নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
কোথাও প্রজাপতির মতো ডানা মেলে আলো দিচ্ছে সড়কবাতি। আবার কোথাও স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে মুকুটবাতি। নান্দনিক সব সড়কবাতি রাতের আঁধার কাটিয়ে রাজশাহী নগর করেছে আলোকিত। বিদেশ থেকে আনা দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতিগুলোর কারণে রাজশাহী নতুন করে তকমা পেয়েছে ‘আলোর শহর’ হিসেবে। এই সুনামের মাঝে সড়কবাতির ব্যয়ের হিসাব বেমালুম ভুলে গিয়েছিল নগর কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে বকেয়া পড়েছে ৪২ কোটি টাকা।
বকেয়া বিলের কারণ হিসেবে সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের উদাসীনতাকে দুষছেন সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দায়িত্বরত ব্যক্তিরা। শুধু মধ্যশহরে অতিরিক্ত সড়কবাতি লাগিয়ে অর্থের অপচয় করা হয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে। এখন বিদ্যুতের অপচয় কমিয়ে ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে রাসিক।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাসিকের বকেয়া বিল আগে থেকেই থাকত। তবে কয়েক বছর ধরে সড়কবাতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বকেয়া বিলের পরিমাণও বাড়তে থাকে। বাড়তে বাড়তে এখন বকেয়া ৪২ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। বকেয়া পরিশোধে মাঝেমধ্যেই চিঠি পাঠানো হয় রাসিকে। তবে বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। নাগরিক সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নও করা হচ্ছে না।
সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, নগরের কাশিয়াডাঙ্গা-বন্ধগেট, তালাইমারী-কোর্ট, তালাইমারী-কাটাখালী ও আলিফ-লাম-মীম ভাটার মোড় থেকে বিহাস পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার পথে আছে আধুনিক এসব সড়ক বাতি। আলোর তীব্রতা বিশ্লেষণ করে প্রায় ১৫ মিটার দূরত্বে বসানো হয় এসব বাতি। নান্দনিক এসব সড়কবাতি আনা হয় তুরস্ক, চীন ও ইতালি থেকে। নগরের ১৮টি পয়েন্টে উঁচু উঁচু ফ্লাডলাইটও বসানো হয়েছে বিদেশ থেকে এনে। ১০৩ কোটি ৭ লাখ টাকার নান্দনিক বাতির অনেকগুলোই নষ্ট হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের আগে। প্রতিদিনই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে সচল রাখা হচ্ছে এগুলো। অতিরিক্ত সড়কবাতির কারণে বকেয়া বিদ্যুতের ভার রাসিকের কাঁধে।
তবে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিন বলেছেন, শুধু সড়কবাতি নয়, এই বকেয়া নগরের চারটি জোনের পানির পাম্প, বিভিন্ন স্থাপনা ও আরবান হেলথ কেয়ারে ব্যবহৃত বিদ্যুতের। বিল পরিশোধ হয়নি সাবেক মেয়রের উদাসীনতায়। তবে বর্তমানে বিদ্যুতের অপচয় কমিয়ে ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শরীফ উদ্দিন আরও বলেন, ‘প্রতি মাসের বকেয়া ক্রমে পুঞ্জীভূত হতে হতে একটা বিরাট অঙ্কে এসে দাঁড়িয়েছে। একসঙ্গে এতগুলো টাকা দেওয়ার সামর্থ্য রাসিকের নেই। সে কারণে প্রতি মাসে ৫০ লাখ টাকা বকেয়া বিল পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় কমিশনার ও রাসিকের প্রশাসক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করছি। যেখানে যেখানে প্রয়োজন নেই, সেখানে ঠিক করব। সড়কবাতির বিষয়ে যেমন অভিযোগ এসেছে যে কিছু নষ্ট আছে, জ্বলছে না, সেরকম থাকবে না। বিল যা আসার চলেই এসেছে। এগুলো ধীরে ধীরে পরিশোধ করতে হবে।’
কোথাও প্রজাপতির মতো ডানা মেলে আলো দিচ্ছে সড়কবাতি। আবার কোথাও স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে মুকুটবাতি। নান্দনিক সব সড়কবাতি রাতের আঁধার কাটিয়ে রাজশাহী নগর করেছে আলোকিত। বিদেশ থেকে আনা দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতিগুলোর কারণে রাজশাহী নতুন করে তকমা পেয়েছে ‘আলোর শহর’ হিসেবে। এই সুনামের মাঝে সড়কবাতির ব্যয়ের হিসাব বেমালুম ভুলে গিয়েছিল নগর কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে বকেয়া পড়েছে ৪২ কোটি টাকা।
বকেয়া বিলের কারণ হিসেবে সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের উদাসীনতাকে দুষছেন সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দায়িত্বরত ব্যক্তিরা। শুধু মধ্যশহরে অতিরিক্ত সড়কবাতি লাগিয়ে অর্থের অপচয় করা হয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে। এখন বিদ্যুতের অপচয় কমিয়ে ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে রাসিক।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাসিকের বকেয়া বিল আগে থেকেই থাকত। তবে কয়েক বছর ধরে সড়কবাতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বকেয়া বিলের পরিমাণও বাড়তে থাকে। বাড়তে বাড়তে এখন বকেয়া ৪২ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। বকেয়া পরিশোধে মাঝেমধ্যেই চিঠি পাঠানো হয় রাসিকে। তবে বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। নাগরিক সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নও করা হচ্ছে না।
সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, নগরের কাশিয়াডাঙ্গা-বন্ধগেট, তালাইমারী-কোর্ট, তালাইমারী-কাটাখালী ও আলিফ-লাম-মীম ভাটার মোড় থেকে বিহাস পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার পথে আছে আধুনিক এসব সড়ক বাতি। আলোর তীব্রতা বিশ্লেষণ করে প্রায় ১৫ মিটার দূরত্বে বসানো হয় এসব বাতি। নান্দনিক এসব সড়কবাতি আনা হয় তুরস্ক, চীন ও ইতালি থেকে। নগরের ১৮টি পয়েন্টে উঁচু উঁচু ফ্লাডলাইটও বসানো হয়েছে বিদেশ থেকে এনে। ১০৩ কোটি ৭ লাখ টাকার নান্দনিক বাতির অনেকগুলোই নষ্ট হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের আগে। প্রতিদিনই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে সচল রাখা হচ্ছে এগুলো। অতিরিক্ত সড়কবাতির কারণে বকেয়া বিদ্যুতের ভার রাসিকের কাঁধে।
তবে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিন বলেছেন, শুধু সড়কবাতি নয়, এই বকেয়া নগরের চারটি জোনের পানির পাম্প, বিভিন্ন স্থাপনা ও আরবান হেলথ কেয়ারে ব্যবহৃত বিদ্যুতের। বিল পরিশোধ হয়নি সাবেক মেয়রের উদাসীনতায়। তবে বর্তমানে বিদ্যুতের অপচয় কমিয়ে ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শরীফ উদ্দিন আরও বলেন, ‘প্রতি মাসের বকেয়া ক্রমে পুঞ্জীভূত হতে হতে একটা বিরাট অঙ্কে এসে দাঁড়িয়েছে। একসঙ্গে এতগুলো টাকা দেওয়ার সামর্থ্য রাসিকের নেই। সে কারণে প্রতি মাসে ৫০ লাখ টাকা বকেয়া বিল পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় কমিশনার ও রাসিকের প্রশাসক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করছি। যেখানে যেখানে প্রয়োজন নেই, সেখানে ঠিক করব। সড়কবাতির বিষয়ে যেমন অভিযোগ এসেছে যে কিছু নষ্ট আছে, জ্বলছে না, সেরকম থাকবে না। বিল যা আসার চলেই এসেছে। এগুলো ধীরে ধীরে পরিশোধ করতে হবে।’
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৭ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৭ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৮ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৮ ঘণ্টা আগে