফারি ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনায় গাড়িটির গায়ে ‘নিশান সাফারি’ মুছে দিয়ে ‘নিশান পেট্রোল’ লেখা হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী এলাকা থেকে কাস্টমস গোয়েন্দারা গাড়িটি জব্দ করেন।
১৪ মিনিট আগেঅহিংস গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি টিম
৯ ঘণ্টা আগেজামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হক। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং এরপরই জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন
৯ ঘণ্টা আগেঅবশেষে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএর ঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দাবাদ নামক একটি জাহাজ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন যাবে
৯ ঘণ্টা আগে