রিমন রহমান, রাজশাহী
প্রাচীন আমলের ঢাল-তলোয়ার, পাল যুগ, সুলতানি যুগ, মোগল আমলের শিলালিপি থেকে শুরু করে অসংখ্য মূর্তি, টেরাকোটা আর পুরোনো জিনিসপত্রে পরিপূর্ণ বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর। প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহে এটি একেবারেই সমৃদ্ধ। কিন্তু নিরাপত্তার ঘাটতি আজও রয়ে গেছে এখানে। দেশের প্রথম এই জাদুঘরের নিরাপত্তার দায়িত্বে এখন শুধু আনসার সদস্যরা।
রাজশাহী নগরীর হেতেম খাঁ এলাকায় জাদুঘরটির অবস্থান। ১৯১০ সালে নাটোরের দিঘাপতিয়ার জমিদার কুমার শরৎকুমার রায়, রাজশাহীর খ্যাতনামা আইনজীবী অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় ও রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক রমাপ্রসাদ চন্দ্র এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন। সে বছর তাঁরা প্রাচীন ঐতিহ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য ‘বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি’ গঠন করেন। বিভিন্ন স্থান থেকে কালো পাথরের বিখ্যাত গঙ্গামূর্তিসহ পুরাতত্ত্বের ৩২টি প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন সংগ্রহ করে এই সমিতি।
সংগৃহীত নিদর্শনগুলো সংরক্ষণের জন্য একটি জাদুঘর ভবন নির্মাণ অপরিহার্য হয়ে পড়লে শরৎকুমার নির্মাণকাজে হাত দেন। বাংলার তৎকালীন গভর্নর লর্ড কারমাইকেল ১৯১৬ সালের ১৩ নভেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নির্মাণকাজ শেষে ১৯১৯ সালের ২৭ নভেম্বর জাদুঘরের দ্বার উন্মোচন করেন তৎকালীন গভর্নর লর্ড রোনাল্ডসে। এরপর ১৯৬৪ সালে জাদুঘরটি পরিচালনার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখনো এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।
জাদুঘর সূত্রে জানা গেছে, এখানে সংগ্রহের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার। এর মধ্যে মোগল আমল থেকে ব্রিটিশ আমল পর্যন্ত সময়ের রৌপ্য, ব্রোঞ্জ ও মিশ্র ধাতবের ৪০০ মুদ্রা, ৬১টি লেখচিত্র, প্রায় দেড় হাজার পাথর ও ধাতব মূর্তি, দুই হাজারের মতো প্রাচীন মুদ্রা, পোড়ামাটির ভাস্কর্য, পত্র ও ফলক প্রায় ৯০০টি। আছে প্রায় ৬০টি প্রাচীন অস্ত্র-শস্ত্র, বেশ কিছু আরবি-ফারসি দলিল এবং সাড়ে চার হাজারের মতো পাণ্ডুলিপি। জাদুঘরের বিভিন্ন কক্ষে ১৪টি গ্যালারিতে সাজানো আছে এসব।
এখানে আছে প্রাচীন আমলের ঢাল-তলোয়ার, ধাতব পাত্র, মহেঞ্জোদারো ও মহাস্থানের বিভিন্ন নিদর্শন। সম্রাট অশোক থেকে ব্রিটিশ আমল পর্যন্ত সময়ের কাঠ, পাথরসহ নানা কিছু দিয়ে নির্মিত মূর্তি। সূর্য, বিষ্ণু, শিব, কার্তিকসহ আরও অনেক দেবতার মূর্তি, পার্বতী, সরস্বতী, মনসা দুর্গা ও অন্য দেবীর মূর্তি। এ ছাড়া প্রাচীন আমলের আরবি, ফারসি, সংস্কৃত, বাংলা লেখচিত্র এবং পাল যুগ, সুলতানি যুগ, মোগল যুগের শিলালিপি ছাড়াও আছে শের শাহর দুটি কামান ও মেহরাব। ইসলামি গ্যালারিতে আছে হাতে লেখা কোরআন শরিফ, মোগল আমলের পোশাক।
প্রাচীন সংগ্রহে যে জাদুঘর সমৃদ্ধ, সেটির নিরাপত্তায় খুব একটা নজর দেওয়া হয়নি কখনো। ২০১০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত জাদুঘরের এক ইনভেনটরি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেখান থেকে নানা কিছু হারিয়ে যাওয়ার বিষয়। জাদুঘরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সুলতান আহমদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ওই ইনভেনটরি তৈরি করে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯১০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১০০ বছরে হারিয়েছে ১৮৫টি প্রত্নতত্ত্বসামগ্রীসহ প্রায় তিন হাজার দুর্লভ বস্তু। এর মধ্যে জাদুঘরের নিবন্ধন বইয়ে থাকা দুটি ব্রোঞ্জ, দুটি কপার, দুটি লিনেন, একটি ব্রাশ, দুটি সিলভার, একটি ক্রিস্টালের হদিস নেই। এ ছাড়া দুটি প্রাণীর চামড়া, ৪৭টি বিভিন্ন ধরনের পাথর, ১০১টি টেরাকোটা, ১৩টি কাগজ, ৩৩টি মুদ্রা ও ৮৫টি বই পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ৫২টি পুস্তক-পুস্তিকা ও জার্নাল খুঁজে পায়নি ইনভেনটরি দল।
গতকাল শনিবার সকালে জাদুঘরে গিয়ে দেখা যায় একটি গেট খোলা। সেখানে দুজন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ভেতরে বারান্দার এখানে-সেখানে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে প্রাচীন নিদর্শন। জাদুঘরে দায়িত্বরত আনসারদের সহকারী প্লাটুন কমান্ডার লোকমান হাকিম জানান, এখানে তাঁরা মোট ১০ জন আছেন। এত বড় একটি জাদুঘরের নিরাপত্তায় দিনরাত সব সময় মাত্র দুজন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। প্রত্যেকের ডিউটি চার ঘণ্টা করে। আধুনিক এই যুগে এসেও এখন পর্যন্ত জাদুঘরটিতে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা লাগানো হয়নি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলার সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, ‘বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর বাঙালি জাতির একটা অমূল্য সম্পদ। যাঁরা এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাঁরা এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটি যথেষ্ট যত্ন নিয়ে গড়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েক বছরে হয়েছে অনেক অভিযোগ। অমূল্য সম্পদের হিসাব-নিকাশের ঘাটতি আছে।’ তিনি বলেন, ‘এত বড় একটা জাদুঘরের নিরাপত্তার জন্য মাত্র দুজন করে আনসার পর্যাপ্ত নয়। এমন জাদুঘরে সিসি ক্যামেরা থাকবে না কেন? মহামূল্যবান অনেক প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায় না। এগুলো সরানোর জন্যই কি তাহলে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয় না? আমার তো মনে হয়, অনেক কিছু হারিয়ে যাওয়ার জন্য ভেতরের লোকজনই জড়িত।’
জানতে চাইলে জাদুঘরের পরিচালক ড. আলী রেজা মুহম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দিয়েছি। সেটি প্রায় পৌনে দুই বছর আগে। কিন্তু এখন জাদুঘর করোনার জন্য বন্ধ বলে আর এগোয়নি।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপু বলেন, ‘জাদুঘরে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা দরকার, আরও জনবল দরকার। সেগুলোর ব্যবস্থা অচিরেই করা হবে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।’
প্রাচীন আমলের ঢাল-তলোয়ার, পাল যুগ, সুলতানি যুগ, মোগল আমলের শিলালিপি থেকে শুরু করে অসংখ্য মূর্তি, টেরাকোটা আর পুরোনো জিনিসপত্রে পরিপূর্ণ বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর। প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহে এটি একেবারেই সমৃদ্ধ। কিন্তু নিরাপত্তার ঘাটতি আজও রয়ে গেছে এখানে। দেশের প্রথম এই জাদুঘরের নিরাপত্তার দায়িত্বে এখন শুধু আনসার সদস্যরা।
রাজশাহী নগরীর হেতেম খাঁ এলাকায় জাদুঘরটির অবস্থান। ১৯১০ সালে নাটোরের দিঘাপতিয়ার জমিদার কুমার শরৎকুমার রায়, রাজশাহীর খ্যাতনামা আইনজীবী অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় ও রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক রমাপ্রসাদ চন্দ্র এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন। সে বছর তাঁরা প্রাচীন ঐতিহ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য ‘বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি’ গঠন করেন। বিভিন্ন স্থান থেকে কালো পাথরের বিখ্যাত গঙ্গামূর্তিসহ পুরাতত্ত্বের ৩২টি প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন সংগ্রহ করে এই সমিতি।
সংগৃহীত নিদর্শনগুলো সংরক্ষণের জন্য একটি জাদুঘর ভবন নির্মাণ অপরিহার্য হয়ে পড়লে শরৎকুমার নির্মাণকাজে হাত দেন। বাংলার তৎকালীন গভর্নর লর্ড কারমাইকেল ১৯১৬ সালের ১৩ নভেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নির্মাণকাজ শেষে ১৯১৯ সালের ২৭ নভেম্বর জাদুঘরের দ্বার উন্মোচন করেন তৎকালীন গভর্নর লর্ড রোনাল্ডসে। এরপর ১৯৬৪ সালে জাদুঘরটি পরিচালনার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখনো এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।
জাদুঘর সূত্রে জানা গেছে, এখানে সংগ্রহের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার। এর মধ্যে মোগল আমল থেকে ব্রিটিশ আমল পর্যন্ত সময়ের রৌপ্য, ব্রোঞ্জ ও মিশ্র ধাতবের ৪০০ মুদ্রা, ৬১টি লেখচিত্র, প্রায় দেড় হাজার পাথর ও ধাতব মূর্তি, দুই হাজারের মতো প্রাচীন মুদ্রা, পোড়ামাটির ভাস্কর্য, পত্র ও ফলক প্রায় ৯০০টি। আছে প্রায় ৬০টি প্রাচীন অস্ত্র-শস্ত্র, বেশ কিছু আরবি-ফারসি দলিল এবং সাড়ে চার হাজারের মতো পাণ্ডুলিপি। জাদুঘরের বিভিন্ন কক্ষে ১৪টি গ্যালারিতে সাজানো আছে এসব।
এখানে আছে প্রাচীন আমলের ঢাল-তলোয়ার, ধাতব পাত্র, মহেঞ্জোদারো ও মহাস্থানের বিভিন্ন নিদর্শন। সম্রাট অশোক থেকে ব্রিটিশ আমল পর্যন্ত সময়ের কাঠ, পাথরসহ নানা কিছু দিয়ে নির্মিত মূর্তি। সূর্য, বিষ্ণু, শিব, কার্তিকসহ আরও অনেক দেবতার মূর্তি, পার্বতী, সরস্বতী, মনসা দুর্গা ও অন্য দেবীর মূর্তি। এ ছাড়া প্রাচীন আমলের আরবি, ফারসি, সংস্কৃত, বাংলা লেখচিত্র এবং পাল যুগ, সুলতানি যুগ, মোগল যুগের শিলালিপি ছাড়াও আছে শের শাহর দুটি কামান ও মেহরাব। ইসলামি গ্যালারিতে আছে হাতে লেখা কোরআন শরিফ, মোগল আমলের পোশাক।
প্রাচীন সংগ্রহে যে জাদুঘর সমৃদ্ধ, সেটির নিরাপত্তায় খুব একটা নজর দেওয়া হয়নি কখনো। ২০১০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত জাদুঘরের এক ইনভেনটরি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেখান থেকে নানা কিছু হারিয়ে যাওয়ার বিষয়। জাদুঘরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সুলতান আহমদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ওই ইনভেনটরি তৈরি করে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯১০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১০০ বছরে হারিয়েছে ১৮৫টি প্রত্নতত্ত্বসামগ্রীসহ প্রায় তিন হাজার দুর্লভ বস্তু। এর মধ্যে জাদুঘরের নিবন্ধন বইয়ে থাকা দুটি ব্রোঞ্জ, দুটি কপার, দুটি লিনেন, একটি ব্রাশ, দুটি সিলভার, একটি ক্রিস্টালের হদিস নেই। এ ছাড়া দুটি প্রাণীর চামড়া, ৪৭টি বিভিন্ন ধরনের পাথর, ১০১টি টেরাকোটা, ১৩টি কাগজ, ৩৩টি মুদ্রা ও ৮৫টি বই পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ৫২টি পুস্তক-পুস্তিকা ও জার্নাল খুঁজে পায়নি ইনভেনটরি দল।
গতকাল শনিবার সকালে জাদুঘরে গিয়ে দেখা যায় একটি গেট খোলা। সেখানে দুজন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ভেতরে বারান্দার এখানে-সেখানে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে প্রাচীন নিদর্শন। জাদুঘরে দায়িত্বরত আনসারদের সহকারী প্লাটুন কমান্ডার লোকমান হাকিম জানান, এখানে তাঁরা মোট ১০ জন আছেন। এত বড় একটি জাদুঘরের নিরাপত্তায় দিনরাত সব সময় মাত্র দুজন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। প্রত্যেকের ডিউটি চার ঘণ্টা করে। আধুনিক এই যুগে এসেও এখন পর্যন্ত জাদুঘরটিতে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা লাগানো হয়নি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলার সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, ‘বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর বাঙালি জাতির একটা অমূল্য সম্পদ। যাঁরা এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাঁরা এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটি যথেষ্ট যত্ন নিয়ে গড়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েক বছরে হয়েছে অনেক অভিযোগ। অমূল্য সম্পদের হিসাব-নিকাশের ঘাটতি আছে।’ তিনি বলেন, ‘এত বড় একটা জাদুঘরের নিরাপত্তার জন্য মাত্র দুজন করে আনসার পর্যাপ্ত নয়। এমন জাদুঘরে সিসি ক্যামেরা থাকবে না কেন? মহামূল্যবান অনেক প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায় না। এগুলো সরানোর জন্যই কি তাহলে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয় না? আমার তো মনে হয়, অনেক কিছু হারিয়ে যাওয়ার জন্য ভেতরের লোকজনই জড়িত।’
জানতে চাইলে জাদুঘরের পরিচালক ড. আলী রেজা মুহম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দিয়েছি। সেটি প্রায় পৌনে দুই বছর আগে। কিন্তু এখন জাদুঘর করোনার জন্য বন্ধ বলে আর এগোয়নি।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপু বলেন, ‘জাদুঘরে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা দরকার, আরও জনবল দরকার। সেগুলোর ব্যবস্থা অচিরেই করা হবে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।’
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও খ্যাতি ছড়িয়েছিল অবিভক্ত ব্রিটিশ-ভারতে প্রতিষ্ঠিত শতবর্ষী যশোর ইনস্টিটিউট। একটা সময় যশোরের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া জগৎ উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখে মাতৃস্থানীয় এ সংগঠন।
১৩ মিনিট আগেভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে পর্যন্ত রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ ও ভারতের মুর্শিদাবাদের ময়া পর্যন্ত পদ্মা নদীতে চালু ছিল একটি নৌ-রুট। ৫৯ বছর পর নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় আবার এই নৌ-রুট চালুর উদ্যোগ নেয় বিগত সরকার।
২৫ মিনিট আগেযশোরের বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনাল চালু করতে বেনাপোল বন্দর আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল বন্ধ করে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের পর গতকাল শনিবার সারা দেশ থেকে বেনাপোল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন ব্যবসায়ী সমিতি।
৩১ মিনিট আগেকালাবদর নদের তীরের গ্রাম বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ জাঙ্গালিয়া। গভীর রাতে খননযন্ত্রের (এক্সকাভেটর) শব্দে গ্রামটির মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। প্রতিরাতে একদল লোক কয়েকটি ট্রলারে এসে এক্সকাভেটর দিয়ে নদের তীরের মাটি কেটে নিয়ে যায়। গ্রামবাসী ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
১ ঘণ্টা আগে