সিরাজগঞ্জ থেকে রিমন রহমান
শ্রেণিকক্ষে ছাত্রকে গুলি করা শিক্ষক রায়হান শরীফের কাছে অস্ত্র থাকার বিষয়টি অধ্যক্ষকে বারবার জানিয়েছিলেন সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তিনি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। আজ মঙ্গলবার মেডিকেল কলেজের অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কোনো শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষক রায়হান শরীফ শ্রেণিকক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র ও ছুরি নিয়ে এসে তাঁদের ভয় দেখাতেন। কখনো কখনো গুলি না ঢুকিয়ে তাঁদের দিকে পিস্তলের ট্রিগার টানতেন। লিখিত অভিযোগ না দিলেও তাঁরা রায়হান শরীফের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কথা অধ্যক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ক্লাসে তিনি তিন ঘণ্টা পার করে দিতেন। এই ক্লাসে পড়াশোনার চেয়ে তিনি গল্পগুজবই বেশি করতেন। কেউ অমনোযোগী হলে পিস্তল বের করতেন। কখনো কখনো পিস্তলের ভয় দেখিয়ে জোর করে মুড়ি খাওয়াতেন, আবার কখনো ফ্লাস্ক ভরে চা নিয়ে যেতে বাধ্য করতেন তাঁর ঘনিষ্ঠ এক তরুণীর কাছে। কথা না শুনলে এই শিক্ষক নম্বর কম দিতেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ক্লাসে তো বটেই, শিক্ষকদের গল্প আড্ডার মাঝেও রায়হান শরীফ নিজের অবৈধ পিস্তলটি বের করে সামনে রাখতেন। কলেজের সবাই বিষয়টি অবগত থাকলেও চুপ ছিলেন অধ্যক্ষ। তিনি এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেননি।
তবে অধ্যক্ষ আমিরুল হোসেন চৌধুরী আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা লিখিত বা মৌখিক কোনোভাবেই তাঁকে এ বিষয়ে কিছু জানাননি। তবে এই শিক্ষকের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কথা তিনি শুনতে পেয়েছিলেন। এ জন্য তাঁকে বদলির চেষ্টা করেছিলেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তাঁকে এখান থেকে বদলি করা হয়নি।
অবশ্য অধ্যক্ষ আমিরুল হোসেন চৌধুরী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত বা মৌখিকভাবে কিছুই জানাননি বলে জানিয়েছেন ছাত্রকে গুলি করার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জিদ খুরশীদ রিয়াজ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বায়জিদ খুরশীদ বলেন, রায়হান শরীফের এ ধরনের আচরণের কথা কলেজের অধ্যক্ষ আগে ঊর্ধ্বতন কাউকে লিখিত বা মৌখিকভাবে জানাননি। তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন বলে আশা করছেন।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আগে কিছু না জানানোর ব্যাপারে বায়জীদ খুরশীদের এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আমিরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমি ওভার ফোনে জানিয়েছি। একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। সে জন্য তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন।’
শ্রেণিকক্ষে ছাত্রকে গুলি করা শিক্ষক রায়হান শরীফের কাছে অস্ত্র থাকার বিষয়টি অধ্যক্ষকে বারবার জানিয়েছিলেন সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তিনি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। আজ মঙ্গলবার মেডিকেল কলেজের অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কোনো শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষক রায়হান শরীফ শ্রেণিকক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র ও ছুরি নিয়ে এসে তাঁদের ভয় দেখাতেন। কখনো কখনো গুলি না ঢুকিয়ে তাঁদের দিকে পিস্তলের ট্রিগার টানতেন। লিখিত অভিযোগ না দিলেও তাঁরা রায়হান শরীফের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কথা অধ্যক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ক্লাসে তিনি তিন ঘণ্টা পার করে দিতেন। এই ক্লাসে পড়াশোনার চেয়ে তিনি গল্পগুজবই বেশি করতেন। কেউ অমনোযোগী হলে পিস্তল বের করতেন। কখনো কখনো পিস্তলের ভয় দেখিয়ে জোর করে মুড়ি খাওয়াতেন, আবার কখনো ফ্লাস্ক ভরে চা নিয়ে যেতে বাধ্য করতেন তাঁর ঘনিষ্ঠ এক তরুণীর কাছে। কথা না শুনলে এই শিক্ষক নম্বর কম দিতেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ক্লাসে তো বটেই, শিক্ষকদের গল্প আড্ডার মাঝেও রায়হান শরীফ নিজের অবৈধ পিস্তলটি বের করে সামনে রাখতেন। কলেজের সবাই বিষয়টি অবগত থাকলেও চুপ ছিলেন অধ্যক্ষ। তিনি এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেননি।
তবে অধ্যক্ষ আমিরুল হোসেন চৌধুরী আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা লিখিত বা মৌখিক কোনোভাবেই তাঁকে এ বিষয়ে কিছু জানাননি। তবে এই শিক্ষকের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কথা তিনি শুনতে পেয়েছিলেন। এ জন্য তাঁকে বদলির চেষ্টা করেছিলেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তাঁকে এখান থেকে বদলি করা হয়নি।
অবশ্য অধ্যক্ষ আমিরুল হোসেন চৌধুরী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত বা মৌখিকভাবে কিছুই জানাননি বলে জানিয়েছেন ছাত্রকে গুলি করার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জিদ খুরশীদ রিয়াজ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বায়জিদ খুরশীদ বলেন, রায়হান শরীফের এ ধরনের আচরণের কথা কলেজের অধ্যক্ষ আগে ঊর্ধ্বতন কাউকে লিখিত বা মৌখিকভাবে জানাননি। তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন বলে আশা করছেন।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আগে কিছু না জানানোর ব্যাপারে বায়জীদ খুরশীদের এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আমিরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমি ওভার ফোনে জানিয়েছি। একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। সে জন্য তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন।’
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিক্ষোভের পর রাত ১০টার দিকে টিএসসিতে গায়েবানা জানাজার নামাজও আদায় করা হয়
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার
৪ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। আজ মঙ্গলবার উপজেলার পুকড়া এলাকায় নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগেববি, ট্রেজারার, সেনা কর্মকর্তা, বরিশাল, জেলার খবর
৫ ঘণ্টা আগে