রিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম সেদিন শিক্ষকদের কক্ষে বসে ছিলেন। হঠাৎ ডাকপিয়ন এসে একটা চিঠি দিয়ে গেলেন। চিঠির খামে প্রেরকের স্থানে রাজশাহী সরকারি প্রমথ নাথ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একটা সিল। এই স্কুলেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে নাজমার মেয়ে জারিন সুবিহা। তাই চিঠিটা দেখেই উদ্বিগ্ন তিনি। মেয়ের খারাপ কিছু খবর না তো!
মনে ভয় নিয়ে খামটা খুললেন নাজমা বেগম। তারপর চিঠি পড়তেই চোখে পানি চলে এল তাঁর। স্কুল কর্তৃপক্ষ নয়, অনেক আবেগ আর ভালোবাসা দিয়ে মায়ের কাছে চিঠিটা লিখেছিল জারিন। ১৩ আগস্ট এই চিঠি হাতে পান ড. নাজমা। এখন তিনি বলছেন, ছোট্ট মেয়েটার তাঁর জন্য যে কত আবেগ, তা তিনি আগে বুঝতে পারেননি। বুঝেছেন চিঠি পড়ে।
‘প্রিয় প্রিয় প্রিয় মা’ লিখে চিঠি শুরু করেছে জারিন। সে লিখেছে, ‘আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি। তুমি মা, কষ্ট পেলেও মা, রাগ হলেও মা, হাসলেও মা, বকলেও মা, আমি তোমায় খুব ভালোবাসি। পৃথিবীতে আমি খুঁজে বেড়াই, তোমার মতোন মানুষ পাইনি। জানি পাব না।’
সে লিখেছে, ‘আমি সন্তান হয়ে খারাপ কাজ করলে রাগ হবে, কিন্তু আমাকে তুমি ভুল বুঝো না। আমি ভুল করলে তুমি মাফ করে দাও। আমি চাই তোমার মতো হতে। মা, আমি তোমায় খুউব ভালোবাসি। তুমি আমার জীবনে যেমন শ্রেষ্ঠ মা, তেমনি শ্রেষ্ঠ মানুষ। কষ্ট পেলে তোমার কোলে মাথা রাখলে আমি অনেক শান্তি পাই মা।’
জারিন আরও লিখেছে, ‘মা, আম্মু তোমায় কত নামে ডাকি! মা, তুমি ছাড়া আমি কি থাকত পারব? পারব না। তাই প্লিজ, নিজের শরীরকে সুস্থ রেখো। মাথা গরম করো না মা। মা, তুমি খুব খুব ভালো। তোমার জন্য এই চিঠিটা দিলাম। বড় হয়ে আমি যেন ভালো অবস্থানে যেতে পারি মা। দোয়া করো। মা, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি মা। ইতি—তোমার আদরের মেয়ে জারিন।’
জারিনের মা নাজমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়দিন ধরে জারিন বলছিল যে আমার জন্য নাকি তার একটা গিফট আছে। কিন্তু সেটা কী, সে তা বলছিল না। কলেজে ছিলাম, হঠাৎ ডাকপিয়ন এসে চিঠিটা দিয়ে গেল। চিঠিটা জারিনের স্কুল থেকে এসেছে দেখে খুব ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু চিঠিটা যখন পড়লাম, তখন আবেগাপ্লুত হয়ে উঠলাম। আমার মেয়ে যে আমাকে এত ভালোবাসে তা তার লেখা চিঠি না পড়লে বুঝতাম না।’
নাজমা বেগম আরও বলেন, ‘আমি একটু রাগী মানুষ। কিন্তু ও বলেছে, আমি যেন রাগ না করি। নিজেকে যেন সুস্থ রাখি। এই অনুভূতিটা যে কত গভীর থেকে এসেছে, তা মা হিসেবে বুঝতে পারছি। আগে কখনো সে এভাবে বলেনি, চিঠিতেই বলেছে।’
জারিন সুবিহা জানাল, বাংলার শিক্ষক ইকবাল হোসেন তাদের শ্রেণির সবাইকে পরিবারের কাছে চিঠি লিখতে বলেছিলেন। তারা সবাই চিঠি লিখে মা-বাবার কাছে পাঠিয়েছিল। জারিন অবশ্য একবার বসেই চিঠিটা লিখতে পারেনি। কিছুক্ষণ ভেবেছে, তারপর লিখেছে, আবার ভেবেছে, লিখেছে। এভাবে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মায়ের কাছে চিঠি লেখে সে।
একসময় মানুষ এভাবেই ভেবে ভেবে প্রিয়জনের কাছে মনের কথা লিখে পাঠাত। চিঠির প্রতিটি শব্দে উঠে আসত মানুষের মনের ভাবনা, আবেগ, ভালোবাসা, দুঃখ-কষ্ট। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ চিঠি লিখতে ভুলে গেছে। এখন আর কেউ চিঠি লেখে না। তাই পোস্ট অফিসের বাক্সগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। ডাকপিয়নদেরও ব্যস্ততা নেই আগের মতো। তারপরও আগামীকাল শুক্রবার ১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
নতুন প্রজন্মকে চিঠির বিষয়টি জানাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নতুন শিক্ষাক্রমের বাংলা বিষয়ে চিঠি লেখা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত বছর নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই শিক্ষাক্রম শুরু করা হয়। এ বছর সব স্কুলে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হয়েছে। আগামী বছর অষ্টম এবং নবমেও এ শিক্ষাক্রম শুরু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমকে বলা হচ্ছে ‘যোগ্যতাভিত্তিক’। এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে এমন সব যোগ্যতা শেখানো হবে, যা সে জীবনযাপনের বাস্তব কাজে প্রয়োগ করতে পারবে।
রাজশাহী সরকারি প্রমথ নাথ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিল মাহমুদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবা-মায়ের জন্য আমাদের অনেক আবেগ ছিল। স্কুলে পড়তে গেলে আমরা চিঠি লিখতাম। উত্তর কবে পাব জানতাম না। তাও শরীর কেমন আছে তা চিঠিতে জানতে চাইতাম। চিঠির শেষে বলতাম, কিছু টাকার প্রয়োজন। এখনকার ছেলেমেয়েরা শুধু ফোন করে বলে টাকা দরকার। এর মধ্যে কোনো আবেগ থাকে না। এখন আবার নতুন শিক্ষাক্রমে চিঠি লিখে বাবা-মায়ের কাছে পাঠানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিষয়টা খুব ভালো লেগেছে।’

রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম সেদিন শিক্ষকদের কক্ষে বসে ছিলেন। হঠাৎ ডাকপিয়ন এসে একটা চিঠি দিয়ে গেলেন। চিঠির খামে প্রেরকের স্থানে রাজশাহী সরকারি প্রমথ নাথ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একটা সিল। এই স্কুলেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে নাজমার মেয়ে জারিন সুবিহা। তাই চিঠিটা দেখেই উদ্বিগ্ন তিনি। মেয়ের খারাপ কিছু খবর না তো!
মনে ভয় নিয়ে খামটা খুললেন নাজমা বেগম। তারপর চিঠি পড়তেই চোখে পানি চলে এল তাঁর। স্কুল কর্তৃপক্ষ নয়, অনেক আবেগ আর ভালোবাসা দিয়ে মায়ের কাছে চিঠিটা লিখেছিল জারিন। ১৩ আগস্ট এই চিঠি হাতে পান ড. নাজমা। এখন তিনি বলছেন, ছোট্ট মেয়েটার তাঁর জন্য যে কত আবেগ, তা তিনি আগে বুঝতে পারেননি। বুঝেছেন চিঠি পড়ে।
‘প্রিয় প্রিয় প্রিয় মা’ লিখে চিঠি শুরু করেছে জারিন। সে লিখেছে, ‘আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি। তুমি মা, কষ্ট পেলেও মা, রাগ হলেও মা, হাসলেও মা, বকলেও মা, আমি তোমায় খুব ভালোবাসি। পৃথিবীতে আমি খুঁজে বেড়াই, তোমার মতোন মানুষ পাইনি। জানি পাব না।’
সে লিখেছে, ‘আমি সন্তান হয়ে খারাপ কাজ করলে রাগ হবে, কিন্তু আমাকে তুমি ভুল বুঝো না। আমি ভুল করলে তুমি মাফ করে দাও। আমি চাই তোমার মতো হতে। মা, আমি তোমায় খুউব ভালোবাসি। তুমি আমার জীবনে যেমন শ্রেষ্ঠ মা, তেমনি শ্রেষ্ঠ মানুষ। কষ্ট পেলে তোমার কোলে মাথা রাখলে আমি অনেক শান্তি পাই মা।’
জারিন আরও লিখেছে, ‘মা, আম্মু তোমায় কত নামে ডাকি! মা, তুমি ছাড়া আমি কি থাকত পারব? পারব না। তাই প্লিজ, নিজের শরীরকে সুস্থ রেখো। মাথা গরম করো না মা। মা, তুমি খুব খুব ভালো। তোমার জন্য এই চিঠিটা দিলাম। বড় হয়ে আমি যেন ভালো অবস্থানে যেতে পারি মা। দোয়া করো। মা, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি মা। ইতি—তোমার আদরের মেয়ে জারিন।’
জারিনের মা নাজমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়দিন ধরে জারিন বলছিল যে আমার জন্য নাকি তার একটা গিফট আছে। কিন্তু সেটা কী, সে তা বলছিল না। কলেজে ছিলাম, হঠাৎ ডাকপিয়ন এসে চিঠিটা দিয়ে গেল। চিঠিটা জারিনের স্কুল থেকে এসেছে দেখে খুব ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু চিঠিটা যখন পড়লাম, তখন আবেগাপ্লুত হয়ে উঠলাম। আমার মেয়ে যে আমাকে এত ভালোবাসে তা তার লেখা চিঠি না পড়লে বুঝতাম না।’
নাজমা বেগম আরও বলেন, ‘আমি একটু রাগী মানুষ। কিন্তু ও বলেছে, আমি যেন রাগ না করি। নিজেকে যেন সুস্থ রাখি। এই অনুভূতিটা যে কত গভীর থেকে এসেছে, তা মা হিসেবে বুঝতে পারছি। আগে কখনো সে এভাবে বলেনি, চিঠিতেই বলেছে।’
জারিন সুবিহা জানাল, বাংলার শিক্ষক ইকবাল হোসেন তাদের শ্রেণির সবাইকে পরিবারের কাছে চিঠি লিখতে বলেছিলেন। তারা সবাই চিঠি লিখে মা-বাবার কাছে পাঠিয়েছিল। জারিন অবশ্য একবার বসেই চিঠিটা লিখতে পারেনি। কিছুক্ষণ ভেবেছে, তারপর লিখেছে, আবার ভেবেছে, লিখেছে। এভাবে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মায়ের কাছে চিঠি লেখে সে।
একসময় মানুষ এভাবেই ভেবে ভেবে প্রিয়জনের কাছে মনের কথা লিখে পাঠাত। চিঠির প্রতিটি শব্দে উঠে আসত মানুষের মনের ভাবনা, আবেগ, ভালোবাসা, দুঃখ-কষ্ট। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ চিঠি লিখতে ভুলে গেছে। এখন আর কেউ চিঠি লেখে না। তাই পোস্ট অফিসের বাক্সগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। ডাকপিয়নদেরও ব্যস্ততা নেই আগের মতো। তারপরও আগামীকাল শুক্রবার ১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
নতুন প্রজন্মকে চিঠির বিষয়টি জানাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নতুন শিক্ষাক্রমের বাংলা বিষয়ে চিঠি লেখা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত বছর নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই শিক্ষাক্রম শুরু করা হয়। এ বছর সব স্কুলে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হয়েছে। আগামী বছর অষ্টম এবং নবমেও এ শিক্ষাক্রম শুরু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমকে বলা হচ্ছে ‘যোগ্যতাভিত্তিক’। এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে এমন সব যোগ্যতা শেখানো হবে, যা সে জীবনযাপনের বাস্তব কাজে প্রয়োগ করতে পারবে।
রাজশাহী সরকারি প্রমথ নাথ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিল মাহমুদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবা-মায়ের জন্য আমাদের অনেক আবেগ ছিল। স্কুলে পড়তে গেলে আমরা চিঠি লিখতাম। উত্তর কবে পাব জানতাম না। তাও শরীর কেমন আছে তা চিঠিতে জানতে চাইতাম। চিঠির শেষে বলতাম, কিছু টাকার প্রয়োজন। এখনকার ছেলেমেয়েরা শুধু ফোন করে বলে টাকা দরকার। এর মধ্যে কোনো আবেগ থাকে না। এখন আবার নতুন শিক্ষাক্রমে চিঠি লিখে বাবা-মায়ের কাছে পাঠানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিষয়টা খুব ভালো লেগেছে।’
রিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম সেদিন শিক্ষকদের কক্ষে বসে ছিলেন। হঠাৎ ডাকপিয়ন এসে একটা চিঠি দিয়ে গেলেন। চিঠির খামে প্রেরকের স্থানে রাজশাহী সরকারি প্রমথ নাথ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একটা সিল। এই স্কুলেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে নাজমার মেয়ে জারিন সুবিহা। তাই চিঠিটা দেখেই উদ্বিগ্ন তিনি। মেয়ের খারাপ কিছু খবর না তো!
মনে ভয় নিয়ে খামটা খুললেন নাজমা বেগম। তারপর চিঠি পড়তেই চোখে পানি চলে এল তাঁর। স্কুল কর্তৃপক্ষ নয়, অনেক আবেগ আর ভালোবাসা দিয়ে মায়ের কাছে চিঠিটা লিখেছিল জারিন। ১৩ আগস্ট এই চিঠি হাতে পান ড. নাজমা। এখন তিনি বলছেন, ছোট্ট মেয়েটার তাঁর জন্য যে কত আবেগ, তা তিনি আগে বুঝতে পারেননি। বুঝেছেন চিঠি পড়ে।
‘প্রিয় প্রিয় প্রিয় মা’ লিখে চিঠি শুরু করেছে জারিন। সে লিখেছে, ‘আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি। তুমি মা, কষ্ট পেলেও মা, রাগ হলেও মা, হাসলেও মা, বকলেও মা, আমি তোমায় খুব ভালোবাসি। পৃথিবীতে আমি খুঁজে বেড়াই, তোমার মতোন মানুষ পাইনি। জানি পাব না।’
সে লিখেছে, ‘আমি সন্তান হয়ে খারাপ কাজ করলে রাগ হবে, কিন্তু আমাকে তুমি ভুল বুঝো না। আমি ভুল করলে তুমি মাফ করে দাও। আমি চাই তোমার মতো হতে। মা, আমি তোমায় খুউব ভালোবাসি। তুমি আমার জীবনে যেমন শ্রেষ্ঠ মা, তেমনি শ্রেষ্ঠ মানুষ। কষ্ট পেলে তোমার কোলে মাথা রাখলে আমি অনেক শান্তি পাই মা।’
জারিন আরও লিখেছে, ‘মা, আম্মু তোমায় কত নামে ডাকি! মা, তুমি ছাড়া আমি কি থাকত পারব? পারব না। তাই প্লিজ, নিজের শরীরকে সুস্থ রেখো। মাথা গরম করো না মা। মা, তুমি খুব খুব ভালো। তোমার জন্য এই চিঠিটা দিলাম। বড় হয়ে আমি যেন ভালো অবস্থানে যেতে পারি মা। দোয়া করো। মা, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি মা। ইতি—তোমার আদরের মেয়ে জারিন।’
জারিনের মা নাজমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়দিন ধরে জারিন বলছিল যে আমার জন্য নাকি তার একটা গিফট আছে। কিন্তু সেটা কী, সে তা বলছিল না। কলেজে ছিলাম, হঠাৎ ডাকপিয়ন এসে চিঠিটা দিয়ে গেল। চিঠিটা জারিনের স্কুল থেকে এসেছে দেখে খুব ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু চিঠিটা যখন পড়লাম, তখন আবেগাপ্লুত হয়ে উঠলাম। আমার মেয়ে যে আমাকে এত ভালোবাসে তা তার লেখা চিঠি না পড়লে বুঝতাম না।’
নাজমা বেগম আরও বলেন, ‘আমি একটু রাগী মানুষ। কিন্তু ও বলেছে, আমি যেন রাগ না করি। নিজেকে যেন সুস্থ রাখি। এই অনুভূতিটা যে কত গভীর থেকে এসেছে, তা মা হিসেবে বুঝতে পারছি। আগে কখনো সে এভাবে বলেনি, চিঠিতেই বলেছে।’
জারিন সুবিহা জানাল, বাংলার শিক্ষক ইকবাল হোসেন তাদের শ্রেণির সবাইকে পরিবারের কাছে চিঠি লিখতে বলেছিলেন। তারা সবাই চিঠি লিখে মা-বাবার কাছে পাঠিয়েছিল। জারিন অবশ্য একবার বসেই চিঠিটা লিখতে পারেনি। কিছুক্ষণ ভেবেছে, তারপর লিখেছে, আবার ভেবেছে, লিখেছে। এভাবে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মায়ের কাছে চিঠি লেখে সে।
একসময় মানুষ এভাবেই ভেবে ভেবে প্রিয়জনের কাছে মনের কথা লিখে পাঠাত। চিঠির প্রতিটি শব্দে উঠে আসত মানুষের মনের ভাবনা, আবেগ, ভালোবাসা, দুঃখ-কষ্ট। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ চিঠি লিখতে ভুলে গেছে। এখন আর কেউ চিঠি লেখে না। তাই পোস্ট অফিসের বাক্সগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। ডাকপিয়নদেরও ব্যস্ততা নেই আগের মতো। তারপরও আগামীকাল শুক্রবার ১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
নতুন প্রজন্মকে চিঠির বিষয়টি জানাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নতুন শিক্ষাক্রমের বাংলা বিষয়ে চিঠি লেখা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত বছর নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই শিক্ষাক্রম শুরু করা হয়। এ বছর সব স্কুলে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হয়েছে। আগামী বছর অষ্টম এবং নবমেও এ শিক্ষাক্রম শুরু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমকে বলা হচ্ছে ‘যোগ্যতাভিত্তিক’। এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে এমন সব যোগ্যতা শেখানো হবে, যা সে জীবনযাপনের বাস্তব কাজে প্রয়োগ করতে পারবে।
রাজশাহী সরকারি প্রমথ নাথ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিল মাহমুদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবা-মায়ের জন্য আমাদের অনেক আবেগ ছিল। স্কুলে পড়তে গেলে আমরা চিঠি লিখতাম। উত্তর কবে পাব জানতাম না। তাও শরীর কেমন আছে তা চিঠিতে জানতে চাইতাম। চিঠির শেষে বলতাম, কিছু টাকার প্রয়োজন। এখনকার ছেলেমেয়েরা শুধু ফোন করে বলে টাকা দরকার। এর মধ্যে কোনো আবেগ থাকে না। এখন আবার নতুন শিক্ষাক্রমে চিঠি লিখে বাবা-মায়ের কাছে পাঠানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিষয়টা খুব ভালো লেগেছে।’

রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম সেদিন শিক্ষকদের কক্ষে বসে ছিলেন। হঠাৎ ডাকপিয়ন এসে একটা চিঠি দিয়ে গেলেন। চিঠির খামে প্রেরকের স্থানে রাজশাহী সরকারি প্রমথ নাথ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একটা সিল। এই স্কুলেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে নাজমার মেয়ে জারিন সুবিহা। তাই চিঠিটা দেখেই উদ্বিগ্ন তিনি। মেয়ের খারাপ কিছু খবর না তো!
মনে ভয় নিয়ে খামটা খুললেন নাজমা বেগম। তারপর চিঠি পড়তেই চোখে পানি চলে এল তাঁর। স্কুল কর্তৃপক্ষ নয়, অনেক আবেগ আর ভালোবাসা দিয়ে মায়ের কাছে চিঠিটা লিখেছিল জারিন। ১৩ আগস্ট এই চিঠি হাতে পান ড. নাজমা। এখন তিনি বলছেন, ছোট্ট মেয়েটার তাঁর জন্য যে কত আবেগ, তা তিনি আগে বুঝতে পারেননি। বুঝেছেন চিঠি পড়ে।
‘প্রিয় প্রিয় প্রিয় মা’ লিখে চিঠি শুরু করেছে জারিন। সে লিখেছে, ‘আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি। তুমি মা, কষ্ট পেলেও মা, রাগ হলেও মা, হাসলেও মা, বকলেও মা, আমি তোমায় খুব ভালোবাসি। পৃথিবীতে আমি খুঁজে বেড়াই, তোমার মতোন মানুষ পাইনি। জানি পাব না।’
সে লিখেছে, ‘আমি সন্তান হয়ে খারাপ কাজ করলে রাগ হবে, কিন্তু আমাকে তুমি ভুল বুঝো না। আমি ভুল করলে তুমি মাফ করে দাও। আমি চাই তোমার মতো হতে। মা, আমি তোমায় খুউব ভালোবাসি। তুমি আমার জীবনে যেমন শ্রেষ্ঠ মা, তেমনি শ্রেষ্ঠ মানুষ। কষ্ট পেলে তোমার কোলে মাথা রাখলে আমি অনেক শান্তি পাই মা।’
জারিন আরও লিখেছে, ‘মা, আম্মু তোমায় কত নামে ডাকি! মা, তুমি ছাড়া আমি কি থাকত পারব? পারব না। তাই প্লিজ, নিজের শরীরকে সুস্থ রেখো। মাথা গরম করো না মা। মা, তুমি খুব খুব ভালো। তোমার জন্য এই চিঠিটা দিলাম। বড় হয়ে আমি যেন ভালো অবস্থানে যেতে পারি মা। দোয়া করো। মা, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি মা। ইতি—তোমার আদরের মেয়ে জারিন।’
জারিনের মা নাজমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়দিন ধরে জারিন বলছিল যে আমার জন্য নাকি তার একটা গিফট আছে। কিন্তু সেটা কী, সে তা বলছিল না। কলেজে ছিলাম, হঠাৎ ডাকপিয়ন এসে চিঠিটা দিয়ে গেল। চিঠিটা জারিনের স্কুল থেকে এসেছে দেখে খুব ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু চিঠিটা যখন পড়লাম, তখন আবেগাপ্লুত হয়ে উঠলাম। আমার মেয়ে যে আমাকে এত ভালোবাসে তা তার লেখা চিঠি না পড়লে বুঝতাম না।’
নাজমা বেগম আরও বলেন, ‘আমি একটু রাগী মানুষ। কিন্তু ও বলেছে, আমি যেন রাগ না করি। নিজেকে যেন সুস্থ রাখি। এই অনুভূতিটা যে কত গভীর থেকে এসেছে, তা মা হিসেবে বুঝতে পারছি। আগে কখনো সে এভাবে বলেনি, চিঠিতেই বলেছে।’
জারিন সুবিহা জানাল, বাংলার শিক্ষক ইকবাল হোসেন তাদের শ্রেণির সবাইকে পরিবারের কাছে চিঠি লিখতে বলেছিলেন। তারা সবাই চিঠি লিখে মা-বাবার কাছে পাঠিয়েছিল। জারিন অবশ্য একবার বসেই চিঠিটা লিখতে পারেনি। কিছুক্ষণ ভেবেছে, তারপর লিখেছে, আবার ভেবেছে, লিখেছে। এভাবে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মায়ের কাছে চিঠি লেখে সে।
একসময় মানুষ এভাবেই ভেবে ভেবে প্রিয়জনের কাছে মনের কথা লিখে পাঠাত। চিঠির প্রতিটি শব্দে উঠে আসত মানুষের মনের ভাবনা, আবেগ, ভালোবাসা, দুঃখ-কষ্ট। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ চিঠি লিখতে ভুলে গেছে। এখন আর কেউ চিঠি লেখে না। তাই পোস্ট অফিসের বাক্সগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। ডাকপিয়নদেরও ব্যস্ততা নেই আগের মতো। তারপরও আগামীকাল শুক্রবার ১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
নতুন প্রজন্মকে চিঠির বিষয়টি জানাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নতুন শিক্ষাক্রমের বাংলা বিষয়ে চিঠি লেখা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত বছর নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই শিক্ষাক্রম শুরু করা হয়। এ বছর সব স্কুলে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হয়েছে। আগামী বছর অষ্টম এবং নবমেও এ শিক্ষাক্রম শুরু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমকে বলা হচ্ছে ‘যোগ্যতাভিত্তিক’। এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে এমন সব যোগ্যতা শেখানো হবে, যা সে জীবনযাপনের বাস্তব কাজে প্রয়োগ করতে পারবে।
রাজশাহী সরকারি প্রমথ নাথ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিল মাহমুদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবা-মায়ের জন্য আমাদের অনেক আবেগ ছিল। স্কুলে পড়তে গেলে আমরা চিঠি লিখতাম। উত্তর কবে পাব জানতাম না। তাও শরীর কেমন আছে তা চিঠিতে জানতে চাইতাম। চিঠির শেষে বলতাম, কিছু টাকার প্রয়োজন। এখনকার ছেলেমেয়েরা শুধু ফোন করে বলে টাকা দরকার। এর মধ্যে কোনো আবেগ থাকে না। এখন আবার নতুন শিক্ষাক্রমে চিঠি লিখে বাবা-মায়ের কাছে পাঠানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিষয়টা খুব ভালো লেগেছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩৯ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম সেদিন শিক্ষকদের কক্ষে বসে ছিলেন। হঠাৎ ডাকপিয়ন এসে একটা চিঠি দিয়ে গেলেন। চিঠির খামে প্রেরকের স্থানে রাজশাহী সরকারি প্রমথ নাথ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একটা সিল। এই স্কুলেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে নাজমার মেয়ে জারিন সুবিহা।
৩১ আগস্ট ২০২৩
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩৯ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
১ ঘণ্টা আগেমিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত দীপন উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে দীপন একটি গোডাউন থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ভ্যানে করে কমলদহ এলাকা থেকে বড় দারোগার হাটের দিকে যাচ্ছিলেন। কমলদহ এলাকায় মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁর রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খান এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত এক পথচারীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
এ বিষয়ে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জাকির রাব্বানি বলেন, কমলদহ এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত ভ্যান ও মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত দীপন উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে দীপন একটি গোডাউন থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ভ্যানে করে কমলদহ এলাকা থেকে বড় দারোগার হাটের দিকে যাচ্ছিলেন। কমলদহ এলাকায় মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁর রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খান এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত এক পথচারীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
এ বিষয়ে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জাকির রাব্বানি বলেন, কমলদহ এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত ভ্যান ও মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম সেদিন শিক্ষকদের কক্ষে বসে ছিলেন। হঠাৎ ডাকপিয়ন এসে একটা চিঠি দিয়ে গেলেন। চিঠির খামে প্রেরকের স্থানে রাজশাহী সরকারি প্রমথ নাথ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একটা সিল। এই স্কুলেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে নাজমার মেয়ে জারিন সুবিহা।
৩১ আগস্ট ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১৬ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় সোহান ও তাঁর মা তহুরুন্নেছাকে (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মা তহুরুন্নেছা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। আর আহত নানি আবেজান বেগম (৬৫) ও বড় ভাই মাহমুদুল হাসান রোহানকে (১৩) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে নিহত সোহানের খালা রুনা বেগম জানান, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার পুলঘাট গ্রামে। দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁরা। সোহানের বাবা রওনক হাসান আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। সোহান ও রোহান এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাদের মা অন্যের বাসায় কাজ করে।
রুনা বেগম আরও জানান, গত সোমবার তাঁর মা, বোন ও বোনের দুই ছেলে তুরাগের নয়ানগর এলাকায় তাঁর বাসায় বেড়াতে আসে। শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। উত্তরা বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাদের প্রথমে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শিশু সোহান ও তার মাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে সেখানে শিশুটির মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি উত্তরা পূর্ব থানায় অবগত করা হয়েছে।

রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় সোহান ও তাঁর মা তহুরুন্নেছাকে (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মা তহুরুন্নেছা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। আর আহত নানি আবেজান বেগম (৬৫) ও বড় ভাই মাহমুদুল হাসান রোহানকে (১৩) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে নিহত সোহানের খালা রুনা বেগম জানান, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার পুলঘাট গ্রামে। দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁরা। সোহানের বাবা রওনক হাসান আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। সোহান ও রোহান এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাদের মা অন্যের বাসায় কাজ করে।
রুনা বেগম আরও জানান, গত সোমবার তাঁর মা, বোন ও বোনের দুই ছেলে তুরাগের নয়ানগর এলাকায় তাঁর বাসায় বেড়াতে আসে। শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। উত্তরা বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাদের প্রথমে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শিশু সোহান ও তার মাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে সেখানে শিশুটির মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি উত্তরা পূর্ব থানায় অবগত করা হয়েছে।

রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম সেদিন শিক্ষকদের কক্ষে বসে ছিলেন। হঠাৎ ডাকপিয়ন এসে একটা চিঠি দিয়ে গেলেন। চিঠির খামে প্রেরকের স্থানে রাজশাহী সরকারি প্রমথ নাথ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একটা সিল। এই স্কুলেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে নাজমার মেয়ে জারিন সুবিহা।
৩১ আগস্ট ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। আজ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
কনকচাঁপা জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য।
ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা লেখেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না। ওসমান হাদি বারবার বলেছেন, “আমি আমার শত্রুর সাথেও ইনসাফ করতে চাই।” তা ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভালো সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে আহ্বান জানাতেন। শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ যারা করেছে, তারা কখনো শান্তিপূর্ণ দেশপ্রেমিক হতে পারে না।’
ফেসবুক পোস্টে ময়মনসিংহে সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে হত্যার বিষয়েও কথা বলেছেন কনকচাঁপা। তিনি লেখেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু দাস নামের একজন সনাতন ভাইকে একটা গোষ্ঠী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। যদি তিনি সত্যিই এমন কিছু করে থাকেন, তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার ন্যায়বিচার হওয়া উচিত ছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কখনো ধার্মিক মানুষের কাজ হতে পারে না। দেশের সর্বস্তরের সকল ধর্ম, মত ও আদর্শের মানুষের প্রতি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে বিনীত অনুরোধ করছি। কোনো ষড়যন্ত্রকারীর উসকানি, গুজব ও ইন্ধনে দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি করবেন না।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। আজ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
কনকচাঁপা জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য।
ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা লেখেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না। ওসমান হাদি বারবার বলেছেন, “আমি আমার শত্রুর সাথেও ইনসাফ করতে চাই।” তা ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভালো সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে আহ্বান জানাতেন। শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ যারা করেছে, তারা কখনো শান্তিপূর্ণ দেশপ্রেমিক হতে পারে না।’
ফেসবুক পোস্টে ময়মনসিংহে সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে হত্যার বিষয়েও কথা বলেছেন কনকচাঁপা। তিনি লেখেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু দাস নামের একজন সনাতন ভাইকে একটা গোষ্ঠী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। যদি তিনি সত্যিই এমন কিছু করে থাকেন, তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার ন্যায়বিচার হওয়া উচিত ছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কখনো ধার্মিক মানুষের কাজ হতে পারে না। দেশের সর্বস্তরের সকল ধর্ম, মত ও আদর্শের মানুষের প্রতি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে বিনীত অনুরোধ করছি। কোনো ষড়যন্ত্রকারীর উসকানি, গুজব ও ইন্ধনে দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি করবেন না।’

রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম সেদিন শিক্ষকদের কক্ষে বসে ছিলেন। হঠাৎ ডাকপিয়ন এসে একটা চিঠি দিয়ে গেলেন। চিঠির খামে প্রেরকের স্থানে রাজশাহী সরকারি প্রমথ নাথ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একটা সিল। এই স্কুলেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে নাজমার মেয়ে জারিন সুবিহা।
৩১ আগস্ট ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩৯ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে